• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাফুফের সিংহাসনে আবারও সালাউদ্দিন-সালাম

অনলাইন ডেস্ক
  ০৩ অক্টোবর ২০২০, ২১:৫২
bangladesh football federation election 2020
ছবি-বাফুফে

টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। কিংবদন্তি এই ফুটবলারের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ থেকেই সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। সালাউদ্দিন-সালামের প্যানেল থেকে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল আহমেদ ও আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। অন্যদিকে স্বতন্ত্র সহ-সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও সমন্বয় পরিষদের মহিউদ্দিন মহি দুজনেই সমান ভোট পাওয়ায় তাদের নির্বাচন আবারও হবে।

শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাফুফে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। দুপুর ২টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টায়। তার আগে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বার্ষিক সাধারণ সভা বসে।

রাত আটটার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদের ভোটের তথ্য জানান।

দিন ভর জমজমাট আয়োজনের মধ্যে ৯৪ ভোটে আবারও দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ আসনে বসেন সালাউদ্দিন। অপর দুই সভাপতি প্রার্থী বাদল রায় ৪০ ও শফিকুল ইসলাম মানিক ১ ভোট পান।

৯১ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের শেখ আসলাম পান ৪৪ ভোট।

চার সহ-সভাপতি পদে সম্মলিত পরিষদ থেকে ইমরুল হাসান ৮৯, কাজী নাবিল আহমেদ ৮১, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র সহ-সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও সমন্বয় পরিষদের মহিউদ্দিন মহি দুজনেই ৬৫ করে ভোট পাওয়ায় তাদের পুনরায় নির্বাচন হবে। এই পদে আবার নির্বাচন হবে ৩১ অক্টোবর।

আরও পড়ুন:
সহ-সভাপতি পদে তাবিথ-মহি সমান সমান, টাইব্রেকার ৩১ অক্টোবর
নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন সালাউদ্দিন (ভিডিও)
সালাম মুর্শেদী ৯১, আসলাম ৪৪

তাবিথ আউয়াল জানান, চার সহ-সভাপতি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। তিনি ১৩৯ জন কাউন্সিলরের কাছেই সমর্থন আশা করেন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে যোগ্য প্রার্থী বলে তাবিথ আউয়াল ৩১ তারিখ ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে মন্তব্য করেন।

এ দিকে ভোট গণনার সময় বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক। তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে বলে মানিক বলেন বলেন, ‘যখন ভোটিং হচ্ছিল, তখন আমার থাকার অনুমতি ছিল না। একজন প্রার্থী হিসবে আমি ওখানে যেতে পারিনি। গণনার সময় আমার পক্ষের একজনের উপস্থিত থাকা উচিৎ। না হয় কে দেখবে আমার নির্বাচন ফেয়ার হচ্ছে কি না। আমার যেহেতু কোনও প্রতিনিধি নেই, তাই আমি ওখানে বসেছিলাম। তারা আমাকে বলে, আপনি আসেন আপনি এখানে থাকতে পারবেন না। এটা আমার প্রতি অবিচার হয়েছে।’

এই নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলর একজন করে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি, চারজন সহ-সভাপতি এবং ১৫ জন সদস্যকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেন। ২১ পদের জন্য লড়েন মোট ৪৭ প্রার্থী।

নির্বাচনে চট্টগ্রাম আবাহনীর তরফদার মো. রুহুল আমিন, ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মাকসুদুর রহমান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাফওয়ান সোবহান ভোট দিতে আসেননি। ১৩৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি।

ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই বাফুফের, তাপদাহের মধ্যে মেয়েদের খেলা
বেতন ছাড়াই ছুটিতে গেলেন সাবিনারা, যা বলছে ফিফা
একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
পাপনকে প্রশংসায় ভাসালেন সালাউদ্দিন
X
Fresh