• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হালিমার পরিবারের জোড়াতালি ঘরে আতঙ্কে রাত কাটছে

আব্দুল আজিজ, হিলি প্রতিনিধি

  ০১ জুলাই ২০২০, ১৯:২৩
Halima's family spending the night panic
ভাঙা ঘরে আতঙ্কে দিন কাটছে হালিমার পরিবারের

সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে পরিচিত হিলি-হাকিমপুর। আর এই উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের খাট্টাউছনা গ্রামে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন হালিমা। নিজের শেষ সম্বল মাত্র ৩ শতক জায়গা।

সেই জায়গাটিতে স্বামী সন্তানকে নিয়ে থাকার জন্য বাঁশ খড়ি দিয়ে বেড়া এবং তাতে কাদা মাটি লাগিয়ে তৈরি করে দুইটি ঘর। আবার ডিজিটাল যুগে এবং শতভাগ বিদ্যুতের এই উপজেলায় সেই ঘরে নেই বিদ্যুৎ।

গ্রামের ভাষায় এমন ঘরগুলোকে বিশেষ করে বলা হয় ‘ছিটার ঘর’। কষ্টের তৈরি সেই ঘরগুলো বর্ষাকালের পানি ও সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভেঙে যাওয়ায় এই মহামারীর মধ্যে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন হালিমা ও তার পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাট্টাউছনা বাজার থেকে পূর্ব দিকে রাস্তার পাশে একটি বাড়ি। বাড়ি ভেতর গিয়ে দেখা যায় একটি ঘর একবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। আর অন্য আরেকটি ঘরের পূর্ব দেওয়াল ভেঙে গেছে। যেখানে ছেড়া কাপড়, টিন আর বাঁশের খড়ি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে থাকে সেই পরিবারটি। একই ঘরে থাকে হালিমা তার স্বামী, বড় মেয়ে ও ছেলে।

কথা হয় হালিমার সঙ্গে এসময়ে তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলে উঠলেন ভাই রাতে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে থাকি। কখন যে ঝড় আসে আর কখন যে বৃষ্টি হয়। সব মিলে রাত কাটে আতঙ্কে। দেখার কেউ নেই, খুব কষ্টে আছি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলে আমাকেও কিছুই দেয় না। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমাকে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিলে আমার উপকার হতো।

স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘ দিন থেকে দেখে আসছি হালিমা বেগম অনেক কষ্ট করে চলেন। থাকার যে ঘর গুলো ছিলো সেগুলো এখন ভেঙে গেছে। রাস্তার পাশে বাড়ি হওয়ায় যাতায়াত করতে আমরা দেখি। সরকার যদি তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে তার অনেক উপকার হতো।

হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন জানান, আমি বিষয়টি ইতিমধ্যে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি। জমি আছে, ঘর নেই- এই প্রকল্পের আওতায় দ্রুত তার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো এবং তার যদি নিজস্ব জায়গা থাকে সেখানে জমি আছে, ঘর নেই- এই প্রকল্পের আওতায় গৃহনির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও তিনি যদি অন্যান্য ভাতার পাওয়ার মত যোগ্য হয় তাহলে সেগুলোর ব্যবস্থা করা হবে।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডিজিটাল যুগেও হাতের ইশারায় চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থা (ভিডিও)
X
Fresh