ভাড়াটিয়াদের ছাড়তে হচ্ছে ঢাকা, বিপাকে বাড়ির মালিকরা (ভিডিও)
করোনায় কেউ কাজ হারিয়ে আবার কেউ ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে ছাড়ছেন প্রাণের শহর ঢাকা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সে নিশ্চয়তা না থাকায় অনেকেই ফিরছেন গ্রামে। ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর বাড়ি মালিকরা। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করা ছাড়া এই সংকটের সমাধান নেই বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
স্বপ্ন সাজাতে অনেকেই গ্রামের মায়া কাটিয়ে এসেছিলেন তিলোত্তমা নগর ঢাকায়। সব ঠিকঠাকই চলছিল স্বপ্নবাজ যুবক রাশেদের। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় সব। চাকরি হারিয়ে পরিবারের জন্য খাবার যোগাড় করাই এখন কষ্টের। বাসা ভাড়া সে তো বিলাসিতার পর্যায়ে। তাইতো স্বপ্ন পূরণ না করেই ছাড়তে হচ্ছে শহর।
রাজধানীর অনেক এলাকার চিত্রই এখন এমন। বেশিরভাগ বাড়ির সামনে ঝুলছে টু-লেট কিংবা বাসা ভাড়ার সাইনবোর্ড। আগে বাসা খালি হলে দু’চার দিনের মধ্যেই ভাড়া হয়ে যেত। তবে গত দু’মাসে নতুন ভাড়াটিয়ার দেখা মিলছে না বলে জানান বাড়িওয়ালারা।
কয়েকজন বাড়িওয়ালা জানান, আগে তো বাড়ি খালি হলে কয়েকদিনের মধ্যে ভাড়া হয়ে যেত এখন ভাড়াটিয়া নেই। অনেকে নিজে ব্যাচেলর থেকে পরিবারদের গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
সবচেয়ে বেকায়দায় ব্যাংক ঋণ নিয়ে তৈরি করা বাড়ির মালিকরা। ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ায় ঋণ শোধ করার উপায় না পেয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায় তারা।
ব্যাংকঋন নিয়ে বাড়ি করা একজন জানান, পুরো বাড়িটি তিনি ব্যাংক থেকে লোণ নিয়ে করেছেন। ভাড়া না হওয়ার প্রায় চার মাস তিনি ব্যাংকে টাকা দিতে পারেনি।
সরকারের নানা চেষ্টায় দারিদ্র বিমোচনের হার কমতে থাকলেও বৈশ্বিক মহামারির কারণে নতুন করে ৩৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাওয়ার আশংকায় অর্থনীতিবিদরা।
দুর্যোগকালীন সংকট মোকাবিলায় সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
এসএস
মন্তব্য করুন