• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের পড়াশোনার চাপ কতটা যৌক্তিক? (ভিডিও)

মুক্তা মাহমুদ, আরটিভি

  ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০১
প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের পড়াশোনার চাপ কতোটা যৌক্তিক?

‘আনন্দময় পরিবেশে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপযোগী শিক্ষা’- জাতীয় শিক্ষা নীতির এমন ধারণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অতিরিক্ত বই ও পড়ার চাপ, শিশুদের শিক্ষাজীবনকে নিরানন্দ করে তুলছে। অভিভাবকদের প্রত্যাশার চাপে হারিয়ে যাচ্ছে সোনালি শৈশব। অথচ কোমলমতি শিশুদের ওপর এমন চাপ কতটা যৌক্তিক? আর এর সমাধানই বা কী? ধারাবাহিক

দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে মানহা। খেলতে ভালো লাগলেও ক্লাসের ১২টি বই পড়ার পর তার আর ইচ্ছে করে না।

গল্পের বই পড়ার দারুণ শখ তৃতীয় শ্রেণির সুমির। কিন্তু ক্লাসের বইয়ের চাপে তা আর হয়ে ওঠে না।

এমন অবস্থা অভিভাবকদের জন্যও, ‘শাঁখের করাত’। একদিকে, সন্তানের শৈশব, অন্যদিকে স্কুলের পড়ার চাপ- যেন ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা’!

অভিভাকরা বলেন, বইয়ের সংখ্যা বেশি। স্কুলের নিয়ম নীতি মানতে গেলে বাচ্চাদের যৌক্তিক খেলার সময়গুলো আমরা ছেলে মেয়েদের দেই না।


‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ থেকে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য পাঠ্যবই নির্ধারিত তিনটি। তবে বাস্তবে হচ্ছে উল্টো। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কারিকুলামের বাইরে পড়ানো হচ্ছে বিজ্ঞান, ব্যাকরণ, বিশ্ব পরিচিতির মতো বই। এভাবে বইয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ছয় থেকে ১৫ তে ।

বইয়ের এমন বোঝা শিশুদের কেবল শারীরিক নয়, মানসিক বিকাশকেও বাধাগ্রস্ত করছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআর বিভাগের অধ্যক্ষ বললেন ড. আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, বেশি পাঠ্যপস্তুক ক্ষতিকর। অভিভাবকদের মনস্তত্ত্ব এটা কাজ করছে যে বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েরা বেশি বেশি পড়ালেখা করছে। আর যে স্কুলে বই দেয়া হচ্ছে না সেখানে মনে করা হচ্ছে তাদের ছেলে মেয়েরা কম পড়ালেখা করছে। এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া সমস্যা দিনে দিনে বাড়ছে।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়তি বই ধরিয়ে দিচ্ছে। এক ধরণের জিম্মি করছে অভিভাবকদের। বাইরের বই কেন ধরিয়ে দেয়া হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে? আমাদের পাঠ্যপুস্তকে কি কোন ঘাটতি আছে, যদি থাকে তাহলে সেটা দেখানোর প্রয়োজন আছে।
দুই শিক্ষাবিদের সঙ্গে একমত শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। তাই চাপ কমাতে শিক্ষা কার্যক্রমে পরিবর্তন আনাসহ শিক্ষা আইন পাস করার কথা জানালেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে তারা বিভিন্ন কারণে বাড়তি বই দেয়। আমরা এখন এ নিয়ে নজরদারি করছি। বিশেষ করে আমরা যে মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলো নিয়ে এসেছি এগুলোর মধ্যে দিয়ে বইয়ের বোঝা আরও কমে যাবে। শিক্ষার আইন যত দ্রুত সম্ভব আমরা প্রণয়ন করব।

শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা পড়াশোনার চাপ নিয়ে বিতর্ক চলছে বহুদিন ধরে। কিন্তু তা নিরসনে দৃশ্যমান কিছু হচ্ছে বলে মনে করেন না বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা। তাই শিশুদের সঠিক শারীরিক-মানসিক বিকাশের জন্য দ্রুত যৌক্তিক পরিকল্পনার প্রণয়নের জন্য ফের তাগিদ ছিল তাদের।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হল না ছাড়ার ঘোষণা চুয়েট শিক্ষার্থীদের, অবরুদ্ধ উপাচার্য
চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন 
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি ভর্তি নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আন্দোলনের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
X
Fresh