• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইলিশ শিকারে গভীর সমুদ্রে উপকূলের জেলেরা

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৫:০৬
ইলিশ শিকারে গভীর সমুদ্রে গেছে উপকূলের জেলেরা
গভীর সমুদ্রে গিয়ে ইলিশ শিকারের জাল ও নৌকা নিয়ে অপেক্ষারত জেলেরা, ছবি : প্রতিনিধি

টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে ইলিশ শিকারে গেছেন উপকূলের জেলেরা। সরকারঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গতকাল ২৫ অক্টোবর রাত ১২টায়। ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল মেরামতসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করে অপেক্ষায় ছিলেন উপকূলের মৎস্যজীবীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে গেছে।

জানা গেছে, মা ইলিশের বাধাহীন প্রজনন এবং সব প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য অধিদপ্তর। সোমবার রাত ১২টার পর পরই মৎস্য শিকারীরা নেমে পড়বেন রুপালি ইলিশের সন্ধানে। পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে তাদের সব প্রস্তুতি নিয়েছিল। আলীপুর, মহিপুর ও কুয়াকাটা অঞ্চলের জেলেরা তাদের ট্রলার ও জাল মেরামতের পাশাপাশি ইঞ্জিনের কাজে শেষ করে সমুদ্রে যান।

দেশের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুরের জেলে সিদ্দিক, বেল্লাল ও রুহুল আমিন মাঝি বলেন, সরকারঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আমরা পালন করেছি। আমরা ইতোমধ্যে ইলিশ মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় অপেক্ষায় ছিলাম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সমুদ্রে যাচ্ছি।

মহিপুর মৎস্য বন্দরের একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে মাছ না পেয়ে উপকূলের জেলেরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পরেছেন। তারপরও সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। অবরোধ শেষে সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরলে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন।

প্রতিবছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার শেষের দিকে গভীর সমুদ্র থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। তাই ২০০৬ সাল থেকে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন অবরোধ দিয়ে আসছে সরকার। এ সময় সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এবার প্রশাসনের তৎপরতা বেশি থাকায় উপকূলজুড়ে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তবে এ অবরোধের সময় বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে মাছ শিকার করেছে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা- এমনটাই দাবি করেছেন মৎস্যজীবীরা।

কলাপাড়া উপজেলা ‘ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতি’-এর সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, দেশের জেলেরা অবরোধ পালন করলেও মাছ ধরছে ভারতের জেলেরা। তাই ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা সফল করতে দেশের জলসীমানা শতভাগ সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি আমাদের।

মহিপুর ‘মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতি’-এর সভাপতি মো. ফজলু গাজী বলেন, যেহেতু অবরোধের আগে মাছ ধরা পড়েনি, তাই আমরা আশা করছি বড় সাইজের পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলবে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কলাপাড়া উপকূলের জেলেরা নিজেরাই অনেকটা সচেতন। আমরা অভিযান চালিয়ে একজন জেলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছি। আমরা দিনরাত মা ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছি। আশা করছি আমরা এ বছর শতভাগ সফল হয়েছি।
পি/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভয়াল ২৯ এপ্রিল : এখনও অরক্ষিত উপকূল 
গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করছে আমেরিকা
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবি, নিহত ১৪
সমুদ্রের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে যৌথ উদ্যোগ ভারত ও ওমানের
X
Fresh