• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রিকশা চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন এই নারী (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ২২:৪১

দুমুঠো ভাতের আশায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন মীরপুর বাউনিয়া বেড়িবাঁধ এলাকার এক নারী। স্বামী না থাকায় সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে বেছে নিয়েছেন এই পেশা। কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন সংগ্রামী বেবি। কিন্তু ৫ মাসের বাড়ি ভাড়া বাকী আর সংসারের খরচ মেটাতে অসুস্থ অবস্থায় রিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। নিজের একটি ব্যাটারি চালিত যান থাকলে ছেলেকে লেখাপড়া করানোর পাশাপাশি কিছুটা ভালো থাকার স্বপ্ন দেখেন এই নারী।

জীবন চালাতে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেন সংগ্রামী নারী বেবি। মিরপুর বাউনিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় অটোরিকশা চালান। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে চলেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা। স্বামী না থাকায় এই পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন। প্রথম কয়েকদিন সমস্যা হলেও এখন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন বলে জানান বেবি।

১৩ বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাউনিয়া বেড়িবাঁধের বস্তিতে থাকেন বেবি। ঘরে ঘুমানোর মতো একটা চৌকি পর্যন্ত নেই। স্বপ্ন ছিল ছেলেকে লেখাপড়া করবে। কিন্তু অভাবের সংসারে তা আর হয়ে ওঠেনি। উপায় না থাকায় দুপয়সা রোজগারের আশায়, ছেলেকে রিকশা গ্যারেজে কাজে লাগিয়েছেন।

বেবি বলেন, গ্যারেজের ভাড়া দেওয়ার পর তার কাছে সংসার চালানোর জন্য খুব কম টাকা থাকে। এমন করেই সংসার চালান তিনি।

রিকশা চালাতে গিয়ে অনেক সময় বিড়ম্বনার শিকার হন। তবে বেশিরভাগ চালক ও যাত্রী ভালো আচরণ করে বলে জানান সংগ্রামী এই নারী।

তিনি বলেন, শুরুর দিকে রিকশাচালাতে গিয়ে খুব সমস্যায় পরতেন। অনেক হেনস্তার স্বীকারও হতে হয়েছে।

দেড় বছর আগে রিকশা চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হন বেবি। টাকার অভাবে ভালোমতো চিকিৎসা করাতে পারেননি। ৫ মাসের বাড়ি ভাড়া বাকী। ঋণের বোঝা বাড়ায় দুশ্চিন্তা ভর করেছে তার মাথায়।

জীবনযুদ্ধে লড়ে যাওয়া সংগ্রামী এই মা জানালেন, নিজের একটি অটোরিকশা থাকলে, মা-ছেলের সংসারে অভাব দূর হতো। ছেলেকে লেখাপড়া শেখাতে পারতেন।

ইজে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ 
ডিএসসিসির ময়লার গাড়িচাপায় কিশোর নিহত
সাতক্ষীরায় সড়কে ঝরল পিতা-পুত্রের প্রাণ
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
X
Fresh