• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গাছ কেটে কংক্রিটের স্থাপনা তৈরি অযৌক্তিক (ভিডিও)

নাজিব ফরায়েজী

  ০৯ মে ২০২১, ১১:০৩

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাঁটার পথ আর খাবারের দোকানসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণের জন্য নির্বিচারে গাছ কাটায় হুমকিতে সবুজ বেষ্টনী। গাছ কেটে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কংক্রিটের স্থাপনা তৈরিকে অযৌক্তিক বলছেন পরিবেশবাদীরা। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হলেও কাটার জন্য চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে আরও অনেকগুলো গাছকে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বলা হয় নগরীর ফুসফুস। ইট কাঠ ও কংক্রিটের ভিড়ে কোণঠাসা উদ্যানটি পাখিদের অভয়ারণ্যও। যে গাছের কারণে উদ্যানটি ঢাকার ফুসফুস ও পাখিদের অভয়ারণ্য নিষ্ঠুরভাবে সেই গাছগুলোকেই নিধন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত কতো গাছ কাটা হয়েছে আর কতো কাটা হবে নেই তার সঠিক হিসাবও।

এখানে মোটা অংকের অর্থের প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতেই তৈরি হচ্ছে ৭টি রেস্টুরেন্ট, শৌচাগারসহ নানা স্থাপনা। দমবন্ধ করা কংক্রিটের যে জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে এখানে আসা সেই কংক্রিটেই ঢেকে যাচ্ছে সবুজ বেষ্টনীটি। আগে গাছ রেখে হাঁটার পথ তৈরি করা হলেও এখন সেই নীতিতে নেই কর্তৃপক্ষ। তাই গাছ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এমন অজুহাতে চলছে নিধনযজ্ঞ।

এদিকে কেটে ফেলা গাছ বিক্রির মওকা নিচ্ছে একটি অংশ। আবার গাছের ডালপালা পুড়িয়ে জীবন্ত গাছকে মেরে ফেলার নিষ্ঠুর নজিরও তৈরি করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানই যদি গাছ নিধন করে তবে পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে কে?

সাধারণ মানুষ বলেন, ফুসফুস কেটে ফেলে কী বুঝাতে চেয়েছেন তারা। এ উদ্যান সবার নিশ্বাস নেয়ার স্থান। আর এখান থেকে ৫০টি গাছ কেটে ফেলা মানে আমাদের ফুসফুসের ওপর আঘাত করা। এখানে রেস্টুরেন্ট করে লাভ কী। অন্য কারো লাভ হতে পারে সরকারের না।

এই বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, বাণিজ্যিক দৃষ্টি ভঙ্গির মধ্যে দিয়ে গাছ কাটার যে প্রক্রিয়া সেটিকে ঠিক রাখার জন্য কতগুলো গণ-শৌচাগার এবং ফুট-কোর্ট করা ভুয়া দৃশ্য শুধু মাত্র।

একই বিষয়ে নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী যে রায় আছে তা পড়ুন। মানুষ যাবে ইতিহাস সংস্কৃতি আর ইতিহাস জানার জন্য। সেখানে খাবার খেতে যাবে না। কোন ভাবেই খাবারের জন্য কোন কর্মসূচি নিতে পারেন না। এরকম ভাবে চলতে থাকলে আজিমপুর কবরস্থানেও রেস্টুরেন্ট করে ফেলবে।

জিএম/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রচুর ভিড়, তবুও বিক্রি কম বইমেলায়
বইমেলায় সরোজ মেহেদীর ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’
পুরোদমে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি
বইমেলার ৮০ ভাগ কাজ শেষ
X
Fresh