স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও তেলেভাজা ইফতারে ঝোঁক ক্রেতাদের (ভিডিও)
হোটেল-রেস্তোরাঁ বা রাস্তার পাশে থাকা দোকানের ভাজাপোড়া ইফতার দেখতে লোভনীয় এবং খেতে মজাদার হলেও এসবে রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। ইফতারে বাইরের খোলা তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সারাদিন রোজা রেখে পুষ্টির ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন তরল খাবার খাওয়া উচিত।
দেশে বেড়েছে করোনার ব্যাপকতা। তবে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁ ও রাস্তার পাশে থাকা দোকানের ইফতার বিক্রির দৃশ্য দেখে সে অবস্থা বোঝার উপায় নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব দোকান পরিচালনার কথা থাকলেও নেই শারীরিক দূরত্বের কোনো বালাই। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
একইসঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে খাবার বিক্রিতে বাড়ছে টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়াসহ নানান রোগের ঝুঁকি। তবে খোলা জায়গায় খাবার বিক্রি ও কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের আছে ভিন্ন যুক্তি।
ক্রেতারা বলছেন, বাইরের খাবারের প্রতি লোভ সামলাতে পারি না বলে কিনতে আসছি। আবার একজন বলছেন, সবাই ঘুরতেছে, আমি ঘুরলে সমস্যা কী?
বিক্রেতারা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য লাল দাগ দেয়া আছে। কিন্তু ক্রেতারা কেউ যদি তা না মানে, তাহলে কি করার আছে।
ইফতারে পছন্দের তালিকায় থাকে চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, কাবাব, গ্রিলসহ নানারকম চর্বিযুক্ত খাবার। মসলাদার এসব খাবার খেয়ে করোনার এসময়ে মানুষের শরীরে কতটুকু পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান আরটিভি নিউজকে বলেন, গ্রীষ্মে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি খাবার যদি জীবাণুমুক্ত না থাকে তাহলে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা আরও বেশি থাকে। মহামারির এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভাজা-পোড়ার পরিবর্তে ইফতারে বাহারি মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত।
এসআর/পি
মন্তব্য করুন