ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা টাকা ব্যাংকে রাখতেন সাঈদ খোকন (ভিডিও)
রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া দুই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা টাকা নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে উত্তরা ব্যাংকে জমা দেয়া হতো। সঙ্গে যেতেন ব্যবসায়ীরাও। লেনদেনের প্রমাণ রাখতেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হতো বলে জানান মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু। মামলায় অভিযুক্তরা হুমকি দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে।
সৈয়দপুরের মোহাম্মদ শাহিন। ২২ বছর ধরে ফুলবাড়িয়া-২ মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্বে পালন করছেন। এই মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে তালা লাগিয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের লোকজনকে টাকা আদায় করতে দেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি ব্যবসায়ীদের থেকে আদায় করা টাকা নিজে ব্যাংকে জমা দিয়ে এসেছেন বলেও দাবি করেন শাহিন।
শুধু শাহিন নয় অন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ব্যবসায়ীদের থেকে আদায় করা টাকা ফুলবাড়িয়া উত্তরা ব্যাংকের শাখায় জমা দিয়েছেন।
নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, এই টাকাগুলো নেওয়ার জন্য আমাদের ডাকা হতো। তখন আমরা উত্তরা ব্যাংকে টাকা নিয়ে যেতাম। ব্যাগে করে কখনও নিয়েছি ১৫ লাখ বা ২০ লাখ।
নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে সাক্ষী হিসেবে সঙ্গে যেতেন ব্যবসায়ীরাও।
ব্যবসায়ীরা বলেন, অফিসে একদিন চেয়ারম্যান বলেছে সাঈদ খোকনকে টাকা দিতে হবে। তখন আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে গিয়েছিলাম ব্যাংকে। চেয়ারম্যান টাকা দিয়েছে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে।
মার্কেটের ক্যাশিয়ার রাজু আহমদ বর্ণনা দেন কমিটির মাধ্যমে টাকা তুলে কীভাবে পৌঁছে দেয়া হতো বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে। জালিয়াতি করে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এবং সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ব্যবসায়ী নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, প্রমাণের বাইরেও অনেক টাকা চলে গেছে চক্রটির হাতে।
গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া-দুই মার্কেট এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, ইউসুফ আলী সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের হয়ে এসব মার্কেট থেকে শতশত কোটি টাকা নিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। এরা বাইরে থাকলে মামলার সঠিক তদন্ত হবে না।
মামলার বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলার সঠিক তদন্ত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারকে ফোন দিলে আধাঘণ্টা পরে কল দেবেন বলে জানালেও আর ফোন রিসিভ করেননি। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিং হওয়ার পরে কল কেটে দেন।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন