করোনার ক্ষত পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতির চাকা (ভিডিও)
মহামারি করোনা বিশ্ব অর্থনীতির মতো বিপর্যয় ডেকে আনে দেশের অর্থনীতিতেও। তবে সে ধাক্কা ভালোই সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ। বছর শেষে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের কোভিড রেজিলিয়েন্স সূচকে করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। সরকারি প্রণোদনা আর অদম্য বাঙালির শ্রমে অতিমারির ক্ষত পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতির চাকা।
এক দশক ধরে অর্থনীতিতে যে গতি সঞ্চার হয়েছিল বছর শুরুতে করোনার ধাক্কায় তা থমকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বহু প্রতিষ্ঠান। মুখ থুবরে পড়ে কল কারখানা। কাজ হারায় লাখো কর্মী।
কোভিডের ছোবলে বিশ্ব অর্থনীতি যখন দিশেহারা, তখন দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারের জন্য এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতিমারিতে স্থবির বিশ্বে রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নামে। তবে বছরের মাঝামাঝি থেকে ফিরতে শুরু করে নামি ব্র্যান্ডগুলো। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি বাড়ে শূন্য দশমিক আট পাঁচ শতাংশ।
বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে করোনার জন্য বিশেষভাবে যারা ধনী আছেন তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই অর্থটি সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে ব্যবহার করতে হবে। সবকিছু নির্ভর করবে আমরা কত দ্রুত ভ্যাকসিন ও নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছি।
অতিমারির মধ্যে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নেয় সরকার। যদিও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশের বেশি হবে না। তারপরেও করোনার মধ্যে মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে করোনা মোকাবেলায় এখন দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে আর বিশ্বে ২০তম বাংলাদেশ।
করোনার বড় ধাক্কা লাগে রাজস্ব আদায়ে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় ৫০ হাজার কোটি টাকার কম। তবে করোনার মধ্যে অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় চমক দেখায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। রেকর্ড গড়ে ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটি যদি একটি স্বাভাবিক সময় হতো অর্থাৎ রপ্তানি বাড়ছে বা আমদানি বাড়ছে তারপরেও রিজার্ভ বাড়ছে, তখন ভালো একটি পরিবেশ হতো।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন