ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে প্রভাবশালীরা(ভিডিও)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে প্রভাবশালীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। লাইন প্রতি দিতে হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। এসব অবৈধ লাইন একবার কাটা হলে দ্বিগুণ টাকায় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পুনরায় দেয়া হয় সংযোগ। স্থানীয়রা বলছেন, বাখড়াবাদের অসাধু কর্মী ও ক্ষমতাসীন দলের একটি সিন্ডিকেট এই ব্যবসা করে শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছে।
রাতের আঁধারে চুপি চুপি ওয়েল্ডিং করে মূল পাইপ লাইন থেকে গ্যাসের সংযোগ নেয়া হয় নতুন লাইনে। গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করেও দেয়া হচ্ছে নতুন সংযোগ। লাইন পেতে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে নিচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। একটি লাইনের জন্য হতদ্ররিদ্র মানুষদের বিক্রি করতে হচ্ছে গবাদি পশুসহ নিজের গয়না।
এলাকাবাসী জানান, তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিছে এই গ্যাসলাইনের জন্য। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে গ্যাসের লাইনটা কাটা। এখানে গ্যাসের লাইনের জন্য অনেক গরীব মানুষ তাদের গয়না ও গবাদিপশু বিক্রি করেও টাকা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার কুট্টাপাড়া, মালিহাতা, কলামুড়ি, আইড়া, জড়জরিয়াসহ আরও অনেক গ্রামে সংযোগ দিচ্ছে এই গ্যাস সিন্ডিকেট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ হয়েছে সদরের সুহিলপুর ইউনিয়নে। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার না হয়েও নিজের ইউনিয়নে ইচ্ছেমতো সংযোগ দিয়েছেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সদর উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন খন্দকার।
অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মহসীন খন্দকার বলেন, ভুক্তভোগীরা যদি আমার নাম বলে থাকে তাহলে আমি মনে করি এটি পুরোপুরি ষড়যন্ত্র। সরেজমিনে যাচাই করে দেখেন, কোনো লাইন থেকে যদি আমি টাকা নিয়ে থাকি, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়া হোক আমার বিরুদ্ধে। আমি এজন্য প্রস্তুত আছি।
তবে মহসিন ছাড়া অভিযোগ উঠেছে সুহিলপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আঙ্গুর হাজারির বিরুদ্ধেও। তিনি বলেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত বাখড়াবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। স্থানীয়
ঠিকাদারদের মাধ্যমে তারা এই কাজ করে থাকে। আর যখন কোনো সাংবাদিক এটা প্রচারে যায় তখন লাইন কাটার নামে নাটক শুরু করে। আসলে দুই একটার বেশি লাইন কখনোই কাটে না।
তবে বাখড়াবাদ কর্তৃপক্ষ বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা যে কারো বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবো।
বাখড়াবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ডিজিএম জাহিদুর রেজা বলেন, ভুক্তভোগী যারা অভিযোগ করছেন তাদের কাছে অবশ্যই প্রমাণ থাকতে হবে। যদি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা যে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছি।
শাসনের নীরবতা ভেঙে অবৈধ গ্যাসের হোতাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভোক্তাদের।
পি
মন্তব্য করুন