ইন্টারনেটে অন্ধকার দুনিয়ায় ডুব দেয়ার ঝুঁকিতে শিশুরা (ভিডিও)
পর্ন সাইট, অশ্লীলতা ও রসালো ওয়েবসিরিজের রমরমা আয়োজনে ভরপুর অনলাইন দুনিয়া। করোনায় শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে হওয়ায় ইন্টারনেটের অন্ধকার দুনিয়ায় ডুব দেয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি শিশু-কিশোররা। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও এখনও সচল রয়েছে অনেক সাইট। অনলাইনের খারাপ কনটেন্টগুলো এখনই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
করোনা দুর্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছয় মাসের বেশি সময় ঘরবন্দী শিশু-কিশোররা। প্রযুক্তি ব্যবহারে আসক্তির শঙ্কা নিয়েই অনলাইন কার্যক্রমে অংশ নিতে সন্তানের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ।
অনলাইনে ইতিবাচক ও শিক্ষণীয় দিকগুলোর পাশাপাশি রয়েছে অন্ধকার দুনিয়ার আরেক জগত। আর্থিক লাভের আশায় পর্ন সাইট, অশ্লীলতা ও কুরুচির ভিডিওগুলো সহজেই ভেসে উঠছে চোখের সামনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক আরটিভি নিউজকে বলেন, অপ্রাপ্ত বয়সের একজন শিক্ষার্থীর জীবন যাপন ও পড়ালেখার সাথে সম্পর্কিত এমন কনটেন্টগুলোর ক্ষেত্রে ভারতে রাষ্ট্রীয় কিছু নীতিমালা ও বিধিনিষেধ আছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরাও এই বিষয়গুলো চিন্তা করতে পারি।
২০১৫ সালে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পর্নগ্রাফি ও অশ্লীল কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু বাস্তবে এর তেমন কোনো সুফল মিলছে না।
এ ব্যাপারে আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, হাইকোর্টের আদেশটা এখনও বহাল আছে। যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন তারা এগুলো ভালো করে তদারকি করবেন। আর দায়িত্বে অবহেলা করলে, হাইকোর্টের আদেশ না মানলে আদালত অবমাননার অভিযোগের সম্মুখীন হতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বিতভাবে অনলাইন কার্যক্রমের খারাপ দিকগুলো সমন্বিতভাবে মনিটরিং করছে বলে জানান বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান।
নেতিবাচক দিকগুলো এড়িয়ে শিশু-কিশোরদের অনলাইনের ইতিবাচক বিষয়গুলোতে উৎসাহ দিতে অভিভাবকদের মূল ভূমিকা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এসএ/এমকে
মন্তব্য করুন