• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নেমে গেছে বন্যার পানি, রেখে গেছে ক্ষত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১২ আগস্ট ২০২০, ১৫:২৫
নেমে গেছে বন্যার পানি, রেখে গেছে ক্ষত
ফাইল ছবি

নেমে গেছে বন্যার পানি, রেখে গেছে ক্ষত। লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হলেও দুর্ভোগ রয়ে গেছে তিস্তা ও ধরলা পারের বানভাসিদের। দিন এনে দিন খাওয়া হতভাগ্য এসব মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে আরও দুর্বিষহ।

ছয় সপ্তাহেরও বেশি পানিবন্দি থাকার পর অবশেষে লালমনিরহাট থেকে নেমে গেছে তিস্তার পানি। তবে পানি নেমে গেলেও দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বানভাসিরা।

বন্যায় ডুবে থাকা ঘরবাড়ি, আমন বীজতলা, বাদাম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে সবকিছু মেরামতের চেষ্টা করছে তিস্তা পারের বানভাসিরা। ত্রাণ তৎপরতার কথা বলা হলেও অধিকাংশই কোনও সহায়তা পায়নি। জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ-খবর নেয়নি বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তারা বলছেন, আমরা কোনও সাহায্য পাই নাই। আমাদের চেয়ারম্যান আমাদের দেখে নাই। এবার ঈদ করতে পারিনি। খুবই কষ্টের মধ্যে আছি আমরা।

কেউ কেউ বলছেন, দুই বেলা খেতে পারি, আর অন্য বেলা না খেতে থাকি। আমাদের সবকিছু ভেঙে গেছে। খাবারের খুব অসুবিধা হচ্ছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম কাজ করার কথা থাকলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এলাকায় কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর দেখাই মিলছে না।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, ছয় থেকে ১২ ঘণ্টার মতন পানি থাকে। নদী ভাঙনে যারা সব কিছু হারিয়েছেন তাদের আমরা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছি। বন্যাকবলিত এলাকায় চাল ও নগদ অর্থ ছাড়াও শিশু ও গোখাদ্যের জন্যের সহায়তা দেয়া হয়েছে।

সীমাহীন দুর্ভোগ কমিয়ে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় সহায়তা চান লালমনিরহাটের বানভাসি অসহায় মানুষেরা।

এসএ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আরব আমিরাতে নজিরবিহীন বৃষ্টি, বহু ফ্লাইট বাতিল
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা, সতর্কতা জারি
কেনিয়ায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১৬৯
কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে নিহত ৪২
X
Fresh