এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার (ভিডিও)
ঈদের পর খুলছে না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিন পর, স্কুল-কলেজ খোলা হবে বলে জানালেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর বিভিন্ন শ্রেণীর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে আগের ক্লাসের নম্বর দেখে গড় রেজাল্ট করা যেতে পারে।
করোনা মহামারির কারণে মার্চ থেকে বন্ধ আছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন শ্রেণির প্রথম সাময়িক ও অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ঈদের পরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, এ বছর কোনও পরীক্ষা হবে না, সবাইকে অটো পাস করিয়ে দেয়া হবে” এ রকম নানা খবর ঘুরছে। কোনটা সত্য আর কোনটা অসত্য বুঝতে না পেয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এক শিক্ষার্থী বলেন, একজন ছাত্র হিসেবে আমার অনুরোধ যাতে অতি তাড়াতাড়ি আমাদের অনলাইন পরীক্ষা নেয়া হোক। অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলছে, পরীক্ষা না নিয়ে আগের রেজাল্ট গড় করে দেয়া আমি যৌক্তিক মনে করছি না।
আদমজী ক্যান্ট পাবলিক স্কুলে সিনিয়র শিক্ষক রওশন আক্তার চৌধুরী বলেন, এ বছরকে সামনের বছরের সঙ্গে হিসাব করে দুইটি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সিলেবাসটাকে ছোট করে আনা দরকার, কারণ আমাদের শিক্ষা জীবন এলোমেলো হয়ে গেছে। ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। আর তা সম্ভব না হলে গত বছরের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ করা যেতে পারে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক জানালেন, ঈদের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এবং কিছু দিন ক্লাস না হলে কোনও পরীক্ষা নেয়াও হবে না।
অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষার বিষয়টি নির্ভর করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই মাসগুলো আমরা দেখব তার পর চিন্তা করব। উপরে ক্লাসে যেতে শিক্ষার্থীদের যে জ্ঞান অর্জনের দরকার সেটা না হলে সে কিভাবে উপরের ক্লাসগুলো করবে বা বুঝবে।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর কিছু দিন পর পূর্ণ সিলেবাসেই এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করছি শিক্ষা কোন গুজবে কান না দেয়ার জন্য। গুজবকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান।
এসএ/এসএস
মন্তব্য করুন