• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হলেও নেই কার্যকারিতা (ভিডিও)

শরিয়ত খান, আরটিভি নিউজ

  ২৫ জুলাই ২০২০, ১৩:১৮

দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও কোনোটিই আসছে না। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। আবার এরই মধ্যে একের পর এক ফাঁস হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতের নানামুখী অনিয়ম-দুর্নীতির কেচ্ছা-কাহিনী।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে এখনই কঠোর কোনও উদ্যোগ না নিলে আগামীতে এর চড়া দাম দিতে হবে দেশকে। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

করোনা মহামারির শুরুটা হয়েছিলো চীনে। এরপর ইউরোপ-আমেরিকায় তাণ্ডব চালিয়ে আসে দক্ষিণ এশিয়ায়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। করোনা রুখতে ১০০ দিনের মতো সময় পাওয়া গেলেও যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার মাশুল গুণতে হচ্ছে এখন সবাইকে। যদি প্রশ্ন করা হয়, কী ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল? উত্তরটা কেবল, কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল!

শুরুতে রাজধানী ঢাকায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনের কথা বলা হলেও, পরে এ নিয়ে চরম ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সবশেষে সিদ্ধান্তটি, ধোঁয়া হয়েই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এরপর, ধাপে ধাপে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো খুলে দেয়া হয়। জীবনের জন্য জীবিকা’র কথা বলে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, চালু হয় গণপরিবহন। কথা ছিল, এসব ক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এজন্য মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। অথচ প্রথম করোনা শনাক্তের সাড়ে তিন মাস পর তার সবকিছুই যেন হারাতে বসেছে!

বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে, সফল হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের এমন উল্টোরথ বিপদের কারণই হবে- বলছেন, বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এখন জনগণ যদি না মানে এবং সচেতন না হয় তাহলে আমরা যে আশা প্রকাশ করছি যে জুলাই মাসে এর প্রকোপ কমে আসবে, কিন্ত আমার ভয় হচ্ছে, মনে হচ্ছে জুলাই মাসে এর প্রকোপ কমবে না। উল্টো বাড়তে পারে। মাস্ক সবার পরতে হবে, আর না পরলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে। তবে আমাদের নিজেদের রক্ষা নিজেদেরই করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের আশংকা, বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর দ্রুত এর সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে বিশ্ব অর্থনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়বে বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাবিশ্ব মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। আমরা এখনো যেতে পারিনি। আমাদের নেগেটিভ টেস্ট নিয়েও লোকজনের মধ্যে একটা বিশ্বাসের ঘাটতি হয়েছে, এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। আমার মনে হয়, আন্তর্জাতিক ডিপ্লোম্যাসি চালু রাখা উচিৎ, আমাদের উচিৎ বিদেশের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের সুপারিশ পূরণ করা।

তারা বলছেন, বাড়তি ভাবনাটা এখন বেহাল স্বাস্থ্য খাতকে নিয়েই। স্বাস্থ্য খাতের সুস্বাস্থ্য ফেরাতে তাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থা হিসেবে করোনা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বললেন এবং তা এখনই।

এসএ/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দ্রুত ছড়াতে সক্ষম করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফ্লার্ট
সংসদে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষোভ
করোনার টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অভিনেতার হার্ট অ্যাটাক!
২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
X
Fresh