• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিযবুত তাহরীরের নেতা গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পলাতক নেতা তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তাওহীদকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।   সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তাওহীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা ছিল। সেই মামলায় দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। অবশেষে রোববার (৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশী থানা এলাকা থেকে অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব আরও জানায়, ২০১৬ সালে ঢাকায় একটি কলেজের ছাত্রাবস্থায় হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে তাওহীদ। পরে তিনি ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে গিয়ে একটি ডেন্টাল ইউনিটে (বিডিএস) অধ্যয়নরত অবস্থায় জঙ্গিবাদী বই প্রচার ও তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করতেন।  এ ছাড়া বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করতেন বলেও জানায় র‌্যাব। শিহাব করিম জানান, গ্রেপ্তার তাওহীদের তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে হিযবুত তাহরীর অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার লালমাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪১

মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের যে বার্তা পাঠাল হিযবুত তাহরীর
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের ইমেইল দিয়েছে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন হিজবুর তাহরীর। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে এ মেইল পাঠানো হয়। মেইলটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, ছাত্রলীগের আগ্রাসন থেকে আমাদের মেধাবী সন্তানদের কে নিরাপত্তা দেবে? সেখানে আরও বলা হয়, বর্তমানে বুয়েট ক্যাম্পাস সরকারের গুন্ডাবাহিনী দ্বারা পদদলিত হচ্ছে। সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার আভাস দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইমেইলের শেষে হিজবুত তাহরীরের পক্ষ থেকে এ সরকারের বিরুদ্ধে সেনা হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়, যা এই উগ্রবাদী সংগঠনটি নিয়মিতই করে আসছে। এ প্রসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় আহমেদ লেখেন, কিছুক্ষণ আগে রাত ১২ টায় বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের হিজবুততাহরীরের খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে মেইল। একই সঙ্গে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করেছে হিজবুত তাহরীর। বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে হিজবুত তাহরীরের ইমেইল নতুন কিছু নয়। অভিযোগ রয়েছে, বুয়েটে নীরবে জঙ্গি কার্যক্রম বা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে হিবুজত তাহরীর। এর আগেও এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটির পক্ষ থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক আউটলুক ইমেইলে পাঠানো হয়েছে হিযবুত তাহরীরের ইমেইল। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বার্তা পাঠানো হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সকল শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর ধরে একাধারে প্রেরণ করা হয় এসব ইমেইল। এছাড়া বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশ কিছু স্থানে হিজবুত তাহরীর কিউআর কোডসহ তাদের জিহাদি বার্তার পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে যা নিয়ে কোন প্রতিবাদ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত ২৯ মার্চ থেকে ফের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। যেখানে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই।  এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ২৮ মার্চ। ছাত্রলীগের সভাপতি বুয়েটে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কমিটি দিচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। তবে তাদের পক্ষ থেকে বুয়েটে জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন শিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। পরে গণমাধ্যমে একপাক্ষিক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন ও মৌলবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের শুরুর দিকে গণমাধ্যমে প্রচারিত হিজবুত তাহরীর ও ছাত্র শিবির নিয়ে প্রকাশিত খবরকে অপপ্রচার বলে চালানোর চেষ্টা করেন বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক কিছু শিক্ষার্থী। তারা এনিয়ে  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যও করে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৪

জবিতে হিযবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণকালে ঢাবি শিক্ষার্থী আটক
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ ও শিক্ষকদের কক্ষে চিঠি বিতরণের সময় অনিক খন্দকার (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে লিফলেট বিতরণকালে তাকে সন্দেহজনক আটক করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন। অনিকের সঙ্গে প্রচারণার কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুজন শিক্ষার্থী। কিন্তু আটককালে পালিয়ে যান তারা। অনিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া ওই দুই শিক্ষার্থীর নাম সিফাত ও মুসাইব। তারা ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।   আটককালে অনিকের কাছে দেশে অরাজকতা ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উস্কানিমূলক লিফলেট, পোস্টার ও কিছু শিক্ষকের নাম সংবলিত চিঠি পাওয়া যায়। এসব লিফলেট ও পোস্টারে দেশের আইনশৃঙ্খলাকে বিনষ্ট ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কর্মপরিকল্পনা উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাসে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সতর্ক অবস্থানের কারণে তাদের সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। ঢাবির আটক শিক্ষার্থীকে আমরা ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। এখন আইন অনুযায়ী পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১

হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা আহম্মেদ নিজাম গ্রেপ্তার
রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা আহম্মেদ নিজাম (৩৫)-কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে র‌্যাব-২-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম এ তথ্য জানান। র‌্যাব জানায়, আহম্মেদ নিজাম ২০১০ সালে একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। সেখানে পড়া অবস্থায় তিনি হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি বাসায় বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতেন। পাশাপাশি অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে হিযবুত তাহরীরের গ্রুপ লিডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করতেন র‌্যাব কর্মকর্তা শিহাব করিম বলেন, গ্রেপ্তার আহম্মেদ নিজাম হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি এবং দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থেকে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৪টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় তিনি দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়