• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লাশের সুরক্ষা আইন প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
কবরস্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল চুরির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং সার্বজনীন লাশ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ সারাদেশের কবরের লাশ সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া যাদের লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান এ রিট দায়ের করেন। মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান। তিনি বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে পৃথিবীর অনেক দেশেই আইন আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত  কোনো আইন নেই।   ড. গোলাম রহমান বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ এসেছে। শত শত লাশ ও কঙ্কাল চুরির খবর এসেছে। লাশ চুরি করে বিক্রি করা হয়। কঙ্কাল চুরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিক্রি করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন থাকলেও বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। এজন্য সুনির্দিষ্ট একটি আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৮

উপাত্ত সুরক্ষা আইনের আওতায় নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি
ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের আওতায় নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) ও আর্টিকেল নাইনটিন। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন যৌথভাবে আয়োজিত ‘খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।   ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনের জন্য স্পষ্টভাবে ব্যক্তি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া এটি নির্মাণে ডেটাসেন্টার নির্মাণ ও স্থানীয়করণের জন্য আমরা প্রস্তুত নই এবং আমাদের অবকাঠামোগত দুর্বলতাও আছে। আর সেটি যদি করাই হয়, তবে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে তা নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। আর এটাকে আমরা একটি কমিশন হিসেবে দেখতে চাই এবং তা অবশ্যই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে। তিনি বলেন, আইনের সরকারি বেশকিছু সংস্থাকে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় অবাধে ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি বলে মনে করি। জাতীয় স্বার্থ বা জনস্বার্থের ব্যাখ্যা নেই, আমার মনে হয় সেই ব্যাখ্যাও আইনে থাকতে হবে। একইসঙ্গে ওই তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা মনে করি সরকার ইতিবাচক হিসেবে আইনটি সংশোধন ও প্রয়োগ করবে। আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, আমরা অধিকারভিত্তিক দিক-নির্দেশনা দেখতে চাই এই আইনে। মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বা মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে এই আইন প্রয়োজন। আর অপব্যবহারের জন্যই যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার; সেভাবেই যেন এই আইনটাও আইনটা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সরকার জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। আর এটা করার মাধ্যমে আমরা সরকারকেই সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক যে এখানে অনেক ভালো দিক আছে, তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেমন ভালো দিকের তুলনায় খারাপটা আমরা বেশি দেখেছি, এটা এভাবে হলে এখানেও ঠিক তাই হবে। আর ডেটা প্রটেকশন অফিসার, ট্রেনিংপ্রাপ্ত ব্যক্তি এদেশে নেই। সেখান থেকে টেকনিক্যাল পরিবর্তনও প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, খসড়া আইনটিতে ব্যক্তিগত উপাত্তের সংজ্ঞা সুস্পষ্ট ও পর্যাপ্ত করা; বিচারিক নজরদারির মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা এবং সর্বোপরি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদারকি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ বেশকিছু সুপারিশ টিআইবি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল। যার আংশিক গ্রহণ করা হয়েছে। বক্তব্যে আরও বেশ কিছু দাবি উঠে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে আইনের ভিত্তি মজবুত করা, ব্যক্তিগত ডেটাতে ফোকাস করার সুযোগ সংকুচিত করা, ডেটা স্থানীয়করণের বিধানগুলো সংশোধন করা কিংবা সম্পূর্ণরূপে অপসারণ, স্বাধীন ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, ব্যক্তিগত ডেটা অ্যাক্সেসের জন্য বিচারিক তত্ত্বাবধায়ন ও জনস্বার্থে কার্যকলাপের জন্য ছাড় সীমিতকরণ ইত্যাদি। টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন এর যৌথ উদ্যোগে সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২০

ইসরাইলি গণহত্যাকে সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : হামাস
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যাকে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইল গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। রোববার (২১ এপ্রিল) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইল গাজায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বলে গত শনিবার জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের ভেটো কার্যকরভাবে তেল আবিবের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করছে।  আনাদোলুর সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়াহ আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রতারণামূলক, যদিও দেশটি বলে, তারা বেসামরিক লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না, তবে এটি তাদের একটি কৌশল। মার্কিন অস্ত্র, মার্কিন রকেট, মার্কিন রাজনৈতিক সুরক্ষায় গাজায় হাজার হাজার শহিদ ও বেসামরিক সকল নাগরিক নিহত হয়েছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৭

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ। আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবর্জনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোববার ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসাথে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৪ হাজার ২৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে সহজতর করা হয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সব চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত সেবার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকারকে অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল অর্জনকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং ‘বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭

ডিজিটাল সুরক্ষা প্রশিক্ষণে সনদ পেলেন ২৫ নারী সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ
ডিজিটাল প্লাটফর্মের অধিকতর নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় ২৫ জন নারী সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদকে সনদ দিলো ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। সফলভাবে এই কোর্স সম্পন্ন করায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল ওল্ডস।  টেক জায়ান্ট মেটা’র সহায়তায় ‘সিভিক এনগেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ১৭টি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নারী সাংবাদিক এবং আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ৮ জন নারী রাজনৈতিক কর্মী একই সাথে ‘সেফার ডিজিটাল স্পেসেস ফর উইমেন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেন। ডিজিটাল যুগে গণমাধ্যমের অবস্থান, নারীর ক্ষমতায়নে ডিজিটাল টুলসের ব্যবহার, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন ও ফেইক নিউজ চিহ্নিতকরণ, তথ্য যাচাইয়ের বিভিন্ন কৌশল, সামাজিক মাধ্যমের গাইডলাইন পলিসি, ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্যের নিরাপদ ব্যবহার, নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিন দিনের আবাসিক কর্মশালা ও ১০ দিনের অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করেন অংশগ্রহণকারীরা। প্রশিক্ষণ বিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক রাবেয়া বেবি বলেন, এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সেই কৌশলগুলোই আমরা হাতে কলমে শিখতে পেরেছি যা ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের নিরাপদ রাখবে।  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের উপশিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা বলেন, এখান থেকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে যা জেনেছি তা আমার দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আমি ছড়িয়ে দিতে চাই।  জাতীয় পার্টির নেত্রী শাহিদা রহমানও এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান দলের কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে উপকৃত হতে চান।  আর বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা বলেন, এই প্রশিক্ষণে শুধু ফ্যাক্ট চেকিং-ই জেনেছি তা নয় পাশাপাশি সাংবাদিকরদের সাথে একটি কার্যকর নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ হয়েছে। নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি নারী ও যুবদের ক্ষমতায়নের লক্ষে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ ছাড়া প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে আসছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৪

সুরক্ষা বিতর্কে পদত্যাগ করছেন বোয়িংয়ের সিইও
সুরক্ষা ঘাটতি নিয়ে বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ডেভ ক্যালহাউন। রদবদল আসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই বহুজাতিক সংস্থার শীর্ষস্থানীয় একাধিক পদেও। যেমন, অবিলম্বে অবসর নিতে যাচ্ছেন বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স বিভাগের প্রধান। এছাড়া চেয়ারম্যান আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছে বোয়িং। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জানুয়ারিতে উড্ডয়নের পরপরই একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স প্লেনের অব্যবহৃত দরজা খুলে উড়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও প্রশ্ন দেখা দেয় সংস্থাটির সুরক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বোয়িংয়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছিল। এ ব্যাপারে সিএফআরএ রিসার্চের ইক্যুইটি বিশ্লেষক স্টুয়ার্ট গ্লিকম্যান বলেন, বোয়িংয়ের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন প্রয়োজন। সংস্থাটির বর্তমান যে সংকট, তা এর করপোরেট সংস্কৃতির সমস্যা থেকেই উদ্ভূত হয়েছে এবং এর সমাধান কেবল নতুন চিন্তাধারা দিয়েই সম্ভব। ২০২০ সালের শুরুর দিকে বোয়িংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির জেরে তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ডেনিস মুয়েলেনবার্গ পদচ্যুত হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন ক্যালহাউন। মুয়েলেনবার্গ দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রায় একই ধরনের দুর্ঘটনায় পতিত হয় দুটি নতুন ৭৩৭ ম্যাক্স প্লেন। এতে প্রাণ হারান ৩৪৬ জন যাত্রী ও ক্রু। এমন বিপর্যয়কালীন পরিস্থিতিতে বোয়িংয়ের বোর্ড সদস্য থেকে সিইও পদে উঠে আসেন ক্যালহাউন। প্রধান নির্বাহী হয়েই সংস্থাটির নিরাপত্তা সংস্কৃতি জোরদার এবং মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই আলাস্কা এয়ারলাইনসের একটি নতুন বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স প্লেনের জরুরি বহির্গমন দরজা উড়ে যায়। এ ঘটনায় বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত হচ্ছে। পাশাপাশি প্লেনটিতে থাকা যাত্রীদের অনেকেও আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি করছে সংস্থাটিকে। আলাস্কা এয়ারলাইনসের ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দরজাটিতে চারটি বোল্ট লাগানো ছিল না।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১

এবার হাইকোর্টে লাশের সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি রোধে রিট
এবার হাইকোর্টে সারাদেশের কবরের লাশ সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাদের লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। বিশ্বের অনেক দেশেই এ সংক্রান্ত আইন আছে। কিন্তু লাশ সুরক্ষায় বাংলাদেশে কোনো আইন করা হয়নি। তিনি বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিউজ এসেছে। শত শত লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে। লাশ চুরি করে বিক্রি করা হয়। কঙ্কাল চুরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিক্রি করা হয়। এমনটি পাচারেরও খবর আসছে গণমাধ্যমে। এজন্য আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্ট বেঞ্চে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

আগামী সংসদেই সুরক্ষা আইন পাস করতে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী 
আগামী সংসদেই (স্বাস্থ্য) সুরক্ষা আইন পাসের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন্স (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। আইনটি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি ঢাকার বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছি এটা নিয়ে। রমজান মাসজুড়ে আমি মিটিং করবো। এ সময় অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি সেগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অবশ্যই সেগুলো যেন মনিটরিং করে তারপর বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ বিশাল জায়গা, শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করলে হবে না। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা ইউনিয়নের নেতারাও হাসপাতালগুলো দেখবেন। যদি কোনো অসঙ্গতি পান তবে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো। পরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আসন বাড়ানো নিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মানসম্মত শিক্ষক বা ট্রেনিং দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে সে আসন বাড়ানোর পক্ষে আমি না। যখন দেখবো মানসম্মত চিকিৎসক আছেন, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ আছে, ভালো মানের ডাক্তার আছে, তখনই আমি আসন বাড়াবো।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৬

সামাজিক সুরক্ষা ভাতা বাড়ানোর দাবি সংসদে
সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা- এসব ভাতাগুলো এখনো যতজন পাওয়ার কথা তাদের অনেকে পাচ্ছেন না। বর্তমানে সর্বোচ্চ ভাতা ৭০০ টাকা। এই  দুর্মূল্যের বাজারে ৭০০ টাকা দিয়ে জীবন ধারণ কোনোমতেই সম্ভব না। তিনি এই ভাতা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার দাবি জানান। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক সচ্ছল ব্যক্তি বয়স্ক ভাতা পান। যেখানে অতি নিম্ন আয় বা আয়হীন সব মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এনে বেঁচে থাকার ন্যূনতম সব ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। সেখানে সচ্ছল ব্যক্তিদের ভাতা দেওয়া ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এসব বন্ধ করে যারা পাওয়ার উপযুক্ত তাদের সবাইকে ভাতার আওতায় এনে ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেন তিনি।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়