• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কৌতুকাভিনেতা দিলদারের স্ত্রী ও সন্তানেরা কেমন আছেন?
আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদার। চলচ্চিত্রে যার উপস্থিতি মানে হাসি। তার অভিনয় দেখে দুঃখ ভুলেছেন কোটি কোটি দর্শক। পর্দায় তাকে দেখে হাসবেন না এমন দর্শক পাওয়া কঠিন। যতক্ষণ তিনি অভিনয় করবেন, ততক্ষণই মুগ্ধ হয়ে সবাই শুধু তাকেই দেখবেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘হাসির রাজা’খ্যাত এই অভিনেতার শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জন্মদিন।  দিলদারের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে। এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন এই অভিনেতা। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে ‘কেন এমন হয়’ ছবিতে অভিনয় দিয়ে অভিনেতা দিলদার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন দিলদার।দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র দিলদারের কৌতুক অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে। দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম থাকেন ডেমরা। দুই মেয়ের বাসায় প্রায়ই আসেন। মাসুমা আক্তার বলেন, আমরা আম্মাকে সব রকম স্বাধীনতা দিয়েছি। তিনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই। তিনি যদি মনে করেন আমাদের সঙ্গে থাকবেন, সেখানে কোনো বাধা নেই। তিনি মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন, আবার ডেমরায় থাকেন—এটা বেশ পছন্দ করেন। তাঁর বয়স ৬৮ বছরের মতো হবে। এখনো তিনি নিজের মতো থাকেন। মা নিজের খরচও আমাদের কাছ থেকে নিতে চান না। অনেকেই মনে করেন দিলদারের স্ত্রী ডেমরা বাসায় একা থাকেন। তাঁর দেখার কেউ নেই—এসব সত্য নয় বলে জানালেন পরিবারের সদস্যরা।  পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে তিনি কাজ করেছেন দিলদার। অথচ এখন তার পরিবারের খোঁজ খবর নেয়না চলচ্চিত্রের কোন মানুষ। জন্মদিন ও মৃত্যু দিবস কোন প্রকার স্মরণ ছাড়াই চলে যায়। দিলদারকন্যা জিনিয়া জানান, আব্বা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরেও অনেকেই খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু এখন মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই আমাদের। বিশেষ করে কৌতুক অভিনেতা আনিস আঙ্কেল বাবার অনেক কাছের বন্ধু ছিলেন। আমাদের সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি খোঁজ রাখতেন। তিনিও তো আর নেই। 
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়