• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিয়ের আগেই সন্তান জন্ম, স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী
বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ। ‘বরফি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। গেল বছর পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন তিনি। তার সন্তান জন্মের খবরে নড়েচড়ে বসেছিলেন নেটিজেনরা। বিয়ের আগে সন্তানের আগমনের বিষয়টি অনেকেই সেসময় ভালো চোখে দেখেননি। কটাক্ষে মেতেছিলেন কেউ কেউ। অভিনেত্রীর সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। তারপর জানা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মাইকেল ডোলানকে বিয়ে করেছেন ইলিয়ানা। এবার অভিনেত্রী মুখ খুললেন তার স্বামী মাইকেলকে নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়ানা বলেন, বিবাহিত জীবন সুন্দরভাবে চলছে। আমি তার কোনো জিনিসটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা বলা সত্যিই কঠিন। আমাকে সত্যিই ভাবতে হবে কারণ আমার মনে হয় যখনই আমি এরকম কোনো উত্তর দেই, সেখানে কিছু না কিছু বাকি থেকে যাবে। পরেরদিন হঠাৎ করে তোমার মাথায় আসবে। আরও বলেন, তিনি আমাকে আমার সবচেয়ে খারাপ সময় পার করতে দেখেছেন। তিনি আমাকে আমার সেরা কিছু সময়ের মধ্য দিয়েও দেখেছেন। তিনি প্রথম দিন থেকেই আমার পাশে ছিলেন। তার ভালোবাসার অবিচ্ছিন্ন সমর্থন আমার প্রতি ছিল সবসময়তেই। অনেকটা আমার সিনেমা দো অর দো প্যায়ারের মতো। অস্ট্রেলিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রিউ নিবোনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ইলিয়ানা। একাধিকবার তার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন। ২০১৯ সালে দুজনের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। অ্যান্ড্রিউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করতে চাইলেও ইলিয়ানা বিচ্ছেদের খবর স্বীকার করে নেন।  তারপর খবরে এসেছিল ক্যাটরিনা কাইফের ভাই সেবাস্টিয়ান লরেন্ট মিশেলের সঙ্গে প্রেম করছিলেন ইলিয়ানা। সেই প্রেম নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাকে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দিয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি। পরে প্রকাশ করেন সন্তানের বাবার পরিচয়।
২ ঘণ্টা আগে

নিখোঁজের ২০ বছর পর মা-বাবার কাছে ফিরলেন সন্তান 
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে দীর্ঘ ২০ বছর পরে নিখোঁজ হওয়া সন্তানের দেখা পেয়েছেন এক পরিবার। এদিকে নিখোঁজ থাকা সন্তানকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মা-বাবা। বলছিলাম উপজেলার রায়হানপুর-কাকচিড়া পুরান ভাড়ানী খাল সংযোগ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে সেলিম মিয়ার বড় পুত্র নিখোঁজ হওয়া শ্যাম্ভুর কথা।  নিখোঁজের ২০ বছর পরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে কাকচিড়া বাজারে এসে বাবার নাম ধরে জিজ্ঞেস করতে করতে পৌঁছে যায় তার পরিবারের কাছে, ছেলেকে পেয়ে আবেগময় হৃদয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন শ্যাম্ভুর মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। পরিবারে মা-বাবা, ভাই সোহেল ও সেলিনা নামের বোন রয়েছে। শ্যাম্ভুর বর্তমান বয়স প্রায় ৩৬ বছর, তার কথা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনো সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হয়নি। বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্যাম্ভুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাড়ি থেকে না বলেই চট্টগ্রাম যাই, সেখান থেকে গিয়ে সিলেটে থাকা শুরু করি, এতদিন থাকার পরে বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছিল, তাই ঠিকানা পুরোপুরি মনে না থাকা স্বত্বেও অনুমান করে করে বাড়িতে পৌঁছাই। এদিকে নিখোঁজ সন্তানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তার মা-বাবা বলেন, ২০০৫ সালের শেষের দিকে না বলে আমাদের সন্তান বাড়ি ছাড়ে, তখন বয়স ছিল ১৬ বছর, সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি, হয়তো আল্লাহ আমাদের ওপরে দয়া করে আমাদের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন। সন্তান কাছে পেয়ে আমাদের পুরো পরিবার খুবই আনন্দিত।   তারা আরও বলেন, সিলেট যে জায়গায় এতদিন বসবাস করতো সেই মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে সেখানে শ্যাম্ভুর তিনটি অটোরিকশা আছে, সবকিছু মিলিয়ে আমরা ছেলেকে নিয়ে সিলেটে যাব মালিকের সঙ্গে দেখা করে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে নিয়ে আসবো।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭

সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্ম, বেঁচে নেই কেউ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই মায়ের গর্ভে ৬ সন্তানের জন্ম হয়েছে।  বুধবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা এমন বিরল ঘটনাটি ঘটে।  সখীপুরে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।  প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়া জানান, আমার ভাগ্নের স্ত্রী সুমনা আক্তার (২৬) প্রায় ৫ মাস যাবৎ অন্তঃসত্ত্বা। ঈদের দিন হঠাৎ আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সুমনার অবস্থা অবনতি হলে, তাকে দ্রুত মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।  তিনি আরও জানান, কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সুমনার পেটে ৬ বাচ্চার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে ৪টি মেয়ে ও ২টি ছেলে প্রসব করানো হয়। ওই প্রবাসীর স্ত্রীর গর্ভে ৬ সন্তান কেউই বেঁচে নেই। প্রবাসীর স্ত্রীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এ বিষয়ে বহুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই দম্পতির আগে কোনো সন্তানাদি ছিল না। এমন ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

ঈদযাত্রায় ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন প্রসূতি
রাজশাহীগামী আন্তনগর ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস’ ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী।  পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ ‘ঙ’ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত ‘ঙ’ নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি। এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে ‘ঙ’ বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।  জন্ম প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি, তাই বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক। এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৯

স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় সৎ মেয়েকে হত্যা
স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় মেয়ে জোনাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন সৎ মা নার্গিস বেগম। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে লাশ উদ্ধারের ১০ ঘন্টা পর হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। এসব তথ্য জানান যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, এ ঘটনায় নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নার্গিস পুলিশকে জানান, এ পর্যন্ত তিনবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছেন স্বামী। সেই ক্ষোভে তিনি সৎ মেয়ে জোনাকিকে কৌশলে বাড়িতে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে। সে তার নানির কাছে থাকত। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে পুকুর থেকে জোনাকির (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় তার সৎ মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন জোনাকির সৎ মা নার্গিস বেগম। হত্যার দায় স্বীকারের পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নার্গিস জানান, তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই জোনাকিকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে লাশ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, জোনাকি সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় ডিজি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার বাসার পিছনের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঈদের আগে বেড়াতে এসে সৎ মায়ের হাতে খুন হয় শিশু জোনাকি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০

সন্তান কোলে নারীর আত্মহত্যা, বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক কলেজছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ-সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮) এবং গাইবান্ধা সদরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রাজিয়া বেগম দেড় বছরের শিশু সন্তান কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এ সময় কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া তাদের বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ ঘটনায় কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন মা
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে আন্তঃনগর ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন জান্নাতুন (৩০) নামের এক মা। জান্নাতুন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকার বাসিন্দা ও ইকবাল মিয়ার স্ত্রী। রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও তালশহর এলাকার মাঝামাঝি চলন্ত ট্রেনে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন।  ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে মা ও নবজাতককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সস্ত্রীক ট্রেনে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন ইকবাল। ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন অতিক্রম করার পর ইকবালের স্ত্রীর প্রসবব্যথা ওঠে। ট্রেনটি আশুগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ওই বগিতে থাকা এক নারী চিকিৎসকসহ অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন ওই মা। নবজাতকের বাবা ইকবাল মিয়া বলেন, আমরা ‘ড’ বগিতে ছিলাম। ভাগ্য সহায় থাকায় এ বগিতে একজন নারী চিকিৎসক ছিলেন। ট্রেনেই আমার স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেন। পরে রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে। এটি আমার দ্বিতীয় সন্তান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রসূতি সন্তানপ্রসব করায় ঢাকা কন্ট্রোল রুমের নির্দেশে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। পরে মা ও সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:২১

সন্তান প্রসবের পর নারী ফুটবলারের মৃত্যু
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় নারী ফুটবল টিমের সদস্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সাতক্ষীরার মেয়ে রাজিয়া সুলতানা। তবে অল্প বয়সেই মৃত্যু বরণ করেছেন তিনি। জানা গেছে, সন্তান প্রসবের পর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুলতানার। নেপালকে হারিয়ে সাজজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ফুটবলার। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামে নিজবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের বরাত দিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদি গণমাধ্যমকে বলেন, ফুটবলার রাজিয়া সুলতানা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।  ‘গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। এরপরেই রাত তিনটায় হঠাৎ রাজিয়া স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাকে কালিগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভোর চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। বাদ জোহর তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।’ তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ফুটবল প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড় ছিলেন রাজিয়া। পরবর্তীতে জাতীয় নারী ফুটবল দলে খেলার সুযোগ হয়। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় নারী ফুটবল টিমের হয়ে ভুটানে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে কিছুদিন আগে পরিবার থেকে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। তার অকাল মৃত্যুর খবরে আমরা শোকাহত। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক রাজিয়া সুলতানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেলের হাত থেকে পুরস্কার নিতে দেখা গেছে। এখন সেগুলো শুধু স্মৃতি হয়ে পরিবারের কাছে ঘরের দেওয়ালে শোভা পাবে।  
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৬

সন্তান বিক্রির পর অনুশোচনায় ৯৯৯ নম্বরে মায়ের ফোন, অতঃপর..
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে সন্তান বিক্রি করার পর অনুশোচনায় ৯৯৯ নম্বরে এক মায়ের ফোন কলের পর বিক্রিত সন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মর্চ) দুপুরে কোনাবাড়ি থেকে ওই নারী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।  পুলিশ জানায়, ফোনে ওই নারী বলেন, ‘আমি একটা ভুল কইরা ফালাইছি। তিন দিন আগে আমার এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। আমার স্বামী নাই। তারে মানুষ করতে পারমুনা ভাইব্বা পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি কইরা দিছি। আগের ঘরের ছয় বছর বয়সী আরেকটা মেয়ে আছে। প্রথম ঘরের মেয়েরে মাইন্না নেয়না দেইখা দ্বিতীয় স্বামীর লগে তিন মাস আগে ছাড়াছাড়ি হইয়া গেছে। মেয়ে বিক্রির টাকা এহনো ছুইয়া দেখি নাই। ওই টাকা ফিরাইয়া দিয়া আমার মেয়েরে আমি ফিরত চাই। দয়া কইরা উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। আমার মা-বাবা কোনো আত্মীয় নাই। আমি এতিম।’ ওই নারীর দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল আনোয়ার কোনাবাড়ি থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। এরপর কোনাবাড়ি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে গাজীপুরের নামাপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে কলার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়।  কোনাবাড়ি থানা পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান জানান, উদ্ধারকৃত সন্তান তার মাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৫

চতুর্থবার মা হলেন গ্যাল গ্যাডোট
সম্প্রতি কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাডোট। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মা হলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে সন্তানের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে সুখবরটি নিজেই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।   ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন— ‘আমার মিষ্টি মেয়ে, তোমাকে স্বাগত। সন্তান ধারণ করা সহজ নয়। তবে তুমি আমার জীবনে একরাশ আলো নিয়ে এসেছো। তাই তোমার নাম রেখেছি অরি। হিব্রু ভাষায় যার অর্থ আলো। আমাদের হৃদয় তোমায় পেয়ে ভরে গিয়েছে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যায়, গ্যালের বুকের ওপর শুয়ে আছে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুটি। আর নবজাতককে কাছে পেয়ে তৃপ্তিতে চোখ বুজে রয়েছেন গ্যাল গ্যাডোট।  গ্যাল গ্যাডোটের আরও তিন কন্যাসন্তান আছে। তৃতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু চতুর্থবার মা হওয়ার খবর আগে থেকে কাউকে জানতে দেননি এই অভিনেত্রী। বলা যায়, আচমকাই ভক্তদের সুখবরটি দিলেন গ্যাল গ্যাডোট।   প্রসঙ্গত, গ্যাল গ্যাডোটের স্বামীর নাম জ্যারোন ভার্সান। প্রথম কন্যাসন্তান আলমা আসার পর দ্বিতীয় সন্তান মায়ার জন্ম দেন গ্যাল। ২০২১ সালে তৃতীয় বার মা হয়েছেন তিনি। তিন বছরের মাথায় চতুর্থবার মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন। তবে তার মা হওয়ার খবরে খুশি হওয়ার পাশাপাশি বিস্মিত নেটিজেনদের একাংশ। সূত্র : আনন্দবাজার 
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়