• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরিচয়ে লেখক, আদতে ভয়ঙ্কর শিশু পর্নোগ্রাফার
তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক ও চিত্রগ্রাহকও বটে। বেশির ভাগ কাজ করেন পথশিশুদের নিয়ে। টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত এ শিশুসাহিত্যিক জড়িয়ে পড়েছেন জঘন্য এক অপরাধে। শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি ও বিদেশে বিক্রির অভিযোগে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।  এ সময় এক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও শিশু পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট ও পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম জব্দের কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের এন্টি ইলিগ্যাল আর্মস রিকোভারি টিম। তারা হলেন টি আই এম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া ও মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ফকরুজ্জামান এক সময়কার খুব জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক। তিনি টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত। টিপু কিবরিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বাংলায় স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সেবা প্রকাশনীর মাসিক ‘কিশোর পত্রিকা’য় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিশু সাহিত্য রচনা করতেন। তার অর্ধশতাধিক বই রয়েছে।  পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৫ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়ান টিপু কিবরিয়া। দীর্ঘদিন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পর ২০১৪ সালে সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হন এবং তার নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সাহিত্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিপু কিবরিয়া। ‘একশো এক’ নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ করে। একই সাথে, সাহিত্য চর্চার আড়ালে পুনরায় শিশু পর্নোগ্রাফির সেই পুরোনো পথেই হাঁটতে শুরু করেন টিপু কিবরিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট বানান। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংবাদিক বেশে পথশিশুদের অর্থের লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে নিজের ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির নগ্ন ছবি, শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন। নিজের বাসা ছাড়াও বিভিন্ন পার্কের নির্জন ঝোপঝাড়ে এই ছিন্নমূল শিশুদের একই প্রক্রিয়ায় অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। শিশুদের সংগ্রহ করার জন্য তার কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। যাদের মধ্যে একজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো থেকে প্রায় ২০ জন পথশিশুর ছবি ভিকটিম হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। তার ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা প্রায় ২৫শ’ শিশুর স্থিরচিত্র ও প্রায় এক হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। তিনি এসব কনটেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিকৃত রুচির গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতেন। অভিযান পরিচালনার সময় তার বাসায় তার ব্যবহৃত ডেস্কটপটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি MEGA এবং Totanota নামক দুইটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে তার ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করেন। এ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জর্মানির নাগরিকসহ প্রায় ২০-২৫ টি Totanota ও MEGA আইডি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যারা এসব আইডি দিয়ে মূলহোতা টিপু কিবরিয়ার সাথে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য যোগাযোগ করত। এ ছাড়া তার ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫শ’ শিশু পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা স্থির চিত্র ও প্রায় এক হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গিয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৩

গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা, ওষুধের তীব্র সংকট
প্রচণ্ড গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তাপদাহের কারণে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শিশুদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগই ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। প্রতিদিনই এসব রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুদের গরমজনিত ডায়েরিয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে শিশুদের ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বলেন, বয়স্ক রোগীদের ওষুধ পর্যাপ্ত থাকলেও শিশুদের ওষুধের সরবরাহ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসায় অপরিহার্য স্বল্পমূল্যের বিভিন্ন সিরাপ যেমন প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিন সিরাপের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ওষুধ সংকটের কারণে বিভিন্ন জটিল রোগ নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুদের সুচিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এ সময় গরমে অসুস্থতা প্রতিরোধে শিশুদেরকে খোলামেলা পরিবেশে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৯

নৌকা থেকে নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজ
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে ডুবে মো. জুনায়েদ মিয়া (১০) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। তাকে উদ্ধার করতে নৌ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের ডুবুরি দল যৌথভাবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালায়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে শহরের পুরাণ বাজার ব্রিজের পশ্চিমে এবং পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের পূর্ব পাশে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। জুনায়েদ পুরান বাজার কলেজ এলাকার বাসিন্দা মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র ছিল। সে সাঁতার জানতো না। নদীর পাড়ে বেধে রাখা নৌকা থেকে পানিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন দেখেন। সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর নৌ ইউনিটের ইনচার্জ মো. মুসলিম মিয়াজী। তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে দুপুর ২ টা ৪০ মিনিট নৌ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং কার্যক্রম শুরু করেন। ওই সময় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের ডুবুরি দল। যৌথভাবে কিছু সময় বিরতি নিয়ে দুটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কিন্তু নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি। বুধবার সকাল ৮টা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চলবে এবং শিশুকে উদ্ধার করা পর্যন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৩

শিশু হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর চাঞ্চল্যকর পাঁচ বছরের শিশু মিরাজ হত্যা মামলায় মমতাজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ রায় প্রদান করেন।  দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মমতাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক। আসামি মমতাজ উদ্দিন ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মৃত মীর উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু মিরাজ কাজী একই গ্রামের মাহাবুব কাজীর ছেলে।  খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মমতাজ উদ্দিনের বোন মর্জিনা বেগম, ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছেলের বউ জেসমিন আরা। দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই শিশু মিরাজ কাজী প্রতিবেশী মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরদিন ৯ জুলাই ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই নিহত শিশুর বাবা মাহবুব বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৫

স্থগিতই থাকবে শিশু নূরীর মায়ের জামিন
আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মানববন্ধনে কান্না করে আলোচনায় আসা শিশু নূরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ওই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে জামিন বহাল রাখতে হাফসা আক্তারের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে চেম্বার জজ আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল রইল আপিল বিভাগেও। সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন হয়। সেদিন নূরজাহান ও আকলিমার মতো মানববন্ধনে এসেছিল আরও কিছু শিশু। মানববন্ধনের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল, ‘রাজবন্দিদের স্বজন’। মানববন্ধনে কান্না করে আলোচনায় আসা শিশু নূরীর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া ২৯ নভেম্বরের মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তার বড় ছেলে হামিদকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। অথচ হাফসা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯

হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু
এসি বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। পুড়ে গেছে বেড, ওষুধপত্র, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য যন্ত্রপাতি। অল্পের জন্য রক্ষা পেল কার্ডিয়াক আইসিইউতে থাকা ৭ শিশু রোগী। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার পর এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গেছে, শিশু হাসপাতালের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক আইসিইউ ইউনিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের ধোঁয়ায় নিমজ্জিত হয়ে যায় পুরো হাসপাতাল। হাসপাতাল ভবনজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিস্ফোরিত গ্যাসের গন্ধ। কার্ডিয়াক আইসিইউতে ৭ শিশু রোগী ছিল, তাদেরকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য আইসিইউ ও ওয়ার্ড থেকে সব রোগীদেরও সরিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণের পর আমাদের ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালায়। তবে আমরা কোনো ভুক্তভোগীকে পাইনি। আগুন লাগার পরপরই আইসিইউতে থাকা সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি আইসিইউর ভেতরে এসি ছিল। সেটা থেকে হয় তো আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা।    
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৩

চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ 
চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত তামিম হোসেন (৭) নামের এক শিশুকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১২ এর সদস্যরা। এ সময় অপহরণকারী আল-আমিনকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ র‍্যাব-১২ এর সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন। গ্রেপ্তার হওয়া আল-আমিন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মেষতলী বাজার এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। অপহৃত তামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার হানুরবাড়াদি গ্রামের মো. সুন্নত আলীর ছেলে। বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত তামিম হোসেনকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাব সদস্যরা। র‍্যাব-১২ অধিনায়ক বলেন, অপহৃত তামিম হোসেনের বাবা সুন্নত আলীর সঙ্গে অপহরণকারী আল-আমিনের প্রায় দুই মাস আগ থেকে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এ সুযোগে কৌশলে আল-আমিন গত ১৭ এপ্রিল বুধবার দুপুরে বাড়ির পেছন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তামিম হোসেনকে। এ ঘটনায় তামিমের বাবা চুয়াডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি র‍্যাব-১২ জানার পর তামিমকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। বুধবার রাতে বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অপহৃত তামিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে হয়। র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তামিমকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হতো। কিন্তু অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত তামিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র‍্যাব সদস্যরা। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৯

ভাষানটেকে বিস্ফোরণ / দগ্ধ শিশু লামিয়াও বেঁচে রইল না
রাজধানীর ভাষানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সবশেষ শিশু লামিয়ার (৭) মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, শরীরের ৫৫ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই লামিয়ার অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। এর আগে, লামিয়ার মা সূর্য বানু, বাবা লিটন মিয়া ও নানি মেহেরুন্নেছা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই ঘটনায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি লামিয়ার বড় বোন লিজা (১৮) ও ভাই সুজন (৮)। তারাও শঙ্কামুক্ত নন। উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের ভাসানটেক এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেন মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)। এরমধ্যে মেহরুন্নেসার ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০১

বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের অবুঝ শিশু জুনায়েদ
বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের শিশু জুনায়েদ ইসলাম। গত বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান জুনায়েদ মা-বাবা। গুরুতর আহত হয় সে নিজেও। তবে মা-বাবার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও বুঝতে পারেনি ছোট্ট এই অবুঝ শিশু। এ বাড়ি, ও বাড়ি মা-বাবাকে খুঁজে ফিরছে অসহায় নিষ্পাপ শিশু জুনায়েদ। সে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার নারিকেলি গ্রামের নিহত আনসার ভিডিপি সদস্য এনামুল হক (৪০) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনের (৩২) ছেলে। স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ জুনায়েদকে নিয়ে বুধবার ভোরে মোটরসাইকেলে নওগাঁর নওহাটা এলাকায় এক কবিরাজের বাড়িতে গিয়েছিল এনামুল ও বৃষ্টি। বাড়ি ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের সাহাপুর মোড়ে অপর মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সড়কে ছিটকে পড়া এনামুল ও বৃষ্টিকে দ্রুতগতির একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ৫ বছরের জুনায়েদ। যদিও তার মাথা ও মুখে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নারিকেলি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জুনায়েদ বসে আছে ফুফুর কোলে। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর থেকেই এদিক ওদিক মাকে খুঁজছে সে। স্বজনরা বিভিন্নভাবে তাকে ভোলানোর চেষ্টা করছেন। আক্কেলপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম মাহমুদা জানান, দাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়