• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবারিয়া গ্রামের মো. সোহেল রানার ছেলে মো. আবু সাঈদ। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট, পুলিশের বড় কর্মকর্তা, এনএসআই কর্মকর্তা, অভিজাত হোটেলের ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পরিচয় রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস এই যুবকের। এসব পরিচয়ে ৩০ বছর বয়সেই ১৪টি বিয়ে করেছেন তিনি। জানা গেছে, বাবার স্টুডিওর দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ-সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সম্পর্কের পর বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুধু বিয়েই নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসেন। ২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহীতে বিয়ে করেন। ওই বছরেই পাবনার চাটমোহর এলাকায় একজনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ঢাকার একজনকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন।  ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালে আবারও টাঙ্গাইল মধুপুরের এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালেই আবার ঢাকার সাভারের এক নারীকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালে বিয়ে করেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ে করে ১৪তম স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ। এ বিষয়ে পঞ্চম স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর প্রেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দিই। কয়েক দিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে। তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গেছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এসব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।  সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয়  হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি। একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী। সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারি না। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৫

‘পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হলে শেষ বয়সে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না’
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সকল মানুষের কল্যাণের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনকল্যাণে এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অনন্য উদ্যোগ। কেউ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না। এই পেনশন ব্যবস্থা অবসরকালীন সময়ে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং শেষ বয়সে কারও কাছে হাত পাততে হবে না।  সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা ও পেনশন মেলায় এসব কথা বলেন তিনি।  কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা অবসরে গেলে পেনশন পান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত এবং দেশের অন্যান্য মানুষ পেনশনের সুবিধা পান না। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা বয়স্কদের ঠিকমতো দেখভাল করেন না, অনেকসময় বৃদ্ধাশ্রমে বয়স্কদের রেখে আসেন। শেষ বয়সে অনেকেই একটা ওষুধ কিনতে পারেন না। এক্ষেত্রে পেনশন স্কিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেনশনে যুক্ত হলে শেষ বয়সে টেনশনে থাকতে হবে না। ছেলেমেয়ে দেখছে না বলেও অভিযোগ করতে হবে না। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির শিখরে উঠেছে। তার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ। জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মনজুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জেলার সাতটি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ  বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে একটি করে গাছের চারা উপহার প্রদান করে গাছ রোপণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে অভিভাবকদের যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ইসলামিক বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সম্প্রতি এমন একটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হন তিনি। সেখানে একজন প্রশ্ন করেন অল্প বয়সে বিয়ে করা যাবে কি না? এ নিয়ে অভিভাবকদের কিছু বলেন...  উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে বলতে উপযুক্ত হওয়ার পর বিয়ে দিতে হবে। সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলেই। শরিয়ার দৃষ্টিতে প্রাপ্ত বয়স্ক বলতে, বালেক হয়ে যাওয়া, তার স্বপ্নদোষ শুরু হওয়া এবং তার ভেতরে যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগরত হওয়া। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সন্তানদের উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী পেলে বাবা-মাকে বিবাহ দেয়ার উদ্যোগ নিতে ইসলাম নির্দেশ করেছে।  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিস্কারভাবে অভিভাবকদের সতর্ক করেছেন, তারা যদি এটা না করেন অর্থাৎ সন্তানদের বিয়ে না দেন তাহলে সমাজে নানা রকম ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে পড়বে। ব্যত্যয় ঘটবে। সেগুলোর দায় কিন্তু তারা এড়াতে পারবেন না। তাই আল্লাহকে তাদের ভয় করা উচিত।  সেই সঙ্গে সন্তানরাও, বিশেষ করে ছেলেরা তাদের বিবাহের জন্য মহরানা টাকা জোগাড় করা, তারা শিক্ষার্থী থাকলে পাশাপাশি টাকা উপার্জন করা। এই কাজগুলো তাদের করা উচিত। যাতে করে বিবাহের উপলক্ষ্য বা সুযোগ তৈরি হয়।  শায়খ আহমাদুল্লাহ, বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও আলোচক।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৩

অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা? সমাধান এই ঘরোয়া ফেসপ্যাকেই
কফি এবং কলা, এই দুই উপাদান কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কফি এবং কলার তৈরি ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভাড়। কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এই মিশ্রণের ফেসপ্যাক মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। আর এই দুই উপাদান যখন মিলে যায়, তখন ম্যাজিক তৈরি হয়।  সব ধরনের স্কিনের জন্যই কলা-কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে নিতে পারেন কলা-কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের যেকোনও সমস্যার সমাধান ঘটবে এই ফেসপ্যাকের গুণে, এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নেওয়া যাক- ১) হালকা গরম পানিতে এক চামচ কফি মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা কমবে। ২) শুষ্ক ত্বকে দারুণ কাজ করে কলা। একটা কলাকে চটকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কফি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। ৩) হাঁটু, কনুই, বগলে যদি কালো ছাপ পড়ে তাহলে কলার খোসায় মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ঘষে নিন। দেখবেন দ্রুত কালো ছোপ দূরে হবে। ৪) দিন দিন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে? কোনও চিন্তা নেই। কলার ছোট টুকরো করে নিন। তার মধ্যে অল্প কফি মিশিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগালেই কালো ছোপ দূর হবে। ৫) চোখের তলায় কালো ছোপ দেখা দিলে কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। ৬) কলার খোসার মধ্যে কিছু পরিমাণ কফি এবং মধু ঢেলে দিন। সেই খোসাটা নিয়ে স্ক্রাবারের মতো করে মুখে ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ত্বক ঝকঝকে হবে এবং বলিরেখা পড়বে না। ৭) শুধু ত্বকের যত্ন নয়, চুলের যত্নেও কফি আর কলা দারুণ কাজ করে। উষ্ণ পানিতে কফি মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩১

অবসরের বয়সে নিয়োগপত্র শিক্ষকদের
শিক্ষকতার চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তরুণ বয়সে। নিয়োগপত্র এল ৪০ বছর পর। সরকারি চাকরির বিচিত্র কিসসা পশ্চিমবঙ্গে। স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ ঘিরে একগুচ্ছ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। হাজারদিনের বেশি অবস্থান আন্দোলনে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। এরই মধ্যে সামনে এল প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের এক খবর। আদতে যা একঝাঁক স্বপ্নকে হত্যার করুণ কাহিনী। নিয়োগের পরিহাস এই কাহিনীর সূচনা চার দশক আগে, যখন রাজ্যে সদ্যই ক্ষমতায় এসেছে বামফ্রন্ট সরকার। আশির দশকের গোড়ায় হুগলি জেলায় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তখন পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের পদ্ধতি ছিল না, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বেছে নেয়া হতো শিক্ষকদের। এই বাছাই নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ায় মামলা দায়ের করেন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্যানেল বাতিলের আবেদন জানান। ১৯৮৩ সালের সেই মামলা হাইকোর্টে চলছিল। এই মামলার নিষ্পত্তি হয় গত ২০ ডিসেম্বর। বিচারপতি সৌম্যেন সেন চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন, সেই অনুযায়ী নিয়োগপত্র দেয়া হয়েছে হুগলি জেলার ৬৬ জনকে। এই নিয়োগ কার্যকর হওয়ার দিন ২০১৪ সালের ৮ আগস্ট। জেলা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়োগপত্র পেয়ে বিস্মিত সেই তরুণ চাকরি প্রার্থীরা। আজ যারা পক্বকেশ বৃদ্ধ। ৬৬ জনের মধ্যে চারজন প্রয়াত। বাকিদের ৬০ বছর পেরিয়েছে, যা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের বয়স। এদের কারো বয়স ৭০ পার হয়ে গিয়েছে। প্রবীণদের হতাশা প্রাথমিকে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর বিস্মিত জাঙ্গিপাড়ার দেবব্রত ঘোষ, পাণ্ডুয়ার দীনবন্ধু ভট্টাচার্য, পুরশুড়ার প্রশান্তকুমার ঘোষরা। আবেদনকারীদের অন্যতম স্বপনকুমার ঘোষ প্রয়াত হয়েছেন ২০১৮ সালে। তার পরিবারও নিয়োগপত্র পেয়ে অবাক। স্বপনের স্ত্রী মাধবী বলেন, আমাদের লুকিয়ে মামলার খরচ যোগাতেন। বলতেন, মামলা জিতলে চাকরি পাবেন। আজ চাকরির চিঠি এল, কিন্তু উনি নেই। টাকার অভাবে ওর চিকিৎসা ঠিকঠাক করানো যায়নি। দেবব্রত ঘোষ বলেন, ১৯৮০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং নিয়েছিলাম। তারপর স্কুলে চাকরির জন্য আবেদন করি। ইন্টারভিউ হয়েছিল। আমাদের নম্বর ভালো থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাইনি। একাধিকবার ইন্টারভিউ দিলেও পাশ করানো হয়নি। চাকরির জন্য এখন আর উচ্ছ্বাস থাকার কথা নয়। তবু আইনি লড়াই জিতে বৃদ্ধরা খুশি। প্রশান্তকুমার ঘোষ বলেন, এটা আমাদের নৈতিক জয়, সত্যের জয়। তবে এখন আর চাকরি পেয়ে লাভ নেই। যা যন্ত্রণা ভোগ করার আমরা করেছি। এখন শুধু এটুকুই আবেদন, যাতে শেষ বয়সে আর্থিক কষ্ট না হয়, সেটা যেন মানবিকভাবে কর্তৃপক্ষ দেখেন। বেকার জীবনের সংগ্রামের স্মৃতি সকলকে তাড়িয়ে বেড়ায়। হুগলির চাকরি প্রার্থী কালীধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একসময় খুব কষ্ট করে সংসার চালিয়েছি। ভালো ইন্টারভিউ দিয়েও চাকরি মিলবে না, সেটা ভাবিনি। এখন দুই মেয়ে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটাই সান্ত্বনা। এখন আর এই চাকরি দিয়ে কী করব? কেউ তো আমাদের সময়টা ফিরিয়ে দেবে না! দীর্ঘ আইনি লড়াই চাকরি না মেলায় একঝাঁক চাকরি প্রার্থী হাইকোর্টে প্যানেল বাতিলের আবেদন জানান। তাদের পক্ষে রায় আসে। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান প্রার্থীরা। শীর্ষ আদালত বিষয়টি হাইকোর্টেই নিষ্পত্তির জন্য পাঠায়। শেষমেশ এই আদালতেই চাকরি প্রার্থীদের দাবি স্বীকৃতি পেয়েছে। ভারতীয় বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা বহুদিনের সমস্যা। মামলার নিষ্পত্তিতে বহু বছর লেগে যায়। অনেক সময় মামলাকারীরা আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন না, মামলার খরচ জোগানো দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। হুগলির এই চাকরি প্রার্থীরা হাল ছাড়েননি, তার ফল মিলেছে চার দশক পর। চিরকুটে চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলবন্দি। তার আমলের একাধিক শিক্ষাকর্তাও কারাগারে। এ নিয়ে বিরোধীরা নিশানা করছে শাসক দল তৃণমূলকে। তারাও নিয়োগ দুর্নীতির কথা বলতে বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে আনছে। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের শাসনে যখন নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হতো না, তখন চিরকুটে লিখে পরিবার-পরিজন ও দলীয় কর্মীদের চাকরি দিয়েছে শাসক দল। হুগলির ঘটনায় সেই চিরকুটের প্রসঙ্গই ফের উঠে এল। মামলায় জেতা প্রবীণ দীনবন্ধু ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৮৩ সালের কথা। পূজার ছুটির ঠিক আগে চিরকুটে লিখে বামফ্রন্ট সরকার চাকরি দিয়েছিল, যাতে ছুটির মধ্যে আর আমরা কিছু করতে না পারি। তার পর মামলা করি। এতে আমাদের লাভ হয়তো কিছু হলো না, কিন্তু একটা অন্যায়কে সামনে আনা গেল। বামফ্রন্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এখন তৃণমূল মন্ত্রিসভার সদস্য উদয়ন গুহ দাবি করেছেন, অতীতে এ ভাবে নিয়োগ হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাম আমলের এসব নিয়োগ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কথাও বলেছিলেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের প্রতিক্রিয়া, নিজেদের রাজত্বে চাকরির নামে লুট করেছে বলে বাম আমলের চিরকুট খুঁজছে! আন্দোলনে পথে সেই আমলের চিরকুট রহস্য থেকে এই আমলে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়ার অভিযোগ। হাজার দিনের বেশি পথের ধারে বসে অবস্থান আন্দোলন করছেন চাকরি প্রার্থীরা। রোদ-ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তারা সংগ্রাম করছেন স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে। এর সঙ্গে চলছে আইনি লড়াই। এই লড়াইয়ের প্রশংসা করছেন ৪০ বছর ধরে হার-না-মানা প্রবীণরা। প্রশান্তকুমার ঘোষ বলেন, হাজার দিনের বেশি যারা আন্দোলন করছেন, তাদের কুর্নিশ জানাই। ওদের আন্দোলন সফল হবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৯

৫০ বছর বয়সে টুইঙ্কেলের স্নাতক পাস, যা বললেন স্বামী অক্ষয়
বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কেল খান্না। একসময়ে নিয়মিত রুপালি পর্দায় কাজ করলেও বিয়ের পর নিজেকে গুটিয়ে নেন টুইঙ্কেল। মনোযোগী হন সংসারে। হঠাৎ ৪৮ বছর বয়সে ফের স্নাতকে ভর্তি হওয়ার খবর জানান তিনি।   আর ৫০ বছর বয়সে সেই ডিগ্রির সার্টিফিকেট হাতে পেলেন টুইঙ্কেল। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ফিকশন রাইটিং বিষয়ে স্নাতন ডিগ্রি অর্জন করেন টুইঙ্কেল। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সমাবর্তন। স্ত্রীর হাত ধরে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন অক্ষয়। পাশাপাশি স্ত্রীর এই প্রাপ্তিতে ভীষণ গর্বিত অক্ষয়। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাসও দিয়েছেন এই অভিনেতা। যা এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন অক্ষয়। স্ট্যাটাসে অভিনেতা লিখেছেন, দুই বছর আগে যখন তুমি আমাকে বলেছিলে আবারও পড়াশোনা শুরু করতে চাও, তখন ভীষণ অবাক হয়েছিলাম আমি।  বুঝতে পারিনি ঠিক কী বলছো! কিন্তু আমি দেখলাম তুমি অনেক পরিশ্রম করছো। সংসার, ক্যারিয়ার, আমাকে এবং সন্তানদের খেয়াল রাখার পাশাপাশি পুরোপুরি ছাত্রজীবনে ফিরেছো। অক্ষয় আরও লেখেন, আমি জানি, আমি একজন সুপার উইমেন বা অতি প্রাকৃতিক ক্ষমতাধর নারীকে বিয়ে করেছি। আজ তোমার গ্র্যাজুয়েশনের দিন। আমিও যদি আরেকটু পড়াশোনা করতাম তাহলে হয়তো সেই শব্দগুলো খুঁজে বের করতে পারতাম, যে শব্দগুলো বুঝিয়ে দিতো তোমাকে নিয়ে আমি কতোটা গর্বিত, টিনা। অভিনন্দন, আমার ভালোবাসা।  এদিকে স্ত্রীকে নিয়ে পোস্টটি করা মাত্রই ভাইরাল হয়ে গেছে নেটদুনিয়ায়। মন্তব্যের ঘরে ভূয়সী প্রশংসার নেটিজেনরা। শুধু তাই নয়, স্ট্যাটাসটি নজর এড়ায়নি টুইঙ্কেলেরও। কমেন্ট বক্সে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তিনি। টুইঙ্কেল লিখেছেন, আমি ভাগ্যবতী। কারণ আমি এমন একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি যে, আমাকে উৎসাহিত করে, পড়ে গেলেও আমাকে তুলে আনে। আর আমি অনেকবার পড়ে যেতে চাই, তাই না? আগামীকাল (১৭ জানুয়ারি) ২৩ বছর পূর্ণ হবে। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অক্ষয়-টুইঙ্কেল। আজ বিয়ের ২৩ বছর পূর্ণ হলো এই তারকা দম্পতির। তাদের সংসারে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।     
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়