• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিরোধ, ছেলের হাতে যুবলীগ নেতার মৃত্যু
ময়মনসিংহের ভালুকায় দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে মুজিবুর রহমান পান্না (৫২) নামে এক যুবলীগ নেতার।     শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ‍্যায় উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত পান্না স্থানীয় মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এবং ভালুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে রাব্বিকে (১৭) আটক করেছে ভালুকা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহ কামাল আকন্দ।    তিনি জানান, নিহত পান্না দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কারণে কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে দেন। এরপরও পান্না দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রেখে চলছিল। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী ও ছেলে রাব্বির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে বাবা ও ছেলের মধ‍্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাবা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   ওসি আরও জানান, নিহত মজিবুর রহমান পান্নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, মৃত্যুর কারণ স্ট্রোকও হতে পারে। মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে, ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব‍্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 
৮ ঘণ্টা আগে

বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে
বিয়ে না দেওয়ায় চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাসেল খানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী। নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও  মেরেছে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় রান্নার কাজ করি। আমার ছেলে দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানয় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।  স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক গত প্রায় ৫ বছর যাবত ঢাকাতে থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখেন না। বাকি ৩ মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাছেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে। গত কয়েকদিন যাবত সে তাঁর বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে।   বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমকে জবাইকৃত মরদেহ উদ্ধার করেছি। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্য অনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে

তারকাদের গোপনে বিয়ে করানো প্রসঙ্গে যা বললেন তুষার খান
টিভি নাটকের জনপ্রিয় মুখ তুষার খান। চার দশকের বেশি সময় ধরে যেমন মঞ্চ, তেমনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। সালমান শাহ অভিনীত ‘বিক্ষোভ’ সিনেমাসহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে বেশ আলোচনায় আসেন এই অভিনেতা। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। বলছি দর্শকপ্রিয় অভিনেতা তুষার খানের কথা। অভিনেতার পাশাপাশি তুষার খানের আরও একটি পরিচয় আছে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে হাজির হয়েছিলেন তিনি, বলেছেন অনেক কিছু। প্রশ্ন করা হয়, শুনেছি আপনি টেলিভিশনের অনেককে বিয়ে করিয়েছেন। সেই গল্পটা জানতে চাই। কাকে কাকে বিয়ে করিয়েছেন—উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তুষার খান বলেন, বৃন্দাবন-খুশি, আ খ ম হাসান, জয়রাজ, শামীম জামান, ফিল্মের একজন প্রডিউসার আছেন, উনি আমার কাজিন হন। বাইরে আরও বেশ কিছু এবং এটার অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। এ নিয়ে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তুষার খানের ভাষ্য, ‘না। একদিন হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১২টা দিকে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেলাম। দেখলাম হাসান। বলল ভাই, মেয়ে তো পালিয়ে আসছে। তখন বললাম, ও পালিয়ে আসছে, নাকি তুই নিয়ে আসছস। রাত ১২টার সময় লালমাটিয়া কাজি অফিসের কাজি সাহেবকে ডেকে এনে বিয়ে দেওয়ালাম। তুষার খান আরও বলেন, শামীমের তো আরেক রকমের মজা। ওর আক্‌দ হওয়ার কথা। মেয়ে তুলে নিয়ে আসার কথা। তখন শামীমের শাশুড়ির সঙ্গে এত মজার মজার কথা হলো। বললাম খালা, মেয়েকে নিয়ে গেলাম। বলল, নাও। এমনকি শামীমের বউকে আমি নিয়ে এসেছিলাম। সেদিন ওর বউয়ের আসার কথা নয়। আরও অনেক মজার মজার কথা। সব কথা তো বলা যায় না। প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন তুষার। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘আজকের প্রতিবাদ’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু হয় তার। মুহম্মদ হান্নানের পরিচালনায় সালমান শাহের সঙ্গে ‘বিক্ষোভ’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিত পান তুষার।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৯

বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি। কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে। বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। চারপেয়ে পোষ্য আছে। আমি খুবই এনজয় করি। একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই। এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৩

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে
নাটোরের লালপুরে তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীর লোকজন ব্যাঙের এ বিয়ের আয়োজন করেন। আয়োজকেরা জানান, তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। টিউবওয়েলে পানি উঠছে না, চাষাবাদের জন্যও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। অতিরিক্ত সেচের কারণে ফসলের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এ কারণে যাতে বৃষ্টি হয়, সে জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় জানান, বৃষ্টির অভাবে রবিশস্য এবং আম, লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। খরা মোকাবিলায় কৃষি বিভাগ থেকে ঘন ঘন সেচ দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪২

রাজশাহীতে বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে 
রাজশাহীতে বেশ কিছুদিন ধরে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর এই চলমান তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একটি গ্রামে বৃষ্টির জন্য ঘটা করে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করে এক ব্যবসায়ী ও কয়েকজন শিক্ষার্থী। এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনে ওই গ্রামের বাসিন্দারাও যোগ দেন। উপজেলার তাতারপুর গ্রামের ইউসুফ আলী ও হাবিবা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জানা যায়, সোমবার দুপুরে গ্রামের ৬০ থেকে ৭০টি বাড়িতে বৃষ্টির জন্য ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে’ গানটি গেয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়েতে নেচে-গেয়ে আবির মেখে সারা গ্রামে ঘুরে বেড়ান সব বয়সী মানুষ। এ ছাড়াও ব্যাঙ বর-বধূকে কলাগাছের খোলের মধ্যে ভরে বাউকে নিয়ে ঘোরেন আয়োজকরা। পরে ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে একটি প্রতীকী পুকুর খনন করে সেখানে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে শেষে সন্ধ্যায় ছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। ব্যাঙের বিয়ের উদ্যোক্তা ইউসুফ আলী জানান, বৃষ্টি নেই, তাপমাত্রা বাড়ছে। গাছের আম ঝরে পড়ছে। অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। এই অবস্থায় তারা গ্রামের লোকজনকে নিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করেছেন বলে জানান তিনি। এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৪ এপ্রিল মাত্র দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ মার্চ রাতে রাজশাহীতে মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। রাজশাহীতে টানা ২৩ দিন বলতে গেলে বৃষ্টিই হয়নি। এ অবস্থায় তাপমাত্রাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সোমবারও তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দুদিন ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থায় মানুষের বাড়ি থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৪

বিয়ে বাড়ির খাসির মাংস খেয়ে ১৬ জন হাসপাতালে
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিয়ে বাড়ির খাসির মাংস খেয়ে অসুস্থ ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ভক্তভোগীদের দাবি খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক পদার্থ মিশিয়ে সবাইকে অজ্ঞান করে ঘরের মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।  শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে খাউরিয়া ইউনিয়নের বানিয়াখারী বাজান সংলগ্ন হাবিবুর রহমান তোতার ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ন চৌকিদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃতরা হচ্ছেন হাবিবুর রহমান হাওলাদার, মামুনুর রশিদ, ফেরদৌস, জিম, হাসান হাওলাদার, তিতাস হাওলাদার, আশরাফুল হাওলাদার, সাকিবুল হাওলাদার, মো. নাইম, নারায়ন চৌকিদার, মো. শামিমা আক্তার, হিরা আক্তার, আখি আক্তার, মারিয়া আক্তার, শ্যামলী রানী।   চিকিৎসাধীন গৃহকর্তা হাবিবুর রহমান হাওলাদার ও নারায়ন চৌকিদার জানান, তারা রাত ১০টার দিকে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তাদের ঘুম ভাঙলেও বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। এ ছাড়া তারা দেখতে পান তাদের ঘরের মালামাল এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এসে তাদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের ধারণা চোরচক্র কোন এক সময় তাদের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক কিছু মিশিয়ে রেখে গেছে। এরপর ওই দুই বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে।  তবে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়। বিয়ে বাড়ির খাসির মাংস যারা খেয়েছে তারাই অসুস্থ হয়েছে এমনটা জানা গেছে। মালপত্র লুটপাটের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৪

বিয়ে না করেও ৩ সন্তানের মা মিমি চক্রবর্তী
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অভিনয়ের পাশাপাশি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠেও। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘আলাপ’। তার সময়ের অনেকেই বিয়ে করে সংসারী হলেও তিনি এখনও সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন। তবে বিয়ে না করলেও ৩ সন্তানের মা মিমি। সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন মিমি। টালিউডের অন্যতম মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর বলা হয় তাকে। অভিনয় থেকে তার রূপ, স্টাইল বহু ভক্তের মন কাড়লেও তিনি এখনও কারও মনের রানি হতে পারেননি। ব্যক্তিগত জীবনে এখনও সিঙ্গেল মিমি। কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি? এমন প্রশ্ন রীতিমতো বাসা বেঁধেছে তার ভক্তদের মনে। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার খবর দেওয়ার আগেই জানালেন তিন সন্তানের মা এই অভিনেত্রী।  এ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, আমি তো সংসার করছি। সবাই বিয়ে বা প্রেমকে তো সংসার বলে সেটা তো আমার আছে। আমার বাবা-মায়ের দায়িত্ব আছে, তিনটি সন্তান আছে। আর কী চাই? আমি ভালোই আছি। তবে যদি পরে কখনো কোনো সম্পর্কে যাই জানাব।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মে মাসেই মুক্তি পাচ্ছে মিমি অভিনীত সিনেমা ‘আলাপ’। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি। সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— স্বস্তিকা দত্ত, কিঞ্জল নন্দ। সূত্র : এবিপি আনন্দ   
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অতঃপর....
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। জানা গেছে, গত শনিবার রাতে জাজিরার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়েতে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাতে বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই দিন রাতেই তাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৪

প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর শুনে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন রহিমল হাসান বাবু (২৩) নামে এক যুবক। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের পাইলটি গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।  রহিমল হাসান বাবু ওই উপজেলার পাইলাটি গ্রামের হাবিবুল মিয়ার ছেলে। আর বাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা মেয়েটির (১৮) বাড়ি একই গ্রামে। তারা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।  বাবুর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্পর্কে চাচাতো বোনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুর। মেয়েটি বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন এবং পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বাবুও তিন-চার বছর ধরে ঢাকায় পোশাক কারখানায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখানে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত সপ্তাহে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে মেয়ে ও বাবা-মা। বাড়িতে আসার পর বাবা-মা ও চাচারা মিলে মেয়েটির বিয়ের আলোচনা করতে থাকে তারই ফুফাতো ভাই বারহাট্টা এলাকার সায়েম মিয়ার সঙ্গে। এ কথা শুনে বাবুর পরিবার মেয়েকে বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে আলোচনা করতে তাদের বাড়িতে যান। কিন্তু বাবুর সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে রাজি হননি পরিবারের লোকজন। এতে ক্ষোভে আত্মহত্যার হুমকি দেন বাবু।  পরে এ বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন আলোচনায় বসলেও তাতেও ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার রাতে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা পাকা হয়। সেই সঙ্গে তাদের দেওয়া নাকফুলসহ স্বর্ণালংকার পরানো হয় মেয়েটিকে। শনিবার সকালে মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় তার বাবা-মা। এতে ক্ষোভে এ দিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবু। পরে ক্ষোভে মেয়ের বাবা-চাচার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বাবুর স্বজনরা।  এ বিষয়ে বাবুর চাচা কামাল মিয়া ও মামা মো. বিলকিছ মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে মেয়েটির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ঢাকায় চাকরি করে সব টাকা ওই মেয়ের পেছনেই ব্যয় করে বাবু। মেয়ের জন্য সে পাগল ছিল। বিয়ের জন্য আমরা সবাই গিয়েছি মেয়ের বাবাসহ পরিবারের সবার কাছে। তাদের কাছে অনুনয় বিনয় করেছি। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। রাজি হলে আজ বাবুর মতো একটা তরুণ প্রাণ ঝড়ে যেত না। আমরা এর বিচার চাই। তবে মেয়ের বাড়ি ঘরে হামলার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। তাদের দাবি-তারা নিজেরাই তাদের ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এলাকা ছেড়েছে।’  স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাজন মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। অন্যত্র বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ায় ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’  রোববার মেয়ের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পাশের বাড়ির জ্যোস্না আক্তার নামে এক নারী জানান, বাবু আত্মহত্যা করার পর মেয়ের বাড়ির লোকজন ভয়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে বাবুর পরিবারের লোকজন এখানে এসে হামলা চালায়। তিনটি ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। গেয়ালে থাকা দুটি গরুও নিয়ে যায়।  মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাবুর মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করতে আবেদন করেছেন বাবুর বাবা। ঘটনা তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়