• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিএসএমএমইউয়ের বিদায়ী ভিসির সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষের মুহূর্তে তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন আওয়ামীপন্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সংগঠনের শিক্ষকরা। এতে আরও অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরা। এ সময় শরফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ডাক্তার রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি বিষয়টা শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব। ২৮ মার্চ উপাচার্য শরফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক। মেয়াদ শেষের আগে উপাচার্য শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা। সংগঠনটির চিকিৎসকদের অভিযোগ, আগের নিয়োগগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিদায়ের মুহূর্তে আরো শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অ্যাডহকের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ বাণিজ্যের এই অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার থেকে স্বাচিপের নেতারা বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, “বেশ কিছুদিন আগে ভিসি হিসেবে নতুন ভিসি দীন স্যারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি আসার কারণে একটি অংশ বিরোধীতা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কেন্দ্রীয় ও বিএসএমএমইউয়ের স্বাচিপের নেতৃত্ব দিচ্ছি, এ সকল স্বাচিপ কর্মীদের সবার কথা একটাই- নেত্রী যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাকেই আমরা ভিসি হিসেবে মন থেকে মেনে নিয়েছি, স্বাগত জানিয়েছি। তিনি বলেন, সাধারণত ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর আগের ভিসি শুধুমাত্র দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতোপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে এই নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কোনোক্রমেই সিন্ডিকেট বসতে দিব না, যার কারণে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ করছি। বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠানে কোনো দুর্নীতি করতে দেওয়া হবে না। আগামী ভিসি স্যার সুন্দরভাবে দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ তৈরি করে ক্যম্পাস পরিচালনা করবেন বলে আমরা আশা করছি। উনার প্রতি আস্থা আছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তটাও আগেই নেওয়া হয়েছে। এখন যারা বিরোধীতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসে নাই। সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫

নিজ পেশায় ফিরলেন বিদায়ী তিন মন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা গঠনের পরই আইন পেশায় ফিরেছেন একাদশ জাতীয় সংসদের তিন মন্ত্রী।তারা হলেন অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনজনই ছিলেন আইনজীবী সমিতির নেতা। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চেম্বারে আড্ডায় মেতেছিলেন তারা।  আরও পড়ুন : নিজে কোনোদিন দুর্নীতি করিনি, করতেও দেব না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী   আইন পেশায় ফেরা নিয়ে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। বর্তমানে দায়িত্বে নেই, আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব পেয়েছেন যারা আশা করি ভালো করবেন। আমাদের প্রিয় প্রাঙ্গণ সুপ্রিম কোর্টে আবার আইন পেশায় ফিরে এসেছি। এতদিন এই অঙ্গনকে অনেক মিস করেছি।  এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্টে নিজ চেম্বারে আসেন নূরুল ইসলাম সুজন এবং আপিল বিভাগে আসেন শ ম রেজাউল করম ও মাহবুব আলী। আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় সুর পাল্টাচ্ছে চাপদাতারা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   নূরুল ইসলাম সুজন এবারও পঞ্চগড়-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও পরবর্তীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন শ ম রেজাউল করিম। এবার তিনি পিরোজপুর-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আর মাহবুব আলী বিগত সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৬

ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্টে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই
জয় দিয়েই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা রাঙিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অন্যদিকে টানা তিন টেস্টে হেরে অজিদের মাটিতে আবারও হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে পাকিস্তান।  বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে দ্য গ্রিন ম্যানদের উইকেটে হারিয়েছে অজিরা। এর আগে, সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৩৬০ ও ৭৯ রানের ব্যবধানে হেরেছিল শান মাসুদের দল। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠবার অজিদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান। ১৯৯৫ সালের পর তাসমান পাড়ের দেশটিতে কোনো টেস্টে জয়ের স্বাদ পায়নি দ্য গ্রিন ম্যানরা। এমনকি ড্রয়ের দেখাও পায়নি তারা। এর আগে, ৭ উইকেটে ৬৮ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল পাকিস্তান। অপরাজিত ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আমের জামাল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের দলের হাল ধরতে দেয়নি অজিরা। চতুর্থ দিনে ৪২ রান যোগ করতেই লায়নের শিকার বনে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ৫৭ বলে ২৮ রানে থামেন তিনি। রিজওয়ানের বিদায়ের দুই বল পর ফেরেন জামালও। কামিন্সের বলে হেডকে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি (১৮)। এরপর হাসান আলী ৫ রানে ফিরলে ১১৫ রানে থামে দ্য গ্রিন ম্যানদের দ্বিতীয় ইনিংস।  এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের দেওয়া ১৩০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটের বিনিময়ে জয় পায় অজিরা। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ইনিংসে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। ল্যাবুশেন করেন ৬২ রান। এর আগে, প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান করে পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ২৯৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেও স্বাগতিকদের ঘূর্ণি আর গতিতে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জস হ্যাজলউড চারটি ও লায়ন শিকার করেন তিনটি উইকেট।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়