• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যের প্রত্যাবাসন
মিয়ানমারে আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।  গত ১১ মার্চ থেকে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার থেকে ২৮৮ জন  বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্য নাফ নদী ও স্থল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের আশ্রয় নেন। এত দিন তাদের বিজিবির হেফাজতে নাইক্ষ্যংছড়ির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছিল।   মিয়ানমারের সাথে আলোচনাক্রমে প্রত্যাবাসন সম্পাদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে এ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্য সদস্যদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্টগার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪০

মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ : একদিনে বিজিপির আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে টিকতে না পেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আর ১১ সদস্য পালিয়ে এসেছে। এ নিয়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) একদিনে নতুন করে আরও ২৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিকেলে টেকনাফের ঝিমংখালীর সীমান্ত দিয়ে তিনজন ও নাইক্ষ্যংছড়ির হাতিমারাঝিরি সীমান্ত দিয়ে আটজন নতুন করে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে ভোরে টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য এসে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ নিয়ে শুক্রবার আসা ২৪ জনসহ মোট ২৮৫ জন ১১-বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধীনে আশ্রয়ে রয়েছেন। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১-বিজিবি) অধীনে থাকা ২৮৫ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছেন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে গত বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে এই দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। তারও আগে রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির ১৪ জন সদস্য। তিনি আরও বলেন, এর আগে থেকে এখানে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিলেন। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৩

পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ১১ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) টেকনাফের ঝিমংখালী দিয়ে তিনজন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার হাতিমারাঝিরি দিয়ে আটজন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, আজ নতুন করে আরও ১১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার নাফ নদী সীমান্ত অতিক্রম করে ১৩ জন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১৩ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করেন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৪

নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে রাতে বাংলাদেশে ঢুকল বিজিপির ৫০ সদস্য
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে রাতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও ৫০ জন সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢুকল ৬৮ জন। এনিয়ে ৩ দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৮৪ জন সেনা-বিজিপি সদস্য।  বিজিবি সূত্রে জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার সকালে (১৬ এপ্রিল) নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন ঢোকেন। এরপর দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে ঢোকে আরও ১ জন। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ঢোকেন আরও ৫ জন।  আর সবশেষ রাত ১১ টার দিকে সীমান্ত পিলার ৪৪ এবং ৪৫ দিয়ে ঢুকে পড়ে আরও ৫০ জন। এ নিয়ে একদিনেই আশ্রয় নেয় ৬৮ জন। এ ৬৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এরা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছে। জানা গেছে, দেশটির অভ্যন্তরে বিজিপি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে টিকতে না পেরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ইসলাম বিষয়টি তখন নিশ্চিত করেছেন বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল। তিনি জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এর আগে গত ১২ মার্চ বিজিপির ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০১

বাংলাদেশে পালিয়ে এলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জানা গেছে, দেশটির অভ্যন্তরে বিজিপি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে টিকতে না পেরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এর আগে গত ১২ মার্চ বিজিপির ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

মিয়ানমারের আরও ৫ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
কক্সবাজার টেকনাফে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে এপারে চলে আসেন।   এ নিয়ে দুদিনে মোট ১৪ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।  তিনি বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। দুদিনে মোট ১৪ জন আশ্রয় নিলেন।  তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের আশ্রয় দিয়েছি।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৭

ফের মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে বিজিপির ৯ সদস্য
রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিএসএফ) আরও অন্তত ৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফে বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আজ সকালে ২ দফায় টেকনাফের খারংখালী সীমান্ত দিয়ে নয়জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র-গুলি ও গ্রেনেডসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বিজিবি তাদের অস্ত্র ও গুলি জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজিপির ২ সদস্য আহত অবস্থায় বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত ১১ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তারা এখনো নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির হেফাজতে আছেন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬

বাংলাদেশে ঢুকে দুই রাখালকে বিএসএফের গুলি
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে দুই রাখালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় কেউই আহত হয়নি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর খামারভাতি এলাকার ৯১৩ নম্বর মেইন পিলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রাখালরা হলেন উপজেলার খামারভাতি গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক (২৮) ও বাবর আলীর ছেলে ইন্টু মিয়া।  স্থানীয়রা জানান, এদিন বাংলাদেশ সীমান্তের জমি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন রাখাল নামুল হক ও ইন্দু মিয়া। এ সময় তাদের ধাওয়া করে বিএসএফ। তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিএসএফ সদস্যরাও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে রাখাল দুজন সরে গেলে তাদের শরীরে কোনো গুলি লাগেনি। এ ঘটনার পর থেকেই খামারভাতি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিনিয়তই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি রাখালদের ধাওয়া করেন। এমনকি অনেক সময় আটকে মারধর করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই দুই রাখাল। চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। পরে বিএসএফ ধাওয়া করলেও পালিয়ে আসার সময় তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ এক রাউন্ড গুলি চালায়। যদিও ওই গুলিতে কেউ আহত হয়নি। তারা দুজনেই ভালো আছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৪

বাংলাদেশে পণ্য বর্জনের ডাক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত
‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক’ দিয়ে দেশে গত প্রায় তিন মাস ধরে যে প্রচারণা চলছে, তা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা নষ্ট করতে পারবে না। দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপ্তি সর্বগামী, এই সম্পর্ক এমনই থাকবে। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে গত বেশ কিছুদিন ধরে তথাকথিত ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চলছে, যাতে মূলত ভারতের পণ্য বয়কট করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। সে দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতাও সেটাতে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই আন্দোলন নিয়ে কি আপনি কোনো মন্তব্য করতে চাইবেন? আর দ্বিতীয়ত, এর ফলে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণে কি কোনো প্রভাব পড়ছে?’ জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘দেখুন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আসলে খুব শক্তিশালী ও গভীর। আমাদের দুই দেশের মধ্যে আসলে একটি কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ আছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত। অর্থনীতি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে উন্নয়ন সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি থেকে শুরু করে পিপল-টু-পিপল কনট্যাক্ট–মানবজীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো একটা বিষয়ের নাম নিন, দেখবেন সেটা কিন্তু ভারত-বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্কের অংশ। আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্ব ঠিক এতটাই প্রাণবন্ত। আর এই ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৯

মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন / বাংলাদেশে ব্যবসায় বড় বাধা ঘুষ-দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা হচ্ছে ঘুষ-দুর্নীতি। এ ছাড়াও অন্যান্য বাধার ক্ষেত্রে রয়েছে সরকারি কেনাকাটা, মেধা-সম্পদ সংরক্ষণ, ডিজিটাল বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পূর্ণ শ্রমিক অধিকার না থাকার মতো বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ প্রকাশিত ‘২০২৪ ন্যাশনাল ট্রেড এস্টিমেট রিপোর্ট অন ফরেন ট্রেড ব্যারিয়ারস’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু বাধার মুখোমুখি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে পণ্য ও সেবা রপ্তানি, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ও ই-কমার্সের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে সরকারি কেনাকাটার প্রসঙ্গটি এসেছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি কেনাকাটা সাধারণত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬–এর আওতায় দরপত্রের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের নীতি অনুসরণ করলেও দুর্নীতির অভিযোগ সাধারণভাবেই রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় পোর্টাল চালু করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অংশীজনেরা পুরোনো প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি পছন্দের দরদাতার স্বার্থে পক্ষপাতমূলক শর্ত জুড়ে দেওয়া ও দরপত্রের সামগ্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছে, বিদেশি প্রতিযোগীরা প্রায়ই তাদের স্থানীয় অংশীদারদের ব্যবহার করে ক্রয়প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে থাকে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দরপত্রে বিজয়ী হতে না পারে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্রে কারচুপির বিষয়ে উদাহরণ দিয়ে অভিযোগ করেছে।  মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ চাওয়ায় লাইসেন্স ও দরপত্রের অনুমোদন পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ ছাড়া ঘুষ, প্রতিযোগিতাবিরোধী চর্চা, দরপত্রের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব—এসব বিষয় সরকারি দরপত্রে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের পথে বাধা। প্রতিবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে- এমন বিষয় তুলে ধরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রণীত সরকারি চাকরি আইন বিল হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, যেকোনো সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার আগে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদকের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে। এরপরও দুদক ক্রমবর্ধমানভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করছে। তবে সেখানে বহু মামলাই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়