• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত
প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়া করবে বাংলাদেশ ও চীন। আগামী মে মাসে এ মহড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলি এ খবর প্রকাশ করেছে। চীনা জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন ও বাংলাদেশের সম্মতির ভিত্তিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি কন্টিনজেন্ট যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে আগামী মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে যাবে। চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান বলেন, চীনা ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ঐকমত্য অনুসারে, পিএলএ সেনাবাহিনী মে মাসের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ-২০২৪’ নামক যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য বাংলাদেশে একটি দল পাঠাবে। তিনি বলেন, যৌথ মহড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে আদর্শ হিসেবে নেবে এবং অপহরণরোধী, সন্ত্রাসীদের আস্তানা নির্মূলকে গুরুত্ব দেবে।  কর্নেল উ কিয়ান বলেন, চীনা এবং বাংলাদেশি সামরিক বাহিনী প্রথমবারের মতো যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য এমন মহড়া আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটি পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করবে এবং বিনিময় ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে। এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, ওই মহড়ার দিকে ভারত নজর রাখবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য চীন ও ভারতের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে।   তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি।
২২ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশে পণ্য বর্জনের ডাক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত
‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক’ দিয়ে দেশে গত প্রায় তিন মাস ধরে যে প্রচারণা চলছে, তা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা নষ্ট করতে পারবে না। দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপ্তি সর্বগামী, এই সম্পর্ক এমনই থাকবে। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে গত বেশ কিছুদিন ধরে তথাকথিত ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চলছে, যাতে মূলত ভারতের পণ্য বয়কট করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। সে দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতাও সেটাতে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই আন্দোলন নিয়ে কি আপনি কোনো মন্তব্য করতে চাইবেন? আর দ্বিতীয়ত, এর ফলে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণে কি কোনো প্রভাব পড়ছে?’ জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘দেখুন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আসলে খুব শক্তিশালী ও গভীর। আমাদের দুই দেশের মধ্যে আসলে একটি কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ আছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত। অর্থনীতি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে উন্নয়ন সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি থেকে শুরু করে পিপল-টু-পিপল কনট্যাক্ট–মানবজীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো একটা বিষয়ের নাম নিন, দেখবেন সেটা কিন্তু ভারত-বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্কের অংশ। আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্ব ঠিক এতটাই প্রাণবন্ত। আর এই ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়