• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছাগলে আম গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
ছাগলে মসজিদের আম গাছের পাতা খাওয়ার জেরে রাজশাহীতে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন (৪২) ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।     জানা গেছে, ঘুন্টিঘর এলাকার সাদেকুল ইসলামের একটি ছাগল মসজিদের আম গাছের পাতা খায়। বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন সাদেকুলকে ডেকে ছাগল ছাড়তে বারণ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মসজিদ কমিটির সভাপতি নেজাম উদ্দীন মেম্বারের পক্ষের লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুলের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এত রুহুল আমিনকে নামের এক ব্যক্তি নিহতসহ আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। রুহুল আমিন ও নাজিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক রুহুলকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় রাতেই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সাদেকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

হাড়কে মজবুত করতে একাই একশো যে পাতা
বর্তমানে বয়স ত্রিশ হলেই অনেককে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। যদিও আগে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়জনিত এই সমস্যাকে বার্ধক্যের রোগ বলে মনে করতেন বিশেষজ্ঞরা, যা এখন আর বার্ধক্যের রোগ নেই। আর তাই বিশেষজ্ঞরা ৮ থেকে ৮০ বছরের সকলকেই হাড়ের জোর বাড়ানোর পরামর্শ দেন। আর ভালো খবর হলো, এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে অতি পরিচিত ধনেপাতা। তাই আর সময় নষ্ট না করে হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে ধনেপাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।  ১. ইমিউনিটি : আমাদের আশপাশে উপস্থিত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচতে আপনাকে ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। তা না হলে যে বারবার জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় পরতে হবে। এবার আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, ঠিক কোন খাবার খেলে বাড়বে ইমিউনিটি? তার উত্তর, আমাদের অতি পরিচিত ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চাঙ্গা করার কাজে দারুণ কার্যকরি। তাই সুস্থ-সবল জীবন চাইলে ঝটপট এই পাতার শরণাপন্ন হন।  ২. খনিজের ভাণ্ডার : এই পাতায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাসের ভাণ্ডার। আর এই সমস্ত খনিজ হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে বেশ কার্যকর। তাই তো সব বয়সীদেরই নিয়মিত ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত, যারা ইতিমধ্যেই হাড়ের ক্ষয়জনিত অসুখের পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের পাতে তো এই পাতা থাকা জরুরি। ৩. ব্লাড সুগার : যাদের হাই ব্লাড সুগারের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদেরকে এই অসুখ বশে রাখতেই হবে। আর সেই কাজেও আপনার হাতিয়ার হতে পারে ধনেপাতা। কারণ এই পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ায়। আর শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে যে অনায়াসে ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই ডায়াবেটিকদের ডায়েটে এই পাতা থাকা প্রয়োজন। ৪. কোলেস্টেরল : রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হার্ট ডিজিজ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে ধনেপাতা। তাই হাইপারলিপিডিমিয়ায় ভুক্তভোগীদের খাবার তালিকায় ধনেপাতা থাকতেই হবে। ৫. কমবে জয়েন্টের ব্যথা : ধনেপাতায় রয়েছে কিছু অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানের ভাণ্ডার যা কি না ব্যথা প্রশমিত করার কাজ করে। তাই অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা গাউট আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই পাতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে। তবে শুধু হাড়ের জোর বাড়ানো নয়, এর পাশাপাশি আরও একাধিক উপকার করে এই পাতা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৬

গরমে স্বস্তি পেতে কাঁচা আমের ললি
তীব্র গরমের মধ্যেই এবার রোজা। তাই দিন শেষে ইফতারের পর খাওয়ার জন্য অথবা প্রচন্ড গরমে আরামের জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন কাঁচা অমের ললি আইসক্রিম। টক-মিষ্টি এই আইসক্রিম স্বাদে হবে অনন্য আর পুষ্টিতে হবে সেরা। খুব সহজে কাঁচা আম দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় এই আইসক্রিম।  কাঁচা আমে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে, ফলে হাড় হয় শক্তিশালী। তাছাড়া ভিটামিন সি শরীরকে ইনফ্লামেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে, নতুন রক্ত কণিকা সৃষ্টিতে সাহায্য করে, আয়রনের শোষণে এবং রক্তপাতের প্রবণতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।  চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন এই ললি আইসক্রিম- যা যা লাগবে- কাঁচা আম- ১টা চিনি- আধা কাপ ব্ল্যাক সল্ট- ১ চা চামচ পানি- ৮ কাপ পুদিনা পাতা- আধা কাপ সবুজ ফুড কালার যেভাবে বানাবেন- প্রথমে একটি কাঁচা আম ছোট টুকরা করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর ৪ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে চুলায় অল্প আঁচে বসিয়ে দিন। এখন আমের রং স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত ফুটাতে থাকুন। এরপর সেদ্ধ আমসহ পানি নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তারপর পানিসহ আম ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। এখন যোগ করুন আধা কাপ পুদিনা পাতা, আধা কাপ চিনি, ১ চা চামচ ব্ল্যাক সল্ট। এবার মিশ্রণের সব উপকরণ দিয়ে মিহি ব্লেন্ড করে নিন।  সবশেষে আইসক্রিমের সুন্দর রঙের জন্য মেশান সবুজ ফুড কালার। মিশ্রণটি আইসক্রিম বসানোর ছাঁচে ঢেলে নিন। সারারাত রেখে পরদিন পরিবেশন করুন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৪

পাঠ্যবইয়ের পাতা ছেঁড়ার পর শিক্ষককে চাকরিচ্যুতি, যা বলল ব্র্যাক
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ‘শরীফার গল্পের’ পাতা ছেঁড়ার পর চাকরি হারানো ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবের প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মাহতাব আসিফের কোনো চুক্তি নেই বলে জানানো হয়েছে।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব কমিউনিকেশন্স শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়।  এতে বলা হয়েছে, আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মী এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।  গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ প্রতিবাদ জানান। এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষক আসিফ মাহতাব বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।  এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্পের’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।  বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা এবং ওই দিনের অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে; যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব দাবি করেন, এ ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তির আওতায় নেই।  এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (পাঠ্যক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, আসিফ মাহতাব গল্পটির ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। গল্পের কোথাও ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি লেখা হয়নি, লেখা হয়েছে থার্ড জেন্ডার। এ গল্পের মাধ্যমে থার্ড জেন্ডার (হিজড়া) হিসেবে পরিচিত জনগোষ্ঠী যারা আছেন, তারাও যে মানুষ এ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা সৃষ্টির বৈচিত্র্য, এটাকে অস্বীকার করা সম্ভব না।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়