• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আওয়ামী লীগ ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে : রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসে থাকতে সহযোগিতাকারী ভারতীয় পণ্য বর্জন হোক মানুষের প্রতিবাদের হাতিয়ার। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিনাভোটে অবৈধ ক্ষমতার অমরত্ব লাভের অপচেষ্টায় প্রতিবেশী ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কথা জোর গলায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। কথায় কথায় প্রায় সব মন্ত্রী ভারত বন্দনায় মত্ত হচ্ছেন। তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে- বাংলাদেশ এখন ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদের বক্তব্য প্রমাণ করে জাতিসংঘ সনদের ২ (৪) ধারা সরাসরি লঙ্ঘন করে ভারত আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার সবকিছুর উপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে। রিজভী আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দেখা গেছে তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তাই বিএনপিসহ ৬৩টি দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

রোজার পণ্যে অগ্নিমূল্য, নাজেহাল ক্রেতারা 
প্রতিবছর রমজান মাস আসার পূর্বেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। আর রমজানে এই নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো প্রতিবছর নানারকম অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। দাম কমানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমালেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। রোজায় পণ্যের অগ্নিমূল্যে নাজেহাল ক্রেতারা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজার, মগবাজার ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, ছোলা, বেসন, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। লেবু-শসার দামও অসহনীয়।  ক্রেতারা বলছেন, যারা ব্যবস্থা নেওয়ার, তারা নিচ্ছে না। সিন্ডিকেট এতই প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। বাজারঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়, যা আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। মাঝারি মানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০-৫০ টাকা ছিল। পাশাপাশি এক সপ্তাহ আগে প্রতি হালি যে লেবু ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা মঙ্গলবার খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৩০ এবং গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য দেশে রোজা এলে পণ্যের দাম কমানো হয়। বাংলাদেশে বাড়ে। এদিকে নতুন করে ছোলার দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বাড়তি দরের তালিকায় আছে চিনিও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড় শ টাকার ওপরে। পবিত্র রমজানে ভোক্তা পর্যায়ে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবার ইফতারে অনেকেই খেজুরের পাশাপাশি মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করেন। ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। যেমন এক কেজি মাল্টা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। এদিকে রমজান ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। এর আওতায় রোজায় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের আমদানি বাড়াতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। এছাড়া ৮ পণ্য আমদানির এলসি মার্জিন এবং ৪ পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। এরপরও পণ্যের দাম কমছে না। এ প্রসঙ্গে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা করার প্রবণতায় পণ্যের দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এসব দেখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগও নিয়েছে। তবে সুফল নেই। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৯

চার পণ্যে সুসংবাদ
চিনি, চাল, খেজুর ও ভোজ্যতেলের শুল্ক-কর কমানোর সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন হবে। ফাইল চালাচালি করে সময় নষ্ট না করে সরাসরি বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। শুল্ক বিভাগ চিঠির পর এসব পণ্যে কতটুকু শুল্ক কমলে কত রাজস্ব ক্ষতি হবে ইত্যাদির হিসাব-নিকাশ করেছে। শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি চূড়ান্ত করে তা অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এরই মধ্যে সারমর্মে অনুমোদনও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অর্থমন্ত্রীর অনুমোদন সম্পন্ন হয়েছে। এখন এর প্রজ্ঞাপন জারি করতে যেটুকু সময় লাগবে, তার অপেক্ষা। এদিকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই চার পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।   এ সময় তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যৌক্তিক মূল্যে বাজারে কৃষি পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। ভোক্তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বাজারে কখনো যাতে পণ্যের সংকট না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে। উল্লেখ্য, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে চারটি নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সে সময় তিনি জানান, চার পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, এ সকল পণ্যে শুল্ক কী পরিমাণ কমানো হবে, তা এনবিআর এখন ঠিক করবে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়