• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হাতিয়ার কমলার দিঘি সমুদ্রসৈকত 
কেউ চড়ছেন ঘোড়ার পিঠে, কেউ কাটছেন সাঁতার। হাঁটু পানিতে নেমে ছোট শিশুরা করছেন দুরন্তপনা। সঙ্গে থাকা পরিবারের নারী সদস্যরা নদীর তীরে দাড়িয়ে তুলছেন ছবি। সবাই আনন্দে আত্মহারা। তীব্র রোদ কাউকে থামাতে পারেনি। মাঝে মধ্যে কেওড়া বাগানে এসে একটু স্বস্তি নিয়ে আবার যে যার মতো করে আনন্দে মেতে উঠছেন। ঈদ পরবর্তী গত কয়েক দিন ধরে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ঐতিহ্যবাহী কমলার দিঘি সমুদ্রসৈকতে একই চিত্র বিরাজ করছে। হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পূর্বপাশে বেড়িবাঁধের বাহিরে এই সমুদ্রসৈকতের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে পাকা রাস্তায় ৫-৬ কিলোমিটারের দূরত্বে হওয়ায় অনেকে এখানে আসছেন। গণপরিবহন চলাচল না করায় সবাই নিজ নিজ ব্যক্তি মালিকানা গাড়ি নিয়ে এসেছেন এই সমুদ্রসৈকতে।  সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যক্তি মালিকানা সারি সারি গাড়ির বিশাল বহর রাখা কেওড়া বাগানের ফাঁকে ফাঁকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই এখানে অবস্থান করে অন্ধকার হওয়ার আগেই সবাই যে যার মতো বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম চৌকিদার শঙ্কর চন্দ্র সাহা জানান, ঈদের দিন থেকে এখানে প্রতিদিন মাত্রাতিরিক্ত মানুষের সমাগম হচ্ছে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষ আসছেন এখানে। বেড়ি থেকে পূর্ব দিকে সরু রাস্তায় চারচাকার গাড়ি এলে যানজট সৃষ্টি হয়। এ জন্য সবাই মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। দুই যুগেরও বেশি সময় এই স্থানে দর্শনার্থীদের পদচারণা থাকলেও এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ এখানে আসছেন। নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার অন্য বিনোদন কেন্দ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় মানুষজন এখানে বেশি আসছেন।  ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন পরিবার নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, অনেকের কাছে এই কমলার দিঘির গল্প শুনেছেন। সত্যিই দেখার মতো জায়গা এটি। ছোট শিশুরাও আনন্দে আত্মহারা। সহজে নদীতে নামা যায়, কোনো কাদা লাগে না। তীব্র গরমে বনের মধ্যে একটু দাঁড়ালে প্রশান্তি চলে আসে। বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। এরপরেও সবাই ক্লান্তিহীন। স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল শহিদ জানান, গত কয়েক বছর এখানে মানুষজন আসছেন। তবে এবার যে পরিমাণ মানুষ এসেছে, তা বিগত বছরগুলোতে কখনো আসেনি। কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিন তীব্র যানজট ছিল। বেড়ি থেকে পূর্বদিকে সৈকতের যাওয়ার রাস্তাটি সরু হওয়ায় অনেকে ভিন্ন ভিন্ন পথে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া লাগছে। চরঈশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, ২০২৩ সালে হরিণের খাওয়ার পানি জোগান দেওয়ার জন্য এখানে একটি দিঘি তৈরি করা হয়। মাটি কাটা এক নারী শ্রমিকের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় কমলার দিঘি। এর পাশে বনবিভাগ কেওড়া বাগান ও পরে ঝাউবাগান সৃজন করেন। এতে স্থানটি দর্শনীয় হয়ে ওঠে। গত তিন বছর আগে কেওড়া বাগানের পাশে নদীর কোল ঘেঁষে বিশাল বিচ তৈরি হয়; যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোক আসছেন। গত কয়েক বছর সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এখানে আসেন। তিনি আরও জানান, মানুষের আনাগোনা বেশি দেখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পরে কয়েকটি ছাতা ও একটি শৌচাগার নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এবার ঈদে মানুষের অতিরিক্ত চাম সামাল দিতে গ্রাম চৌকিদার নিয়োজিত করা হয়। তারা প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট অনেক কম হওয়ায় অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা যাচ্ছে না। সরকারিভাবে পর্যটন করপোরেশন থেকে লোকজন এসেছেন। তারা একটি পরিকল্পনা হাতে নিলে এই স্থানটি পর্যটন খাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৭

হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দর্শনার্থীদের ভিড়
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীরা (ভ্রমনপিপাসু) বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে দর্শনার্থী ছিল চোখে পড়ার মতো। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট যেন পার্কে পরিণত হয়েছে। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের দিন থেকেই আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। ঈদের আনন্দ একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আসেন তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলিতে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকলেও হিলি জিরো পয়েন্টে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। হিলির এপারে বাংলাদেশ, ওপারে ভারত। মাঝখানে সীমানা কাঁটাতারের বেড়া। ঈদের খুশিতে ভারতে থাকা স্বজনদের এক নজর দেখতে এবং জিরো পয়েন্ট দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হিলি সীমান্তে এসেছেন কয়েকশ মানুষ। এখানে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দূর থেকে স্বজনদের দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন তারা। আবার কেউ জিরো পয়েন্ট দেখতে এসেছেন। জয়পুরহাট থেকে আসা রকিবুল ইসলাম, রত্না ইসলাম, আলেয়া বেগমসহ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, আমাদের এখানে আসার মূল কারণ হচ্ছে জিরো পয়েন্ট দেখা। আমরা শুধু শুনি যে, হিলি একটি বর্ডার এলাকা। এখানে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এখান থেকে ভারত দেখা যায়, সেই জন্য আমরা এখানে এসেছি। কাছ থেকে সীমান্ত দেখে অনেক ভাল লাগলো। স্মৃতি হিসেবে মোবাইলের মাধ্যমে ছবি উঠিয়ে রাখলাম।  দিনাজপুর সদর থেকে আমিরুল ইসলাম, আজাহারুল, সম্পা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, ভারতে আমাদের আত্মীয় আছে। পাসপোর্ট না থাকার কারণে আমরা ভারতে যেতে পারিনি। ঈদের আনন্দে ঘুরতে হিলি সীমান্তে এসেছি। ঘুরতে পারবো সেই সঙ্গে ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করতে পারবো। যদিও তাদের সঙ্গে কাছ থেকে কথা বা দেখা হচ্ছে না, তারপরও দূর থেকে আমরা দেখতে পারছি এবং ইশারায় কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদের অনেক ভালো লাগছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা বলেন, আমরা এখানে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করছি। কেউ যেন চোরাইপথে কিছু না নিয়ে যেতে পারে এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। দুই দেশের মানুষ ঈদ উপলক্ষে দুপাশে ভিড় করেন। কেউ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, আবার কেউবা হিলির জিরো পয়েন্ট দেখতে আসেন। আমরা বিজিবির সতর্ক অবস্থানে সব সময় থাকি এবং বর্তমানেও আছি। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৮

চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
ঈদুল ফিতরের দিনে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও দুপুর ১টায় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর কলাবাগান থেকে বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসছে নওরীন ও তার তিন বছরের ভাই সহেল। তারা সিংহ, বাঘ, পাখি, বানর ও অজগরসহ বিভিন্ন পশু-পাখির খাঁচা পরিদর্শন করেছে। পশু-পাখিদের সাথে সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাদের বাবা। নওরীন জানায়, বাবাকে অনেক দিন ধরে বলছিলাম। তাই তিনি ঈদের দিনে আমাদের ঘুরতে এনেছেন। খুব কাছ থেকে পশু-পাখি দেখে আমরা খুব খুশি। নওরীনদের মত হাজার হাজার শিশু কিশোর বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে। শুধু ছোটরা নয়, চিড়িয়াখানায় আজ এসেছেন নব দম্পতিরাও। তারা চিড়িয়াখানার মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দিও করতে ভুলছেন না।  এবারের যেমন ভিড়, অন্য বছরগুলোতে এমন দর্শনার্থীর ভিড় জমেনি। চিড়িয়াখানার ভেতরে এখন শতশত মানুষ গিজগিজ করছে। যেখানে যাবেন দর্শনার্থী আর দর্শনার্থী। টিকিট চেক করে প্রবেশ করাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তারা। চিড়িয়াখানা প্রবেশের শুরুতেই প্রধান গেটে শতশত মানুষ। তারা লাইন ধরে প্রতিটি কাউন্টারে টিকিট কাটছেন এবং প্রবেশ করছেন। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের  এদিন চিড়িয়াখানায় এতটাই ভিড় যে অনেকে বাচ্চাকে হারিয়ে ফেলছেন। দুপুর দেড়টার দিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা করেছিলেন, জিসান নামে এক ছোট্ট শিশুকে পাওয়া গেছে। তার বাবার নাম মান্নান ও মা নাজমা। সন্তানটি কারো হয়ে থাকলে আপনারা তথ্য কেন্দ্রে চলে আসুন।     
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়