• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিজিটাল যুগেও হাতের ইশারায় চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থা (ভিডিও)
হাতের ইশারায় চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশের রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা। বছরের পর বছর চেষ্টা করেও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি ট্রাফিক বিভাগ। হাতের ইশারায় নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। আবারো স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করতে হলে আগে প্রধান সড়কে অযান্ত্রিক যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।  রাজধানীর বিজয় সরণী মোড়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ৮-১০ জন ট্রাফিক সদস্য। ভিভিআইপি চলাচল আর যানবাহনের চাপ থাকায় আছেন সিনিয়র কর্মকর্তারাও। তবে সবই চলছে হাতের ইশারায়। এ বিষয়ে বিজয় সরণী মোড়ের এক গাড়িচালক বলেন, আগের ট্রাফিক লাইটই ভালো ছিল। আমরা দুর থেকে দেখ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতাম। কিন্তু এখন ট্রাফিক পুলিশের হাত দেখতে অসুবিধা হয়। ঠিক সময় ব্রেক করতে পারিনা। আমাদের টাইমিংয়ে সমস্যা হয়। অপর এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, গাড়ি এবং বাইকের সবসময় গতিটা বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা ফলো করা যায় না। ফলে সিগন্যাল অবমাননা বেশি হয়। বিজয় সরণী মোড়ে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। অপর এক পুলিশ সদস্য বলেন, সিগন্যাল লাইটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে ভালো হবে। বর্তমানে ফোর্স দিয়ে সিগন্যাল চালাচ্ছি। ওই সদস্য কথা বলা অবস্থায় একটি বাস ও প্রাইভেটকারের মধ্যে একটি ছোট দুর্ঘটনা ঘটে। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ট্রাফিক সিগনালের বাতিগুলো। কিছু জায়গায় যা ঢাকা পড়েছে গাছের আড়ালে। বাতিগুলো শেষ কবে জ্বলেছে তাও মনে করতে পারেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সামসুল হক বলেন, উন্নতির এই সময় এসে যখন দেখি আমাদের রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থাপনায় হাত দিয়ে পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণ করছে, মোড় নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা আমার কাছে বেমানান লাগে। দিনের বেলা হাত দিয়ে চালাচ্ছি। রাতের বেলা আমি ঝুঁকিপূর্ণ লেজার পয়েন্টার ব্যবহার করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করছি। আমার মনে হয়, বিজ্ঞান থেকে আমরা অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। লেজার লাইট ব্যবহার নিয়ে বৈধতার বিষয়েও প্রশ্ন রাখা যায়। কারণ, মানুষের চোখের জন্য এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে কয়েকবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। আবারও তা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। রাজধানীর ১১০টি সিগনালের মধ্যে গুলশান-২ নম্বর মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থা চালু করেছে উত্তর সিটি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খাইরুল আলম বলেন, গুলশান-২ ইন্টার সেকশনে পাইলোটিং হচ্ছে, মোটামুটিভাবে সেটি সফল হয়েছে। এটিকে বর্ধিত করার জন্য আমরা টেন্ডার আহ্বান করেছি। এরপর আরও ছয়টি স্থানে আমরা বর্ধিত করব। এটি টেন্ডারিং পর্যায়ে আছে ইতোমধ্যে ইউআই সাবমিট হয়েছে। এরপর পুরো সিটিজুড়ে এটি বর্ধিত করা হবে, এবিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান বলেন, ট্রাফিক কনজেশনের মুল কয়েকটি কারণের ভিতরে একটি হচ্ছে সিগন্যাল অটোমেশন। এটি আমাদের হাতে নেই। বিভিন্ন সংস্থার এটি স্টাবলিশ করেন রক্ষণাবেক্ষণ ও করেন। শুধুমাত্র গুলশান-২ ছাড়া আর কোথাও এই সিগন্যাল অটোমেশনের সুযোগ নেই। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত পুরো ঢাকায় সিগন্যাল অটোমেশন হয়ে যাবে। অন্যদিকে, অধ্যাপক এম সামসুল হক জানিয়েছেন, অযান্ত্রিক যানবাহনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে অযান্ত্রিক যান চলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা কাজ করবে না। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সবার আগে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জরুরী।  পিটিসি-ঢাকার যানজট নিরসনে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালের কাজে গত দুই যুগে কয়েকটি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু যানবাহন চলে ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারায়। নতুন করে দুই সিটি করপোরেশন দেখাচ্ছে আশার আলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৪

ভেঙে পড়েছে মিরপুর স্টেডিয়ামের ডিজিটাল স্কোরবোর্ড
রাজধানীতে ভোর থেকে মিরপুরে দমকা বাতাসের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। সেই কালবৈশাখী ঝড়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) তিন ম্যাচের টি-টোয়ন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ম্যাচটি শুরু হয়। তার আগেই নজরে আসে ভাঙা স্কোরবোর্ডটি। তারপর একজন মাঠ কর্মী এসে ভাঙা অংশগুলো সেখান থেকে সরানোর কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভোররাতে অনেক ঝড় হয়েছে। তাতে জায়ান্ট স্ক্রিন ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও পেছনের অংশে একটি দেয়ালও ভেঙে পড়েছে। এখনও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়নি। আমরা দেখছি কীভাবে করা যায়, দ্রুত শুরু করবো। অজিদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে ভর করে ১২৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে  উইকেট না হারিয়ে ১৩ ওভারেই  জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। 
৩১ মার্চ ২০২৪, ২১:৩২

ডিজিটাল সুরক্ষা প্রশিক্ষণে সনদ পেলেন ২৫ নারী সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ
ডিজিটাল প্লাটফর্মের অধিকতর নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় ২৫ জন নারী সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদকে সনদ দিলো ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। সফলভাবে এই কোর্স সম্পন্ন করায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল ওল্ডস।  টেক জায়ান্ট মেটা’র সহায়তায় ‘সিভিক এনগেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ১৭টি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নারী সাংবাদিক এবং আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ৮ জন নারী রাজনৈতিক কর্মী একই সাথে ‘সেফার ডিজিটাল স্পেসেস ফর উইমেন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেন। ডিজিটাল যুগে গণমাধ্যমের অবস্থান, নারীর ক্ষমতায়নে ডিজিটাল টুলসের ব্যবহার, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন ও ফেইক নিউজ চিহ্নিতকরণ, তথ্য যাচাইয়ের বিভিন্ন কৌশল, সামাজিক মাধ্যমের গাইডলাইন পলিসি, ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্যের নিরাপদ ব্যবহার, নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিন দিনের আবাসিক কর্মশালা ও ১০ দিনের অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করেন অংশগ্রহণকারীরা। প্রশিক্ষণ বিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক রাবেয়া বেবি বলেন, এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সেই কৌশলগুলোই আমরা হাতে কলমে শিখতে পেরেছি যা ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের নিরাপদ রাখবে।  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের উপশিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা বলেন, এখান থেকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে যা জেনেছি তা আমার দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আমি ছড়িয়ে দিতে চাই।  জাতীয় পার্টির নেত্রী শাহিদা রহমানও এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান দলের কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে উপকৃত হতে চান।  আর বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা বলেন, এই প্রশিক্ষণে শুধু ফ্যাক্ট চেকিং-ই জেনেছি তা নয় পাশাপাশি সাংবাদিকরদের সাথে একটি কার্যকর নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ হয়েছে। নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি নারী ও যুবদের ক্ষমতায়নের লক্ষে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ ছাড়া প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে আসছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৪

ছবিতে ডিজিটাল কেরামতি দেখিয়ে আবার শিরোনামে ব্রিটিশ রাজপরিবার
কেট মিডলটনের ছবির পর এবার নাতি-নাতনি সমেত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবিকে ঘিরে বিতর্ক৷ এবারও অভিযোগ ডিজিটাল কারসাজিতে ছবির মানোন্নয়নের৷ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাজ্যের যুবরাজ উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট মিডলটনের কার্যালয় কেনসিংটন প্যালেস আরো একটি ছবি সংবাদমাধ্যমকে দেন৷ কিন্তু রয়টার্সের নিজস্ব ফটো এডিটরদের মতে, রাজপরিবারের এই ছবিটিও সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া কেট মিডলটনের ছবির মতোই পরিবর্তিত ও সেকারণে বিশ্বাসযোগ্যও নয়৷ গত বছরের এপ্রিল মাসে তৎকালীন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯৭তম জন্মদিন উপলক্ষে এই ছবিটি প্রকাশ করা হয়৷ ছবিতে প্রয়াত রানীকে দেখা যাচ্ছিল তার নাতি-নাতনিসহ পরিবারের আরো শিশুদের সাথে৷ সেই সময় কেনসিংটন প্যালেস জানিয়েছিল, ছবিটি তুলেছেন কেট নিজে, স্কটল্যান্ডে রাজপরিবারের বাসস্থান বালমোরাল কাসলে৷ মঙ্গলবার ছবি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা গেটি ইমেজেস তার গ্রাহকদের জানায়, বালমোরালের এই ছবিটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত করা হয়েছে৷ কিন্তু এই উন্নতি কেমন বা কতটুকু, সে বিষয়ে কোনো বাড়তি তথ্য দেননি তারা৷ গেটি ইমেজেসের এক মুখপাত্র বলেন, গেটি ইমেজেস তার সরবরাহ করা ছবি যাচাই করছে৷ এছাড়া, আমাদের সম্পাদকীয় নীতি অনুযায়ী যে যে ছবি এভাবে ডিজিটাল কায়দায় পরিবর্তিত, সেই পরিবর্তনের তথ্য ছবির সাথে সম্পাদকীয় টীকা হিসাবে লেখা থাকবে৷ যে সময় এই ছবিটি প্রকাশিত হয়, তখন রয়টার্স বা গেটি ইমেজেস কেউই ধরতে পারেনি যে ছবিটি পরিবর্তিত৷ পরে রয়টার্সের ফটো এডিটরদের দল জানায়, তারা ছবিটির এমন আটটি অংশকে চিহ্নিত করেছেন, যা তাদের মতে ডিজিটাল কেরামতির প্রমাণ৷ কিন্তু এমন পরিবর্তন কেন করা হয়েছে, তা জানেন না রয়টার্সের কর্মীরা৷ কেনসিংটন প্যালেসের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি আসেনি৷ রয়টার্সের এক মুখপাত্র বলেন, কেনসিংটন প্যালেসের তরফে দ্বিতীয় ছবিতেও পরিবর্তন দেখার পর আমরা ছবি যাচাইয়ের মানগুলির পুনর্বিবেচনা করছি৷ টমসন রয়টার্স ট্রাস্টের নীতিমালা অনুযায়ী, রয়টার্স প্রকাশিত সকল ছবিকে একটি নির্দিষ্ট মান, সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হয়৷ পরিবর্তিত ছবি ও কেট মিডলটন চলতি মাসের শুরুতে ব্রিটিশ মাদার্স ডে উপলক্ষে কেনসিংটন প্যালেসের দেওয়া কেট মিডলটন ও তার পরিবারের একটি ছবি সরিয়ে নেওয়া হয় বেশ কিছু পত্রপত্রিকা ও সংবাদসংস্থা থেকে৷ তখনও ডিজিটাল পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছিল৷ পরের দিন কেট ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়৷ সেখানে বলা হয়, অন্যান্য অপেশাদার চিত্রগ্রাহকদের মতো আমিও মাঝে মাঝে এডিটিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাই৷ গতকাল আমাদের ছবি প্রকাশিত হবার পর যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী৷ জানুয়ারি মাসে একটি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে গেছেন কেট মিডলটন৷ তারপর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-আলোচনা৷
২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:০১

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল নকল ধরবে ‘সুরক্ষা’ ডিভাইস
পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের জালিয়াতি ধরতে ‘সুরক্ষা’ নামে একটি অভিনব যন্ত্র বানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আগামী ২৯ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫টি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, কোনো পরীক্ষার্থীর কানে জালিয়াতির ডিভাইস থাকলে বুয়েট উদ্ভাবিত যন্ত্রে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বেজে উঠবে। আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা থেকেই নকল ধরতে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হবে। ২৫টি যন্ত্র দিয়ে ৫টি টিম করে পরীক্ষা কেন্দ্রে এই যন্ত্রের পাইলটিং করা হবে। এর জন্য পরীক্ষার্থী বেশি এমন ৫টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এই জেলাগুলোতে আমরা পাইলটিং করব। সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার প্রতিরোধে যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য বুয়েটের আইআইটিসি-কে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। যন্ত্রটি তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে। পরে বেশি উৎপাদন করা হলে দাম ৫ হাজার ৫০০ টাকা পড়বে। তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত পরীক্ষা ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ হাজার ২০১টি পদের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৫

‘জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
রাজধানীতে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের আয়োজনে কিউকম নিবেদিত ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগে ডিজিটাল মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা, সার্টিফিকেট বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার (১ মার্চ)  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনস্থ আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এ কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়।  সহযোগী হিসেবে ছিল প্রাইভেট ইউনিভাসির্টি পাবলিক রিলেশনস অফিসারস এসোসিয়েশন-পুপরোয়া।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। তিনি বিশেষ প্রয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও এক বার্তায় সংগঠনের সাফল্য কামনা করেন। বার্তায় সব অতিথি এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা ও স্পন্সরকারী সব প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানান।  বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাবি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।  অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, চ্যানেল২৪ এর ডিজিটাল হেড রাজীব খান, প্রথম আলোর সিনিয়র ম্যানেজার (লিড) বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রুহুল আমিন রনি, গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের লেকচারার সরজ মেহেদী, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের হেড অব মিডিয়া নাহিদ জাহান, এডফিনিক্স এর বিজনেস ও গ্রোথ লিড হোসনে মোবারক অপু, নিউজবাংলার এসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার জাকারিয়া হোসেন জয়, এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সিইও বেনজির আবরারসহ অনেকেই।  কর্মশালায় স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল-টাইটেল স্পন্সরে কিউকম, গেজেট পার্টনার জি অ্যান্ড এম গেজেট অ্যান্ড মোবাইল কেয়ার, গোল্ড স্পন্সর টেনিশিয়ান, আইটি পার্টনার টেক্সোর্ট, নিউট্রিশন পার্টনার নিউট্রি প্লাস, কনটেন্ট প্রডাকশন পার্টনার স্টুডিও ভেলভেট, ক্রিয়েটিভ পার্টনার লিমিরেন্স ক্রিয়েসন্স, কো-স্পোন্সর দ্য প্রিমিয়াম হোমস লিমিটেড এবং উইসেলবিডি, নলেজ পার্টনার জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট। কর্মশালায় ৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের মিডিয়া ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞজন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা পরিচালনা করেন। 
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৫

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ইসরায়েলের বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধের জন্য একটি সহযোগিতামূলক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাব করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তুরস্কের স্থানীয় সময়  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দেশটির রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ প্রস্তাব করেন। বিশেষ অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগানের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা, ফিলিস্তিনের উপপ্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী নাবিল আবু রুদিইনেহ, তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট ফাহরেতিন আলতুন অধিবেশনের উদ্বোধন পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন। ওআইসি-এর সদস্য রাষ্ট্রের তথ্যমন্ত্রীগণ বিশেষ এ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং ২৫ জন তথ্যমন্ত্রী নিজ নিজ দেশের হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ এ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সাংবাদিক ও মিডিয়া আউটলেটের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের অপতথ্য এবং শত্রুতা’। অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গাজায় যেভাবে সাংবাদিকদের ক্রমাগত হত্যা এবং অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে। এই ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অধিক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্ব মিডিয়াতে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে কর্মরত সাংবাদিকদের উপর ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে একটি সহযোগিতামূলক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। আমি ওআইসি সচিবালয়কে অবিলম্বে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের দলিল সম্বলিত একটি মানসম্মত তথ্য ও দলিল পুল প্রতিষ্ঠার জন্য ওআইসি সচিবালয়ের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। সচিবালয় নিয়মিত সব সদস্য রাষ্ট্রের সাথে এসব তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। ওআইসি সচিবালয় ইসরায়েল দ্বারা ছড়ানো অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও পরিচালনা করতে পারে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন , ইসরায়েল গাজায় যে নিষ্ঠুরতা এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করছে তা আড়াল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করেছে। ইসরায়েলের ঘৃণ্য বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা শিশু, মহিলা, বয়োজ্যেষ্ঠ, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের নির্বিচারে টার্গেট করাসহ নির্লজ্জ যুদ্ধাপরাধ ঢাকার প্রচেষ্টা। তিনি আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হত্যাকান্ড একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করছে এবং দখলকৃত জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে এবং বিশ্বকে সত্য জানাতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে এবং তাদের পাশে রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে সাত দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এগুলো হলো প্রথমত, ফিলিস্তিনে অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ করা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা; দ্বিতীয়ত, গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ঔষধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অবিচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলা রাখা; তৃতীয়ত, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা এবং আইসিজে-তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমর্থন করা; চতুর্থত, জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপে সকল সম্মত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা; পঞ্চমত, ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহর দ্ব্যর্থহীন ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং জাতিসংঘের রেজুলেশন ২৪২ এবং ৩৩৮ এর অধীনে ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমান্তে পাশাপাশি বসবাসের জন্য একটি পরিষ্কার সময়রেখার পরিকল্পনা করব; ষষ্ঠত, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী দ্বারা পরিচালিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার নিন্দা জানিয়ে সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তোলা এবং নিরপরাধ বেসামরিক ও পেশাজীবীদের হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা এবং সপ্তমত, ওআইসি মিডিয়া ফোরাম প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়া।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৫

সেনবাগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা-ছেলে গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সেনবাগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা নুশরাত জাহান, ছেলে মো. রাজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার নুশরাত জাহান ও মো. রাজিবুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।  এরআগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার নিজ বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুশরাত জাহান পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বদরপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী ও তার ছেলে মো. রাজিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার রাতে বেঙ্গল গ্রুপের নোয়াখালীর চৌমুহনীর মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের প্রশাসন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।  মামলায় বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসন থেকে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১০টার সময় সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেট এলাকায় বাদী আনোয়ার হোসেনের কাছে আসামি নুশরাত জাহান ও মো. রাজিবুর রহমান সাক্ষাতে কথা বলেন। সেসময় তারা বলেন, তাদের এলাকায় প্রার্থী মোরশেদ আলম যদি জয়ী ও সুষ্ঠু ভোট পেতে চায় তাহলে তাদের ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। যদি ৫ জানুয়ারির মধ্যে দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে মোরশেদ আলমকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার, মানহানিকর তথ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে ছাড়িয়ে দেওয়া হবে। এভাবে হুমকি প্রদান করেন তারা। বিষয়টি বাদী প্রার্থী মোরশেদ আলমকে অবগত করেন। প্রার্থী মোরশেদ আলম তাদেরকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা মানহানিকর অপপ্রচার চালানো শুরু করে। ৫ জানুয়ারি রাত ১০টায় ১নং আসামি নুশরাত জাহান তার পরিচয়ে নিজস্ব কণ্ঠে একটি অডিও রেকর্ড করে প্রার্থী মোরশেদ আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর মিথ্যা প্রচারণা চালান। ২নং আসামি রাজিবুর রহমান তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময়ে মানহানিকর ও আপত্তিকর উসকানিমূলক কমেন্টস করেন।  বাদীর অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, এতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উপক্রম হয়। আসামিদ্বয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে হেয় করার লক্ষ্যে আপত্তিকর উসকানিমূলক মানহানিকর আক্রমণাত্মক মিথ্যা তথ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এ জন্য নোয়াখালীর চৌমুহনী মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের প্রশাসন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা নুশরাত জাহান ও তার ছেলে মো. রাজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। 
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯

ডিজিটাল নথির যুগে পদার্পণ করলো নোবিপ্রবি
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল অফিসকে ডিজিটাল নথি (ডি-নথি) কার্যক্রমের আওতায় আনতে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-নথি যুগে পদার্পণ করলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। নোবিপ্রবি আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো. মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ মনির উল্লাহ ।   অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, আজ নোবিপ্রবির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ডি-নথি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি, আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ব্রিটিশ আমলের সেই লাল ফিতার দৌরাত্ম থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সময় বাঁচিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা। ডি-নথি প্রক্রিয়া বাস্তবয়নের মাধ্যমে কাগজ ও কলমের ব্যবহার কমিয়ে অপচয়রোধে এখন থেকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, দাপ্তরিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে ডি-নথির কোনো বিকল্প নেই। আমরা প্রথমত সংস্থাপন ও শিক্ষা শাখায় ডি-নথি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে সবগুলো দপ্তরেই এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ কাজে নোবিপ্রবি পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘ডি-নথি’ হলো ডিজিটাল নথি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডি-নথি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কাজকে সহজ করা। কিন্তু আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে কাজ সহজ করতে গিয়ে যেনো জটিল না হয়ে যায়। এজন্য আমাদের ভালোভাবে জেনে-বুঝে ডি-নথি ব্যবহারে উদ্যমী হতে হবে। এক্ষেত্রে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমরা সফলভাবে ডি-নথি বাস্তবায়ন করবো, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার ও ডি-নথি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ডি-নথি বাস্তবায়নের এই শুভক্ষণে আমি যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং যারা গ্রহণ করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও দপ্তরকে তাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ইতোমধ্যেই যেসকল অফিসের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের নিয়ে আজকের এ উদ্বোধনীর মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম শুরু করলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনির উল্লাহ বলেন, নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য মহোদয় দ্বিতীয় মেয়াদে এসেই ডি-নথি বাস্তবায়ন করছেন, এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। ডি-নথি বিষয়ক কজের অগ্রগতির দিক থেকে নোবিপ্রবি শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রেরিত একটি নথি অনুমোদনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-নথির শুভ উদ্বোধন করেন।   উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট জনাব মো. মাঈনুদ্দিন ‘ডি-নথি কি এবং কেন’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩২

ডিজিটাল আইনের মামলা থেকে জবি শিক্ষার্থী খাদিজাকে অব্যাহতি
রাজধানীর কলাবাগান থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুই মামলায় খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। অন্যদিকে নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খাদিজার মামলার বিষয়ে আদেশ দেন। পরে দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান খাদিজা। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় আলাদা দুটি মামলা করে। নিউমার্কেট থানার মামলায় এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে মোবাইলফোনে মেজর (অব.) দেলোয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি একটি ভিডিও দেখতে পান। ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে ওই ভিডিওর সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। পরে মামলাটি রেকর্ড করা হয় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। মামলার এজাহারের সঙ্গে তিন পাতার স্ক্রিনশট ও ভিডিওসংবলিত সিডি সংযুক্ত করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, খাদিজাতুল কুবরা ও দেলোয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা, মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রয়াস চালাচ্ছেন। নিউমার্কেট থানায় মামলা করার আট দিনের মাথায় কলাবাগান থানায় আরেকটি মামলা করেন এসআই আরিফ হোসেন। কলাবাগান থানার মামলার এজাহারেও উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর রাত ৯টা ১৫ মিনিটে মোবাইলফোনে ইউটিউব দেখার সময় দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেল দেখতে পান। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি থানায় মামলা করেন। দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক আছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়