• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ডিজিটাল আইনের মামলা থেকে জবি শিক্ষার্থী খাদিজাকে অব্যাহতি

আরটিভি নিউজ

  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭
ফাইল ছবি

রাজধানীর কলাবাগান থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুই মামলায় খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।

শুনানি শেষে কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। অন্যদিকে নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খাদিজার মামলার বিষয়ে আদেশ দেন। পরে দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান খাদিজা।

অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় আলাদা দুটি মামলা করে।

নিউমার্কেট থানার মামলায় এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে মোবাইলফোনে মেজর (অব.) দেলোয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি একটি ভিডিও দেখতে পান। ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে ওই ভিডিওর সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। পরে মামলাটি রেকর্ড করা হয় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। মামলার এজাহারের সঙ্গে তিন পাতার স্ক্রিনশট ও ভিডিওসংবলিত সিডি সংযুক্ত করা হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, খাদিজাতুল কুবরা ও দেলোয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা, মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রয়াস চালাচ্ছেন।

নিউমার্কেট থানায় মামলা করার আট দিনের মাথায় কলাবাগান থানায় আরেকটি মামলা করেন এসআই আরিফ হোসেন।

কলাবাগান থানার মামলার এজাহারেও উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর রাত ৯টা ১৫ মিনিটে মোবাইলফোনে ইউটিউব দেখার সময় দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেল দেখতে পান। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি থানায় মামলা করেন।

দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক আছেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন : ব্লিঙ্কেন
টাঙ্গাইলে ৩ বাসকে জরিমানা
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
X
Fresh