• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তাপদাহে বিদ্যুতের খুঁটিতে আগুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ্বরোড মোড়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ২টার দিকে বিদ্যুতের খুঁটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই বেড়ে যায় আগুনের তীব্রতা। এতে ওই খুঁটিতে থাকা বিভিন্ন ইন্টারনেট ও ডিস লাইনের তার পুড়ে যায়। কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনেরও। এ ছাড়াও বিদ্যুতের খুঁটির নিচে থাকা আজিম আলী নামের এক তরমুজ বিক্রেতার তরমুজও পুড়ে য়ায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ১০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার ঘণ্টাখানেক পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও লাইন পুড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি। তবে এসব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা কাজ করছে। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মো. মাহবুবুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা দ্রুতই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৬

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা, ২ বন্ধু নিহত
রাজবাড়ীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক নিহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ভান্ডারিয়া বাজারের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আব্দুর রব মন্ডলের ছেলে সোহাগ (১৯) ও লালন শেখের ছেলে রাজন শেখ (২১)।  আলিপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য আব্দুল আলিম বলেন, সোহাগ আমার আপন ভাতিজা। আনুমানিক ৬টায় রাজবাড়ি থেকে তার তিন দিন আগে কেনা মোটরসাইকেল নিয়ে রাজন আর সোহাগ বের হয়। ভোরে তারা বাড়ি থেকে কেন বের হলো সেটা জানতে পারিনি। ওরা বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পুলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারা যায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে রেখেছে। আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তিনদিন আগে রাজনকে মোটরসাইকেল না কিনে দিলে আত্মহত্যা করবে বলে গলায় ফাঁস নিতে যায়। এরপর তার বাবা-মা কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনে দেয়। সকালে তারা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, সকালে আলিপুর ইউনিয়নের কামালদিয়া-ভান্ডারিয়া বাজারের সড়কের আলীপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক নিহত হন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২

সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে কার্পেটিং, প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে দীঘিরজান বাজার থেকে বজরা বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে পল্লীবিদ্যুতের প্রায় অর্ধশত খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করেছে সড়ক বিভাগ। গত চার থেকে পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সড়কের মাঝখানের মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটিগুলো। ফলে দীঘিরজান-বজরা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলগুলো প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। চলতি শীত মৌসুমে কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে কয়েকগুণ। এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এজন্য স্থানীয়রা সড়ক বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে দায়ী করছেন। একটি দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অটোরিকশাচালক মো. শাহজাহান (৫১)। অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। গত চার মাস আগে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। এতে থেমে যায় তার জীবন চলারগতি । তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। এখন দুই ছেলে কোনোভাবে চালিয়ে নিচ্ছে সংসার। তবে এতদিনেও সড়কটির মাঝখান থেকে বিদ্যুতের খুঁটি না সরানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাহজাহান। তিনি বলেন, সড়ক ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলার কারণে আজ আমার এ অবস্থা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার দীঘিরজান বাজার থেকে বজরা বাজার পর্যন্ত সড়কের মাঝখানে সারিসারি বিদ্যুতের খুঁটি। সড়কের ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এমন খুঁটি রয়েছে অর্ধশত। ফলে ব্যস্ততম এ সড়কে দিনে ও রাতে ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে যানবাহন এবং আহত হচ্ছেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি, খুঁটি বসানোর সময় একাধিকবার এবং সড়ক কার্পেটিং করার সময় বারবার বলেও কাজ আটকানো যায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ খুঁটিগুলো অন্যত্র সরিয়ে সড়কটি নির্বিঘ্ন করার দাবি জানিয়েছেন তারা। সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, সেনবাগ থেকে সোনাইমুড়ি বজরা বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৬ কিলোমিটার সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণে প্রায় ৭০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। কিন্তু দীঘিরজান থেকে বজরা বাজার পর্যন্ত সড়কে খুঁটিগুলো সরানো হয়নি। বাধ্য হয়ে খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করতে হয়েছে। এদিকে সঠিক সময়ে খুঁটি না সরানোয় বিদ্যুৎ বিভাগের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সড়কের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার। তিনি বলেন, সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করার আগে খুঁটিগুলো সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রয়োজনীয় বিল পরিশোধ করা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের ওই সড়কটির কাজ শেষ করতে হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের খুঁটিগুলো না সরানোর কারণে ঠিকাদার বাধ্য হয়ে সেগুলো রেখেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁটিগুলো সরিয়ে নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, ওই সড়কটির মাঝখানে ৩৯টি খুঁটি রয়েছে। সড়কের আয়তন বাড়ানোর কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। খুঁটিগুলো সরানোর জন্য অনুমোদন পেয়ে ত্রিশ লাখ টাকার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসেই খুঁটিগুলো সরানো হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়