• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেনিয়ায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১৬৯
কেনিয়ায় অতিবৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত এক মাসে চলমান দুর্যোগে দেশটিতে মোট ১৬৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া এখনও অন্তত ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।  স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ায় অতিবৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গত ১ মার্চ থেকে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া দেশটিতে এখনও ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মঙ্গলবারের অতিবৃষ্টিতে ভূমিধসের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারা দেশে ছয় শিশুসহ ৬৬ জনকে হারিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বন্যার কারণে কেনিয়ার ৩০ হাজার ২১৪টি পরিবারের ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজধানীর বাস্তুচ্যুতরা।’ এদিকে বন্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক আহ্বান করেছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। দুর্যোগপূর্ণ এ পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের, বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের হাসপাতালের সব বিল বহন করবে রাষ্ট্র। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে কেনিয়া সরকার। এর আগে গত সোমবার কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টিতে একটি বাঁধ ফেটে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার  উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নাকুরু কাউন্টির মাই মাহিউতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
০১ মে ২০২৪, ০৮:৫২

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে নিহত ৪২
টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় অনেক অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দেশটির রাজধানী নাইরোবির উত্তরাঞ্চলে পানির চাপে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, পানির প্রবল চাপের কারণে একটি বাঁধ হঠাৎ করেই ভেঙে যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও যানবাহন ভেসে গেছে। মারা গেছেন অন্তত ৪২ জন।কাদায় এখনও অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।   উল্লেখ্য, এল নিনো আবহাওয়ার কারণে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত মার্চ থেকে কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১১

সুদান সংঘাত থামাতে কেনিয়ায় বেয়ারবক
কেনিয়ায় পৌঁছেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। সৌদি আরব হয়ে কেনিয়া পৌঁছেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার কেনিয়ায় গিয়ে পৌঁছেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে সুদান সমস্যা নিয়ে তার একাধিক বৈঠক করার কথা। তবে কেনিয়ার রাস্তায় তাকে সৌদি আরবে দাঁড়াতে হয়েছে। যদিও তার পরিকল্পনায় সৌদি আরব ছিল না। জিবুটি হয়ে কেনিয়া ঢোকার কথা ছিল তার। কিন্তু এরিট্রিয়া শেষমুহুর্তে জানিয়ে দেয় তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করা যাবে না। ফলে সূচি বদলে সৌদি আরবে নামতে হয় বেয়ারবককে। সৌদি থেকে কেনিয়া পৌঁছেছেন তিনি। সেখানে সুদানের সংঘাত নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। কীভাবে দ্রুত এই সংঘাত বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। বস্তুত, সুদানে সেনাপ্রধানের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে তারই ডেপুটি তথা আরএসএফ সেনার প্রধানের। দুইপক্ষই ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। গত বেশ কিছু মাস ধরে এই লড়াই চলছে। ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অন্তত ৭৫ লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত এই সংঘাত বন্ধ করা প্রয়োজন। আফ্রিকার দেশগুলি দীর্ঘদিন ধরেই এই সংঘাত থামানোর চেষ্টা করছে। একাধিকবার যুযুধান দুইপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু লড়াই থামেনি। বেয়ারবক জানিয়েছেন, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ইন্টারগভর্নমেন্টাল অথরিটি অন ডেভেলপমেন্টকেও (আইজিএডি) এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। সুদানের সংঘাত থামাতে তাদের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। আইজিএডি-র সদস্য আফ্রিকার প্রায় সব দেশ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এরিট্রিয়া, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সাউথ সুদান এবং উগান্ডা। এছাড়া কেনিয়া এবং জিবুটি আছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়