• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন। মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন জানান, এ থানার মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এদিন সেহেলা পারভীনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল বুধবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে সেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল সেহেলা পারভীনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওইদিন আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন। এই মর্মে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এ কে এম শামসুজ্জামান। পরবর্তীতে গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) সেহেলা পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে একে এম শামসুজ্জামানের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান। সেহেলা পারভীনের স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি একে এম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেছিল বলে স্বীকার করেন। সেহেলা পারভীনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামি একে এম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান। এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। ডিসি মশিউর রহমান জানান, একে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। বর্তমানে তার পদ সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানার আনাচে-কানাচে অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশন মূল দায়িত্ব তার কাঁধে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন ফরম ফিলআপ করে রোল নম্বর পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি আবার কতজন কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তার সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকতো। এ বিশাল তথ্যভাণ্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছেন শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা। ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট ও সনদ বিক্রির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার সনদ-মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৫

কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
ভুয়া সনদপত্র সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, আকবর খানকে রোববার ওএসডি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে।  এ ছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। এর আগে, একই অভিযোগে শনিবার (২০ এপ্রিল) তার স্ত্রী সেহালা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন আকবর খানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম। ইতোমধ্যে এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রিমান্ডে আছেন।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

সনদ বাণিজ্য / এবার গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়েছে ডিবির একটি সূত্র। এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান। এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। ডিসি মশিউর রহমান জানান, একে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। বর্তমানে তার পদ সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানার আনাচে-কানাচে অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশন মূল দায়িত্ব তার কাঁধে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন ফরম ফিলআপ করে রোল নম্বর পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি আবার কতজন কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তার সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকতো। এ বিশাল তথ্যভাণ্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে  লাখ লাখ টাকার সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছেন শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা। ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট ও সনদ বিক্রির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার সনদ-মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সুখবর
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগে বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা দিতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (কারিগরি) আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের গঠন করেছে সরকার। সোমবার (১৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এই কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (কারিগরি অধিশাখা-২), কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (কারিগরি অধিশাখা-১), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইবি), ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি)। এছাড়া কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব। কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, কমিটি জরুরি ভিত্তিতে সভা করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে যারা দুই বছর বা এর বেশি সময় কোনও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বা কর্মের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় মতামত ও সুপারিশ প্রণয়ন করে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ বরাবর দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।        
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৩

৫০ হাজার তরুণের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও সাফল্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বেসরকারি সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) মাধ্যমে দেশের ২১টি জেলার পঞ্চাশ হাজার তরুণের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে সাফল্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে গত আট বছরে ইএসডিও’র মাধ্যমে দেশের ২১টি জেলার পঞ্চাশ হাজার তরুণ-তরুণীকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষণ শেষে দেশে এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদ উজ জামান। অনুষ্ঠানে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান, ফাপাড’র মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, আইএলও’র সিনিয়র সোশালিষ্ট, স্কিলস অ্যান্ড এসএমই গুলজান ডাল্লাকোটি, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক (গবেষণা) ড. মেহেরুন ইসলাম, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বক্তব্য রাখেন।  এছাড়াও, সেমিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালকসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  সভায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তিতে কারিগরি শিক্ষার তাৎপর্য, তরুণদের শোভন কর্মসংস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এবং ইএসডিও’র কারিগরি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মডেলটি সম্প্রসারণে সরকার ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪১

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে চাকরির সুযোগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২টি পদে ৯ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন  প্রতিষ্ঠানের নাম : শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভাগের নাম : কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ কর্মস্থল : বিভাগীয় শহর বয়স : ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর। আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।  আবেদন ফি : টেলিটক প্রি-পেইডের মাধ্যমে ১ পদের জন্য ২২৩ টাকা, ২ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে। আবেদন শুরু : ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় : ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সন্ধা ৬টা পর্যন্ত।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

ফেসবুকে কারিগরি সমস্যা, যা জানাল পুলিশ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হঠাৎ করে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ  লগইন করতে পারছিলেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকের বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এক ভিডিও বার্তায় এ অনুরোধ জানান তিনি। মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে— সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে হঠাৎ ফেসবুকে বিভ্রাট দেখা দেয়। একইসঙ্গে ইনস্টাগ্রামও কাজ করছিল না। ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৯ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে, তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ব্যবহারকারীরা জানান, রাত ৯টার পর হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক আইডি লগআউট হয়ে গেছে। শুধু মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা নয়, কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও একই সমস্যায় পড়েছেন। অনেকে পুনরায় লগিন করার চেষ্টা করলে পাসওয়ার্ড ভুল দেখায়। কেউ কেউ পাসওয়ার্ড রিসেট করার পরও লগিন করতে পারেননি। ফেসবুকে প্রবেশ করতে না পেরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। অবশেষে এক ঘণ্টা পর সোয়া ১০টা থেকে সচল হয় মেটার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম। এতে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারছেন ব্যবহারকারীরা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৯

রমজানে মাদরাসার ছুটি বাড়ছে, খোলা থাকছে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নতুন শিক্ষাক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে স্কুলের সঙ্গে মাদরাসাগুলোর ছুটিরও সামঞ্জস্য রাখতে রমজানের প্রথমাংশে কিছু দিন মাদরাসা খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের সঙ্গে মিল রেখে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা থাকবে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি কলেজগুলোতে ১০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পুরো রমজান জুড়ে মাদরাসাগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ঘোষণা এসেছে। তবে, নতুন শিক্ষাক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে স্কুলের সঙ্গে মাদরাসাগুলোর ছুটিরও সামঞ্জস্য রাখতে রমজানের প্রথমাংশে কিছু দিন মাদরাসা খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আগামী ১১ মার্চ ২০২৪ হতে ২৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে। আর সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোতে  ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে ১১ অথবা ১২ মার্চ। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৯

১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু
কারিগরি ত্রুটির কারণে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। আটকা পড়া ট্রেনটি কারওয়ান বাজারে এসেছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪টা ২০ মিনিটে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। এর আগে, দুপুর ২টা ৪০ মিনিট থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ডিএমটিসিএল’র জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম (সিগন্যালিং) জানান, মেট্রোরেলের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন ট্রিপ করায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ শেষ হওয়ার পর অনেকেই মেট্রোরেল স্টেশনে ভিড় জমান। যাত্রীর চাপে উত্তরা উত্তর স্টেশনের প্রবেশপথ সময়ে সময়ে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪

কোভিডের নতুন ধরন, চার পরামর্শ কারিগরি কমিটির
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এমনকি নতুন এই ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সংক্রমণ মোকাবিলায় ফের হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সব স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো- ১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে। ২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্য, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন ধরনটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়লেও যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। ধরনটি বাংলাদেশে আসবে না ধরে নিয়ে বসে থাকলে হবে না। তিনি বলেন, নতুন এই ধরন যে বিরাট সমস্যা, সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না। কিন্তু শীত মৌসুমে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। এ কারণেই সতর্কতা নেওয়া দরকার। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়