• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : ফেনীতে সহকারী অধ্যাপক বহিষ্কার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় ফেনীতে এক সহকারী অধ্যাপককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মানবধর্মে যোগ দিবো’ এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন। ৫০ লাইনের ওই স্ট্যাটাসের শেষভাগে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইসলাম ধর্ম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম’ । অপর লাইনে লেখেন, ‘ধর্মের ভুল ধরলে শুধুমাত্র এদেশে চাপাতি নাও, দা নাও, ছুরি নাও, মানুষ হত্যা কর’। শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, ‘সকলে আদম-হাওয়া থেকে এসেছে, তবুও কেন এত বিভেদ’।  এ পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ফুঁসে ওঠে ওই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে আসছেন এ খবর শুনে ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।  এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে তার শাস্তির দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবেন না তারা। পরবর্তীতে কলেজের অধ্যক্ষ বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত ওই  শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হক বলেন, মুঠোফোনটি বাসায় রেখে গেলে কে বা কারা আমার আইডি থেকে আপত্তিকর একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়। আমার নজরে পড়লে আমি স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দিই। কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহাম্মাদ মহাতাব উদ্দিন প্রামাণিক জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হককে কলেজে অবাঞ্ছিত, কলেজ আঙিনায় প্রবেশ নিষেধসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজের সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, অভিযোগ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি : হবিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান আটক
হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ছাতিয়াইন ইউপির চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ উপজেলার ছাতিয়াইন ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম খান। তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের একটি মতবিনিময় সভা ছিল মঙ্গলবার। এতে তিনি প্রধামন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে জিলুফা সুলতানার যোগদান উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ একটি বক্তব্য দিয়ে দেশবিরোধী কাজ করেছেন। আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সরকার ও বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবনতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চেয়েছেন। তার এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়