• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাবিতে হলের তালা ভেঙে কক্ষ দখলের চেষ্টা, শিক্ষার্থীকে মারধর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের একটি কক্ষের তালা ভেঙে দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের অষ্টম তলার ৮০৮ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কক্ষের বাসিন্দারা হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ৪৭ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস, ৪৯ ব্যাচের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোস্তাকিম রহমান রাফি এবং ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির আরমানুল আলম। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত। প্রত্যক্ষদর্শী-সূত্রে ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অনুরাগ দাসের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ৮০৮ নং কক্ষের দরজা ও তালা ভেঙে হামলা করে কক্ষ দখলের চেষ্টা করে। সেসময় ওই কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দিতে গেলে দুইজন গুরুতর আহত হয়।  এ সময় অভিযুক্ত রাফি উচ্চস্বরে চেচিয়ে জানায় হল প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে সে তালা ভাঙতে এসেছে। তালা ভাঙার সময় তাদের হাতে রড দেখতে পায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওই কক্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ বলেন, রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সাথে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। তারপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে। এ সময় সে চায়ের কাপ ছুড়ে মারায় আমার পা কেটে যায়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অনুরাগ দাস বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম ওই রুমে কেউ থাকে না। তাই তালা ভেঙে ভিতরে যাই। রুমে কেউ থাকে না এটি মিস ইনফরমেশন ছিল। তালা ভাঙার বিষয়টা আমার ভুল হয়েছে। আমি অপরাধ স্বীকার করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে তা মাথা পেতে নিবো।’ কক্ষ বণ্টন ও ফাঁকার খোঁজ রাখার দায়িত্ব প্রাধ্যক্ষের, আপনি কেন তা করতে গিয়েছেন জানতে চাইলে অনুরাগ বলেন, ‘চারতলা ও পাঁচতলা তো ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি পোর্শন ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্লকে যারা এলোটেড তারা অনেকেই নন-পলিটিকাল। আবার নন-এলোটেড অনেকেই পলিটিক্যালি এখানে এসেছে, সিট নিয়েছে। এই একটা ঝামেলা হয়েছে। প্রশাসন শুরু থেকে চার ও পাঁচতলা ফাঁকা করে নাই। এলোট দিয়ে ফেলেছে। এখন নন-পলিটিকাল যাদের আর্জেন্সি আছে ও ব্লকে থাকতে চায় না তাদের থাকার জন্য ওই কক্ষটিতে ব্যবস্থা করতে গিয়ে তালা ভেঙেছি।’ অপর দুই অভিযুক্ত রাফি ও আরমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবীর বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পরই রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাতেই এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ সিলগালা
হলের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক হল শাখা ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হল ত্যাগের নির্দেশ না মানায় হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার কক্ষ সিলগালা করা হয়। কক্ষ সিলগালা করার সময় সহকারী প্রক্টর ড. জাকির হোসেন ও ড. আল মামুন এবং হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কক্ষে সিলগালা করা ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম শামীম হোসাইন। তিনি রাবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়া, তিনি নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। হল সূত্রে জানা গেছে, নবাব আব্দুল লতিফ হলের ২১২ নম্বর কক্ষে অবৈধভাবে থাকতেন শামিম হোসাইন। এছাড়া, দুই সিটের কক্ষে একাই থাকতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে হলের ছাত্রদের বিভিন্নরকম অভিযোগ ছিল। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতা শামীম। ছাত্রত্ব না থাকলেও দায়িত্বের কারণে তার হলে থাকা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।  ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেন বলেন, আমার প্রতি হলের প্রাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত ক্ষোভের জায়গা থেকেই হয়তোবা এটা করা হয়েছে। এছাড়া ওনার বাড়ি বগুড়া। আমার মনে হয়, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ওনার কানেকশন থাকতে পারে। আমি ওনার সঙ্গে কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণও করেনি। আমি তাকে শুধু বলেছিলাম, স্যার বিভিন্ন রুমে তালা লাগাচ্ছে কারা? চুরির ঘটনাও ঘটছে। এটা কারা করছে? তিনি বলেছিলেন, রুমে রুমে পাহারা দেওয়ার অতো সময় আমার নাই। তখন আমি বলেছিলাম, কোনো ব্যবস্থা না নিলেতো হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, স্যার। তখনো বড় কোনো ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সময় চেয়েছিলাম। যেহেতু সময় দিলেননা তারা, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারপর একটা সিদ্ধান্ত নিবো। কক্ষ সিলগালার বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই ছেলের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। সে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছিল। তার বিরুদ্ধে হলের আবাসিক ছাত্রদের বিভিন্নরকম অভিযোগ ছিল। এছাড়া, গতকাল সে মোবাইলে আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিল এবং হলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা ও ছাত্র হত্যাকাণ্ডের হুমকি দিয়েছিল। সেজন্য আমরা হলের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ সকাল ১০টার মধ্যে তাকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সে নির্দেশ মানেনি। এজন্য আমরা তার জিনিসপত্র বের করে দিয়ে কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছি।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০

কালিয়াকৈরে বাসাবাড়িতে আগুন, ১৭ কক্ষ পুড়ে ছাই
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোডমিল এলাকায় বাসাবাড়িতে আগুন লেগে ১৭টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার বোটমিল এলাকায় ওসমান হাজীর বাসাবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বুধবার পৌনে আটটার দিকে উপজেলার বোডমিল এলাকায় ওসমান হাজীর একটি টিন সেট ঘরের কক্ষে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের প্রায় ১৭টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোক ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে বিভিন্ন কক্ষের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। কালিয়াকৈরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান রায়হান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়