• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারতভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হলো— জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
১৫ ঘণ্টা আগে

খাটের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূ, স্বামী ঝুলছিল ওড়নায় 
গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭-৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সঙ্গে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নেই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল। মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’ কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী রোকেয়া আত্মহত্যা করার পর তার শোকে স্বামী ইসরাফিল আত্মহত্যা করেছে। আমরা সুইসাইড নোট সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২২ ঘণ্টা আগে

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা-ছিনতাই, কিশোর গ্যাংকে ধরতে মরিয়া পুলিশ
টাঙ্গাইল গোপালপুরে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের পর এলাকা থেকে পালিয়েছে মুশফিক, সিয়াম সাকিন ও জয় ঘোষ নামের তিন কিশোর গ্যাং সদস্য। ঘটনার পরদিন থানায় তাদের নামে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢেউটিন ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের ওপর এই হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, আসামিদের ধরতে সব রকম চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ কয়েক বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পরই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আজ হোক বা কাল শাস্তি তাদের পেতেই হবে। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ অভিযোগকারীর ছেলে দিদার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মুশফিকের খেলাধুলা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তারপরও ওই সময় বাদীর ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মুশফিক। এর জেরে গতকাল শুক্রবার আ. রশিদের ছেলে মুশফিকের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য বাদীর স্বামী জালাল উদ্দিনের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মুশফিক। ঘটনার পরদিন চার জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, ঘটনার ছয় দিন পার হতে চলেছে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। আমার একটাই চাওয়া অপরাধীদের আটক করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা।   বর্তমানে জালাল উদ্দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। এটির আয়োজক ছিল টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন। মানববন্ধনে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাসের সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তি নেওয়ার দাবি করেন। বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন? এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রাহাত সাইফুল, লিমন আহমেদ, আহমেদ তাওকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল, রত্না।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, যা বললেন মিশা-ডিপজল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। রীতিমতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।  এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা দেখছি। এটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি যেভাবে দেখা দরকার তা আমরা দেখছি।   মিশা-ডিপজলের পাঠানো এই চিঠিতে জানানো হয়, ‘অনাহূত এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।  এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’    জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।   মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী। তিনি বলেন, শপথ শেষে ছিল আমরা সবাই তখন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য। এমন সময় দুই-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন— ‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও’। বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন— ‘ও তো সেলিব্রিটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ এরপরেই আসলে শুরু হয় মারামারির ঘটনা।   প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৭
চট্টগ্রামে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সব্যসাচী মজুমদার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (২১ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে বন্দরনগরীর মনসুরাবাদ ডিবি অফিসের পাশে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও প্রতিপক্ষ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় সাংবাদিক সেলিম উল্লাহ মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাদ্দামের অনুসারীরা তার ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় সেলিম উল্লাহর মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে তারা।  এ বিষয়ে হামলার শিকার সেলিম উল্লাহ বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। আমি সেখানে ভিডিও ধারণ করছিলাম। হঠাৎ আমার ওপর হামলা চালায় সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারীরা। তারা মারতে মারতে আমাকে পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়রা চলে এলে সাদ্দাম বাহিনী সেখান থেকে চলে যায়।’ পরে সেলিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তিনি চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে আঘাত পেয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। হামলার ঘটনায় রাতেই ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার সব্যসাচী মজুমদার বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা হয় পিডব্লিউডি কোয়ার্টারের সামনে। হামলাকারীরা সাংবাদিক সেলিমকে মারধর করে ও তার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

গরমে মেঝেতে ঘুমালে স্বাস্থ্যের ওপর যে প্রভাব পড়ে
এই তীব্র গরমে অনেকেই মাটিতে শুয়ে পড়েন, এতে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু শরীরের জন্য এটি কেমন, এতে শরীরে কেমন প্রভাব পড়ে, সেটি জেনে রাখা দরকার। একটা সময় ছিল যখন অনেকেই মাটিতে বা মেঝেতে ঘুমাতেন। তবে এখন খাট আর ম্যাট্রেসেই বেশির ভাগ মানুষ ঘুমান। কিন্তু মেঝেতে ঘুমালে শরীরে বেশ কিছু প্রভাব পড়ে। জেনে নিন মেঝেতে ঘুমালে শরীরে যে প্রভাব পড়ে- পিঠের ব্যথা কমতে পারে: অনেকেই বলেন, মাটিতে ঘুমালে মেরুদণ্ড ভালোভাবে সোজা হয়ে থাকে। এতে যাদের পিঠে ব্যথার সমস্যা আছে, তারা কিছুটা উপকার পেতে পারে। এমনকি কোমরের ব্যথাও এতে কমতে পারে। তাই এঠি মোটেই খারাপ অভ্যাস নয়।  ঘুমের সমস্যা কমতে পারে: গরমে অনেকেরই ভালো করে ঘুম হয় না। মাটিতে ঘুমালে ইনসোমনিয়া বা ঘুম না হওয়ার সমস্যা কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। তাই গরমকালে এটি মোটেই খারাপ অভ্যাস নয়।  ঘাড়ে ব্যথাও কমতে পারে: ঘাড় সোজা করে না ঘুমালে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে আকাবাঁকা হয়ে ঘুমালে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। তবে মেঝেতে ঘুমালে এই ব্যথা এড়ানো যায়। কারণ, এক্ষেত্রে ঘাড় সোজা থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়: মেঝেতে ঘুমালে রক্ত সঞ্চালন অনেক ভালো হয়। শরীর ভালো রাখতে ভালো রক্ত সঞ্চালন জরুরি। তাই মেঝেতে শুলে সেই হিসাবেও শরীর ভালো থাকে।  তবে এর পাশাপাশি শরীরে কিছু সমস্যাও হতে পারে। সেই বিষয়েও ভালো করে জেনে রাখা দরকার। বিশেষ করে যাদের কিছু শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের মেঝেতে ঘুমানো উচিত নয়। জেনে নিন কারণগুলো- অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে: মেঝেতে প্রায়শই বেশি ধুলোবালি ও ময়লা জমে। বিশেষ করে কার্পেটের ওপর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে এর থেকে হাঁচি, সর্দি, চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির মতো অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে: গরমে ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমালে আরাম পেতে পারেন, তবে ঠান্ডায় ঘুমোনোর কারণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে শরীরের তাপ দ্রুত কমাতে পারে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়। ফলে জ্বর হতে পারে।  তাই মেঝেয় ঘুমানো আপনার জন্য ঠিক কি না, তা নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন না। আর আরাম পেতে গিয়ে কোনো ভুল কাজ করবেন না। প্রয়োজনে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তার থেকে ভালো করে জেনে নিয়ে তবেই মেঝেতে ঘুমাবেন। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৬

ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা!
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) একটি ইউনিটের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষোধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশটির এক কর্মকর্তার বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এক্সিউস এই তথ্য জানিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ ইউনিটটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আর্থিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা পাবে না। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাবিষয়ক সংস্থা প্রোপাবলিকা গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্যানেল কয়েক মাস আগে দখলদার ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট ইউনিটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মতামত দেয়। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কোনো ব্যবস্থা নেননি। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা শোনা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি এই সেনা ইউনিটটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে মার্কিন প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে শনিবার রাতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত হবে না। আমাদের সেনারা সন্ত্রাসী দানবদের সঙ্গে লড়াই করছে।’ ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর তারা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন শুরু করে। এই অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে পশ্চিমতীরে সবসময় সংঘর্ষ লেগে থাকে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

পুলিশের ওপর হামলা, মদ-অস্ত্রসহ আ.লীগ নেতার স্ত্রী গ্রেপ্তার
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনিতে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ এক নারী কনস্টেবল। পরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী লাখি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার রেলওয়ে কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মোছা. লাখি খাতুন পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনি মহল্লার আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রানার স্ত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জরিনা বেগম নামে একজন নারী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকে (১৪) তার স্বামী সাইদুল ইসলাম বসতবাড়িতে আটকে রেখে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। এজন্য তার আইনি সহায়তা প্রয়োজন। পরে জরিনা বেগম থানায় গেলে সঙ্গে করে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশক্রমে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ সঙ্গীয় অফিসার ও নারী ফোর্স রেলওয়ে কলোনির সংবাদদাতার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের সত্যতা পায়। পুলিশ বাল্যবিবাহ না দিতে নিষেধ করলে সংশ্লিট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রানার নেতৃত্বে আসামি সাইদুল ইসলাম (৪০), টুনি বেগম (৪১), আমেনা বেগম (৩৫), ইব্রাহিম (২৭), রেজা (৩০), বাবু ওরফে বড়বাবু (৩০), আশিক (২৫), নুর ইসলাম (৪৬), আসলাম (৩৫), হাসানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সঙ্গে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। সংবাদদাতা জরিনাসহ তার সঙ্গে থাকা ছেলে জীবন (১৬) ও নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকেও (১৪) মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটের ঢিল ছুড়লে ইটের আঘাতে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সঙ্গে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশ আহত হয়। পরে সঙ্গে থাকা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে থানায় সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি রানার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার স্ত্রীকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আলামতগুলোর মধ্যে ৩টি তলোয়ার, ২টি বড় ছোড়া ও একটি বল্লম রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরির্দশক (এসআই) ব্রজেশ্বর বর্মণ বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় সরকারী কাজে বাঁধা ও পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে এএসআই মঈদুল ইসলাম, নারী কনস্টেবল ফেরদৌসী রহমান আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রানার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব্য হয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধের সময় পুলিশের ওপরে হামলার নেতৃত্বকারী আমিনুল ইসলাম রানার স্ত্রী লাখি খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত লাখি খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৬

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, ২ লাখ টাকা ছিনতাই
টাঙ্গাইল গোপালপুরে এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানাধীন কোনাবাড়ি ৩নং ওয়ার্ড সাকিনস্থ ডাকবাংলোর সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ছেলের ওপর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।  আহত হাজী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন টাঙ্গাইল গোপালপুরে ঢেউটিন ব্যবসা মেসার্স সততা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ অভিযোগকারীর ছেলে দিদার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মুশফিকের খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তারপরও ওই সময় বাদীর ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মুশফিক। এর জেরে গতকাল শুক্রবার আ. রশিদের ছেলে মুশফিকের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য বাদীর স্বামী জালাল উদ্দিনের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মুশফিক। বর্তমানে জালাল উদ্দিন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, দুই থেকে তিনদিন তার চিকিৎসা লাগতে পারে। বিষয়টি নিয়ে গোপালপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি বেলায়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীর ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটা মামলা করা হয়েছে। ওসি স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, রাতের মধ্যেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। যদি কোনো কারণে সঠিক বিচার না হয় পরবর্তীতে সমিতির সবাই বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো। মামলার বাদী মোছা. ফিরোজা বেগম বলেন, দেড় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার ছেলে সঙ্গে মুশফিকের (বিবাদী) খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু তখনই ঘটনার মীমাংসা করে দেন। সেই শত্রুতার জেরে ছেলের প্রতিশোধ নিতে আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। হামলার একপর্যায়ে আমার স্বামীর হাতে থাকা শপিং ব্যাগের মধ্যে ওনার বন্ধু মো. মোশারফের গরু বিক্রির টাকাসহ মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।  আহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, গতকাল বিকেলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ কয়েকজন ছেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমার কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেয়। হামলার সময় ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই। এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়