• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুন্সীগঞ্জে সড়কে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কাভার্ডভ্যান-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।  শুক্রবার (৩ মে) রাতে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭), তার মামি রাহেলা বেগম (৫৫)। আহতরা হলেন, আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) ও প্রাইভেটকারচালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মামি রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন। পথে রাত দেড়টার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দিলে তা রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় আলমগীর হোসেনসহ ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। চালকসহ আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক। তিনি বলেন, রাত ১টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়। খবর পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। হতাহত সবাইকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মরদেহ বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। কাভার্ডভ্যানটিকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।
০৪ মে ২০২৪, ১২:৫৭

সাতক্ষীরায় সড়কে ঝরল পিতা-পুত্রের প্রাণ
সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের আগরদাড়ী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় কাঠবোঝাই ট্রলির তলায় পড়ে পিতা-পুত্রের প্রাণ গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগরদাড়ী মহিলা মাদ্রাসা ও কামিল মাদ্রাসার মধ্যবর্তী স্থানে কাঠবোঝাই ট্রলির সামনের চাকা ব্লাস্ট হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন হাফিজুর রহমান (৫৫) ও তার পুত্র আজিজুর রহমান(২৮)। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী এলাকায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা হবে।    স্থানীয়রা জানান, হাফিজুর রহমান ঢাকার সাভার উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার পদে কর্মরত ছিলেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরছিলেন। শহর থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে কাঠবোঝাই ট্রলির চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই পিতা-পুত্র নিহত হন। এদিকে ট্রলি চালকের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। তার নাম আসাদুল ইসলাম। সে তলুইগাছা এলাকার নূরুল আমিনের ছেলে।      
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৮

জানাজা শেষে ফেরার পথে সড়কে মা-ছেলের মৃত্যু 
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় আত্মীয়ের জানাজা শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চারঘাট-বাঘা আঞ্চলিক মহাসড়কের হেমন্তের মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার ডাকরা ইউনিয়নের সেন্টারের মোড় এলাকার আবুল কালামের ছেলে আরিফ ইসলাম আরেজ (৩৩) ও আবুল কালামের স্ত্রী পিঞ্জিরা বেগম (৫৫)।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে পিঞ্জিরা বেগমের খালা মারা যান। বুধবার সকালে পিঞ্জিরা বেগম ও তার ছেলে আরিফ ইসলাম রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকায় যান জানাজায় অংশ নিতে। জানাজা শেষে মোটরসাইকেলে মা-ছেলে ফেরার পথে চারঘাট-বাঘা আঞ্চলিক মহাসড়কের হেমন্তের মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। মা-ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। রামেক হাসপাতালে পৌঁছানোর পর আড়াইটার দিকে ছেলে আরিফ ইসলাম ও ৪টার দিকে মা পিঞ্জিরা বেগম মারা যান। চারঘাট মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১

মুগদা সড়কে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট
মুগদার প্রধান দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন উচ্ছেদের আগে জমির মূল্য পরিশোধ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মশিহুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। অ্যাডভোকেট মো. মশিহুর রহমান জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মুগদা সড়কের দুই পাশে ব্যক্তিগত বাড়ি ও দোকান পাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে মুগদা সড়কের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন উচ্ছেদের আগে জমির মূল্য পরিশোধ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।  এ ছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যে আবেদন দেওয়া হয়েছে তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরল ৩২০ প্রাণ 
ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে সারাদেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।  সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, গত ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২০ জনের মৃত্যু এবং ৪৬২ জন আহত হয়েছেন।  এরমধ্যে ঈদ পূর্ববর্তী অর্থাৎ ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ১১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৭ জন নিহত ও ২০৬ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঈদ পরবর্তী অর্থাৎ ১২ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ১৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত ও ২৩৩ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৩ জন, চট্টগ্রামে ৪৭ জন, রাজশাহীতে ৪৩ জন, খুলনায় ৩১ জন, বরিশালে ৩৪ জন নিহত, সিলেটে ১৭ জন, রংপুরে ২০ জন এবং ময়মনসিংহের ৩০ জন। এর আগে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি জানায়, এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক ও মহাসড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ৩৯৮ জন। এ ছাড়া একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে সারাদেশে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৪

সড়কে ঝরল কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালকের প্রাণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আগরতলা সড়কের কোড্ডা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় একই কার্যালয়ের প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানসহ (৩৮) আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিকেলে একটি জরুরি সভায় অংশগ্রহণ করেন আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া। সভা শেষে তিনি প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আখাউড়ায় যান। সেখান থেকে রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেরার পথে কোড্ডায় তিতাস নদীর সেতুর আগে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা দুজনসহ ৫ জন আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে বিআরটিএ’র নতুন সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অভিযান পরিচালনাসংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, অবৈধ নছিমন-করিমন, থ্রি-হুইলার, ফিটনেসবিহীন মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল সড়ক-মহাসড়কে চলাচল, মোটরযানের অতিরিক্ত গতি এবং মালবাহী গাড়িতে যাত্রী বহন ইত্যাদি অনিয়মের কারণে সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং ট্রাফিক পুলিশের অভিযান জোরদারের মাধ্যমে এসব অনিয়ম বন্ধ করে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। এতে আরও বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে বিআরটিএর সার্কেল অফিসের সহকারী পরিচালকেরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিআরটিএর কর্মকর্তাদের অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি বিআরটিএর বিভাগীয় পরিচালক ও উপপরিচালকরা এ কার্যক্রম তদারকি করবেন। উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হন। এর কিছুদিন আগে ফরিদপুরে বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে ১৫ জন মারা যান। বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৮

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন / মার্চে সড়কে ঝরল ৫৬৫ প্রাণ, আহত ১২২৮
গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ। একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।  ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো। দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬

মোটরসাইকেলে বেপরোয়া গতি, সড়কে ঝরল ২ বন্ধুর প্রাণ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শফিউদ্দিন ও রায়হান নামে ২ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন৷ সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের শেওড়াতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শফি উদ্দিন (১৮) আশুলিয়ার গোয়াইলবাড়ি গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে ও রায়হান (২০) একই গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। জানা যায়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের আটাবহ ইউনিয়নের শেওড়াতলি এলাকায় শফি উদ্দিন, রায়হান ও তাদের আরেক বন্ধু মোটরসাইকেলে ঘুরতে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে তিনবন্ধু গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফি উদ্দিন ও রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন। কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জোবায়ের আহমেদ জানান, খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অপরজনকে উন্নত চিকিৎসার নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়