• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাছ না পেয়ে সাগর থেকে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা
গভীর সাগরে জাল ফেললেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। ফলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। তীব্র দাবদাহে সাগরে মাছ না পেয়ে হতাশ জেলেপল্লি। আর মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসানে জর্জরিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায়েও ধস নেমেছে। বেকার হয়ে পড়তে পারে প্রায় ৬৫ হাজার জেলে। বেকায়দায় পড়েছেন পাঁচ শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী। ট্রলার মালিকদের দাবি, তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি সাগরে ট্রলিং জাহাজের দৌরাত্ম্যে সাগরে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বলছে, মাছের আকালের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসানে জর্জরিত হওয়ায় রাজস্ব আদায়েও ধস নেমেছে। তীব্র গরমের কারণে যেমন সাগরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না, তেমনি ট্রলিং জাহাজের কারণে সাগর মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। যেভাবে ট্রলিং জাহাজের ব্যবহার বেড়েছে সেক্ষেত্রে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়বে সাগর, এমন আশঙ্কা করছেন ট্রলার মালিকরা। কক্সবাজারে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার। আর নিবন্ধিত নৌযান রয়েছে ৬ হাজারের মতো। শুক্রবার (৩ মে) সকালে দেখা যায়, একের পর এক প্রায় মাছশূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে উপকূলে ফিরছেন জেলেরা। ঘাটে ভিড়লেও মেলে না মাছ উঠানামার দৃশ্য। বাঁকখালী নদীতে নোঙর করা রয়েছে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার। প্রতিদিন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৩০ থেকে ৫০ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ বেচাকেনা হতো। অথচ সেখানকার পন্টুন এখন অনেকটা মাছশূন্য। বেকার সময় পার করছেন মৎস্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। দেখা যায়, কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর উপকূলে নোঙর করেছে এফবি পায়েলমনি নামে একটি ট্রলার। দুশ্চিন্তার যেনো শেষ নেই ফিরে আসা মাঝি মাল্লা রমজান, শাহজান ও সাহেদের। গত এক মাসে ২ বার ১০ লাখ টাকা খরচ করে তারাসহ ২২ জেলে নিয়ে গিয়েছিলো সাগরে। কিন্তু সাগরে ধরা পড়েনি ইলিশসহ কোনো মাছ। ফলে লোকসানের কারণে ট্রলার মালিক আর সাগরে মাছ শিকারে তাদের পাঠাচ্ছেন না। এখন কীভাবে তাদের সংসার চলবে তা নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তারা বলছেন, দুশ্চিন্তা যেন পিছুই ছাড়ছে না। সাগরে গিয়ে ১০ দিন জাল ফেলেও মাছ মেলেনি। এ বিষয়ে জেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছি ১৫ জন জেলে। কিন্তু ১১ দিন সাগরে জাল ফেলে অল্প কিছু মাছ পেয়েছি। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করে পেয়েছি মাত্র ৬০ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ট্রলার মালিকের লোকসান প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন ট্রলার মালিক আর সাগরে মাছ শিকারে পাঠাচ্ছে না। তাই বেকার হয়ে পড়েছি।   কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য জানান, গেল বছর এ সময় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন সেখানে খুবই কম টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে প্রায় ৪০ শতাংশ মাছ বিক্রি হচ্ছে।
০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

লোহিত সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকা ডুবে ৩৩ প্রাণহানি
লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আট বছর বয়সী এক বালকসহ অন্তত ৩৩ জন ইথিওপিয়ান অভিবাসী জিবুতির উপকূলে নৌকা ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেছেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কারণ তাদের নিজের দেশের তুলনায় সেখানে জীবন আরও বেশি সংগ্রামের ছিল। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে অন্তত ৭৭ জন অভিবাসী ছিলেন। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ।  জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম জীবিত উদ্ধারকৃতদের ইতোমধ্যে ইথিওপিয়ায় প্রত্যাবাসন করেছে।   এদিকে নিহত অভিবাসীদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’ বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকেরা প্রায়শই জিবুতি এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং তার বাইরেও অন্য অনেক দেশে ভালো সুযোগের সন্ধানে গিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আটকে যাযন ইয়েমেনে। আরব উপদ্বীপের এই দেশটিও যুদ্ধের কবলে রয়েছে। উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগেও লোহিত সাগরে আরেকটি নৌকা দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৮ ইথিওপিয়ান মারা গেছেন। এছাড়া গত এক দশকে লোহিত সাগরের একই এলাকায় প্রায় এক হাজার লোককে মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৮

বীরের প্রথম সাগর দেখা
বর্তমানে ছেলে শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। কাজের ফাঁকে অবসর সময়টা ছেলেকেই দেন তিনি। মাঝে মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলের সঙ্গে খুনসুটির সুন্দরমুহূর্ত কিংবা ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি শেয়ার করেন বুবলী। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। বীরকে নিয়ে শীত অবলোকন করতে সাগর পাড়ে গিয়েছেন বুবলী। শুধু তাই নয়, মা-ছেলের সুন্দর সেই মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ারও করেছেন তিনি।   বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সাগর পাড়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন বুবলী। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন, এই শীতে বাপজানের প্রথম সাগর দেখা। ওই ছবিগুলোতে দেখা যায়, বুবলী পরেছেন একটি ব্ল্যাক মিনি স্কার্টের সঙ্গে একই রঙের ওভারকোট। অন্যদিকে বীরের পরনে রয়েছে নীল জিন্স সঙ্গে ব্ল্যাক হুডি। সাগর পাড়ের মিষ্টি রোদে ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন দুজনেই।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ৫৫ হাজারেরও বেশ প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, মাশাআল্লাহ ছোট কিং’কে অসাধারণ লাগছে। আরেক নেটিজেন লিখেছেন, মিষ্টি মায়ের কিউট বাবাটা, মাশাআল্লাহ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অক্টোবরে বীরকে প্রকাশ্যে আনেন শাকিব-বুবলী। এরপর থেকে প্রায়ই ছেলের ছবি পোস্ট করেন নায়িকা। বরাবরের মতোই বুবলীর নতুন পোস্টটিও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়