• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‌‘অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে’
অপতথ্য রোধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ অংশীদার হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মাইডাস সেন্টারে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে  ইউনেস্কো, টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইন্টিন আয়োজিত 'বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সমস্যা নয়। সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে যেকোন সমালোচনা করলে সেটা সরকার স্বাগত জানায়। যখন পরিকল্পিতভবে অপতথ্যের প্রচার করা হয়, দেশের উন্নয়ন থামানোর জন্য সাংবাদিকতার অপব্যবহার করা হয়, অপতথ্য প্রচারের জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটিই সমস্যা তৈরি করে। এক্ষেত্রে অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা বন্ধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ একসাথে অংশীদার হয়ে কাজ করতে পারে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের সাথে সাথে সমাজের সর্বস্তরে অপতথ্যের অস্তিত্ব বিরাজ করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই কার্যকর, যখন এর ব্যবহার করা হয়। অপতথ্যের বিস্তৃতির মাধ্যমে যখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হয়, তখন এটি অত্যন্ত নেতিবাচক হয়। এটি সমাজে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং জনগণের ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে আমাদেরক সতর্ক থাকতে হবে। অপতথ্য প্রতিরোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ। আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের মাধ্যমে এ বিষয়গুলোর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আমরা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করেছি, জীবন উৎসর্গ করেছি এবং একটি দেশ তৈরি করেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলবো তখন সেটা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অপব্যবহার না হয়। যখনই আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করবো, তা যেনো গণমাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে হয়, অপব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন এবং গণমাধ্যমের দ্রুততার সাথে বিকাশ হয়েছে। সরকারের যদি গণমাধ্যম্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে থাকতো তাহলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইতো না। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকারের একটি উদাহরণ। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে মৌলিক সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যে কোনো ধরনের সমালোচনা সব সময় স্বাগত জানাবে এবং দেশের যেকোনো প্রান্তের প্রতিবেদক বা সাংবাদিককে সুরক্ষা দেবে। সত্য ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এমনকি সরকারের সমালোচনা করলেও সেটি সরকার প্রশংসা করবে ও স্বাগত জানাবে। প্যানেল আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক।প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন আর্টিকেল নাইন্টিন-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম। প্যানেল আলোচনার পূর্বে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উসরাত ফাহমিদা।
০২ মে ২০২৪, ১৮:০০

‘নারীবাদ’ সমাজ ও পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে : নোরা ফাতেহি
মাত্র পাঁচ হাজার রুপি নিয়ে ভারত এসেছিলেন নোরা। বলিউডে জায়গা পেতে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। এক ফ্ল্যাটে নয়জনের সঙ্গে বাস করতে হয়েছে। অর্থের অভাবে করতে হয়েছে ক্ষুধার কষ্ট। বলছি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির কথা। খুব অল্প সময়েই নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন এই তিনি। তবে অভিনয়ের চেয়ে নাচেই বেশ পারদর্শী নোরা। শুধু তাই নয়, বলিউডে তিনি ‘বেলি ডান্স কুইন’ হিসেবে পরিচিত।  এদিকে প্রতিষ্ঠিত নারীদের অনেকেই নারীবাদের আদর্শে বিশ্বাসী। সবসময় ভাবেন পুরুষরা নারীদের পদে পদে প্রতিবন্ধকতকা তৈরি করে। তবে সাবলম্বী নারী হয়েও এই ধারণা পোষণ করেন না নোরা। তিনি মনে করেন নারীবাদ সমাজকে ধ্বংস করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই ধারণায় আমার দরকার নেই। নারীবাদ শব্দটা আসলে একটা সি…। এটা একটা ঢেউয়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আমি বিশ্বাস করি না। আসলে আমি মনে করি, নারীবাদ আসলে আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।  এরপর বলেন, পাশ্চাত্য-প্রাচ্যের সামাজিক ধ্যান-ধারণার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখানে নারীবাদের নামে বলা হচ্ছে, পুরুষরা আসলে মেয়েদের স্বাধীনতায় বাধা, পুরুষরা খারাপ, বিয়ে কোরো না, সন্তানের জন্ম দিও না, এগুলো সব পুরনো ধ্যান-ধারণা, এইসব…। এগুলো আখেরে সমাজের ক্ষতিই করছে, পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে। এই অভিনেত্রী  আরও বলেন, পুরুষরা খাবার সরবরাহকারী, উপার্জনকারী এবং মহিলা লালনপালনকারী, এতে খারাপ কী আছে! আমার তো খারাপ মনে হয় না! নারীবাদকে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, নারীরা লালন-পালনকারী, হ্যাঁ তবে তাদেরও কাজ করা উচিত এবং তাদেরও নিজস্ব জীবন থাকা উচিত এবং স্বাধীন হওয়া উচিত। তবে সেটাকে নারীবাদের নামে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নোরা অভিনীত ‘মাদগাঁও এক্সপ্রেস’। এটি পরিচালনা করেছেন কুণাল খেমু। ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্যেন্দু, প্রতীক গান্ধী এবং অবিনাশ তিওয়ারি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৬

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারী সমাজ এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে নারীসমাজ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হবে বিনিয়োগ’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে প্রতিটি কাজে নারী-পুরুষের সম-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষ সমতা অর্জন ও নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ এবং জেন্ডার-রেসপনসিভ অর্থায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং ২০৪১ সালের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ ও নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র চাকরি নির্ভর না হয়ে প্রতিটি নারী যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে এ লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আর মজুরি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নারী আদায় করেছিল তার অধিকার। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারীত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। তিনি জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিসিএ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকায় নারীর জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু বিকল্প জীবিকা এবং সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার জন্য কাজ করছে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:১০

নাইজেরিয়ায় রাজাকে গুলি করে হত্যা, রানিকে অপহরণ
নাইজেরিয়ার কোয়ারা রাজ্যে প্রাসাদে ঢুকে রাজা সেগুন আরেমুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রানীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কোয়ারা রাজ্যে অপহরণের ঘটনা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা জারির দাবির পরেই এ ঘটনা ঘটলো। নিহত রাজা উপাধি ধারণ করা সেগুন আরেমু একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। পূর্বপুরুষের মতো তিনিও রাজ্যটির প্রথাগত রাজা ছিলেন। তার আনুষ্ঠানিক উপাধি ছিল কোরোর ওলুকোরো। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত রানীর মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি। এদিকে নাইজেরিয়ার গভর্নর আব্দুল রহমান আব্দুল রাজ্জাক রাজাকে হত্যার ঘটনাটিকে ‘বেপরোয়া, মর্মান্তিক ও জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।  দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীদের ধরতে অভিযান চলছে।  এ ঘটনায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর কাছে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজের ৫০টি সংগঠন। তারা জানিয়েছে, গতবছর মে মাসে বোলা টিনুবু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির ১ হাজার ৮০০’র বেশি মানুষ অপহৃত হয়েছেন। সম্প্রতি নাইজেরিয়ার একিতি রাজ্যে পাঁচ স্কুলশিশু এবং চার শিক্ষককে জিম্মি করে তাদের মুক্তির জন্য বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। গত বুধবার রাতে দেশটির রাজধানী থেকে এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা অপহৃত হয়েছেন। গত মাসে ৬ বোনকে তাদের বাবাসহ অপহারণ করা হয়েছিল। মুক্তিপণ দিতে দেরির কারণে ওই ছয় বোনের একজনকে হত্যা করা হয়েছিল।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৭

পুলিশ-সাংবাদিক মিলে অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ব : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, অপরাধমুক্ত স্মার্ট সমাজ গড়ার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকেরাও কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশ ও সাংবাদিক মিলে কাজ করে দেশে অপরাধমুক্ত একটি স্মার্ট সমাজ গড়ে তুলতে চান। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগের যৌথসভা আজ   ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৭ জানুয়ারি দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে অপরাধমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা একসঙ্গে কাজ করে যাবে। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, পুলিশ তার আইনের কাজ করবে। অপরদিকে সাংবাদিকেরা তাদের কলমের শক্তির মাধ্যমে সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে পুলিশকে সহযোগিতা করে যাবে। পুলিশ ও সাংবাদিক মিলে কাজ করলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে যেতে পারব। আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি ৪ দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন আজ   অনুষ্ঠানে ক্র্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড–২০২৩ প্রদান করা হয়। এবার অপরাধবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য সেরা প্রতিবেদকের পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমদুল হাসান।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২২

শিক্ষা থেকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দীপু মনি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নতুন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথগ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তাদের মন্ত্রণালয় বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একাদশে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ডা. দীপু মনিকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। ডা. দীপু মনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাঁদপুর-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ১ লাখ ৬ হাজার ৫৬৬ ভোটে বিজয়ী হন। ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে দীপু মনি। তিনি একুশে পদক বিজয়ী ভাষা আন্দোলন কর্মী ও রাজনীতিবিদ এম. এ ওয়াদুদের সন্তান। তার মা রহিমা ওয়াদুদ ছিলেন শিক্ষিকা। এদিকে পূর্ণমন্ত্রীর তালিকায় থাকা আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থ মন্ত্রণালয়, আনিসুল হক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শিল্প মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফারুক খান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য মন্ত্রণালয়, আবদুস সালাম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ফরিদুল হক খান ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভূমি মন্ত্রণালয়, জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, মো. আব্দুর রহমান মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মো. আব্দুস শহীদ কৃষি মন্ত্রণালয়, ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়, জিল্লুল হাকিম রেলপথ মন্ত্রণালয়, ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নাজমুল হাসান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় থাকা ১১ জনের মধ্যে নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ বিভাগ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জুনাইদ আহমেদ পলক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বেগম সিমিন হোসেন রিমি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মো. মহিববুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ আলী আরাফাত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বেগম রুমানা আলী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলাম টিটু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বশেষ মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছিল। সেই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ জন সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী তিনজন ছিলেন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়