• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টিকাদানের সক্ষমতা আরও বাড়াবে ডিএনসিসি : মেয়র আতিক 
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে। এ সময় তিনি টিকাদানে ডিএনসিসির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত ই-ট্র্যাকার, জিআইএস-বেসড অনলাইন মাইক্রো প্ল্যানিং অ্যান্ড রিয়েল-টাইম রিপোর্টিং প্রগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তার সুস্থ সবল থাকবে। এর জন্য যদি সিটি করপোরেশনের আরও ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সিটি করপোরেশন সেটারও ব্যবস্থা করবে। একসময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। ‘টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরষ্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা।’ তিনি আরও বলেন, ই-ট্র্যাকার জিআইসের কল্যাণে সকল শিশুদের তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে। এটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য ভালো একটা উদ্যোগ। এই ডিজিটাল প্লাটফরমের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম অক্টোবর ২০২৩ হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলি রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফলভাবে চলছে। ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগিতায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০১৮ হতে কর্মজীবী মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯,৫৩২টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯,৫৯১টি শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছেন। ডিএনসিসি ১,২০,০০০ শিশু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকার এ ৮২,০০০ (৭০%) শিশু রেজিস্টার করা হয়েছে। সেই সাথে শতভাগ জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যানিং সম্পন্ন হয়েছে ও ডেইলি অনলাইন রিপোর্টিং চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১,৯৩৬ টি জিরো ডোজ ও ১১,১৭০টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১,০৮১টি জিরো ডোজ ও ৮,৫১১টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভাসমান জনগোষ্ঠী ও বেদেসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে খুঁজে বের করে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই বিশাল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ও এমআইএস বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং এনজিও সমূহ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচওর টিমলিডার-আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।
২০ ঘণ্টা আগে

ভবিষ্যতে ইউরোপকে ধাক্কা দেওয়ার সক্ষমতা হবে আমাদের : কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে আমাদের ইউরোপকে ধাক্কা দেওয়ার সক্ষমতা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তবে, এর জন্য আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ১২ কিংবা ১৪ হাজার ডলারে পৌঁছাতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল মিশন রোডে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন মন্ত্রী। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ এ আয়োজনে বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ জন দরিদ্র রোগীর মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন তিনি। এ ছাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে শারিরিকভাবে অক্ষম ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১০ জনকে নগদ অর্থও বিতরণ করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে। বক্তব্যকালে ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, শুধু স্মার্ট পোশাক-আশাকে নয়, কাজকর্মসহ সব ক্ষেত্রে উন্নতি হলে বিশ্ব এমনিতেই বাংলাদেশের দিকে আসবে। তিনি এরপর বলেন, ‘এখন আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯৪ ডলার। ভবিষ্যতে যখন ১২ বা ১৪ হাজার ডলার আয় হবে, তখন আমাদের ইউরোপকে ধাক্কা দেওয়ার সক্ষমতা হবে।’ তবে, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ইচ্ছা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে চাই না। আমাদের দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত আসছেন। তারা আমাদের দেশের প্রশংসা করছেন। বিদেশিরা বলছেন, কোনো ধরনের সহায়তা লাগলে তাদের জানাতে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে পরিচিত একটি দেশ।’ মো. আব্দুস শহীদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, জনগণের উপকার করতে পারলে রাজনীতির সফলতা হবে। বঙ্গবন্ধু চাইতেন দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একইকাজ তার কন্যা শেখ হাসিনাও করে যাচ্ছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাত হোসেন চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান  ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোয়েব আহমদ চৌধুরী।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৮

প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে ঝামেলামুক্ত সেবা চায় বিজিএমইএ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পোশাক শিল্পে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর রাজস্ব ভবনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের কোটায় শুরু হচ্ছে ইতালির স্পন্সর ভিসার ‘ক্লিক ডে’   ফারুক হাসান বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং পরিবর্তনশীল ভোক্তা চাহিদা দ্বারা প্রভাবিত বৈশ্বিক বাজারে পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য রপ্তানি আদেশ পাওয়ার পর ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত সময় (লিড টাইম) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে পণ্যের দরও প্রতিযোগিতামূলক হওয়া জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে এই বিষয় দুটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান ব্যবসায়িক পদ্ধতিগুলোর জটিলতার কারণে শিল্পে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। আমদানি করা কাঁচামাল খালাস থেকে পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিতে জাহাজীকরণ-সংক্রান্ত  সব সেবায় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছ। শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতাকে যা দুর্বল করে দিচ্ছে।  আরও পড়ুন : শুধু সতর্ক করেই শেষ হলো খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযান   পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী শুল্ক, ভ্যাট, ট্যাক্স এবং বন্ড-সম্পর্কিত সমস্যাগুলো দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন বিজিএমইএ সভাপতি। এ সময় তিনি পোশাক শিল্পে এনবিআরের দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত পরিষেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং বাণিজ্য দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রো-অ্যাকটিভ অ্যাপ্রোচের আহ্বান জানান তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বৈঠকে উত্থাপিত সমস্যাগুলো সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতিকে আশ্বাস দেন।  বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো, মুনির হোসেন ও এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস পলিসি এবং আইসিটি) মো. মাসুদ সাদিক।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়