• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চলচ্চিত্র শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত (ভিডিও)
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। ওদিন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। আর এবারই প্রথম শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে- এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। আরটিভির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, সেজন্য এবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও আমরা দেখেছি অনেকে ভোটগ্রহণের পর নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। এবার সেসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো যেন না হয়, সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। ভোটার তালিকা তৈরি, প্রার্থিতা চূড়ান্ত, ব্যালট পেপার তৈরি, ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা- এসব কাজ আমরা শেষ করেছি। আশা করছি, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব। এদিকে  ২০২৪-২৬ মেয়াদের এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ভোটের দিন এফডিসিতে সমিতির ভোটার ছাড়া অন্যদের প্রবেশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন নির্মাতারা। যে কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে এফডিসিতে। প্রসঙ্গত , এবার নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। একটি খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের এবং অন্যটি অভিনেতা মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৮

শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দিতে নিপুণের অফার লুফে নিয়েছি: হেলেনা জাহাঙ্গীর
আমার গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি আছে। এ অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদে যে, অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি। আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই বলেন রহস্যময়ী নারী হেলেনা জাহাঙ্গীর। অভিযোগ উঠেছে গঠনতন্ত্রের নিয়ম না মেনেই ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি শিল্পী সমিতির সদস্য করেছেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত বহিস্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে। জানা গেছে, কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই তিনিসহ আরো বেশ কয়েক জনকে সদস্য করেছে নিজের ভোট বাড়ানোর জন্য। শিল্পী তালিকায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম প্রকাশ্যে আসতেই সাধারণ শিল্পীরা নিন্দা জানায়। অনেকেই নিজের অভিমত জানিয়ে প্রশ্ন রেখে নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেন। এসব তোয়াক্কা না করেই নিজের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, এর আগে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করেছি। সমাজ সেবা করেছি। কিন্তু চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করা হয়নি। আমি চাচ্ছি চলচ্চিত্র অঙ্গনে যারা আছে তাদের জন্য কাজ করতে। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে যার কারণে অফারটি পেয়েই লুফে নিয়েছি। এখানে অনেক বিশাল আকারে কাজ করতে পারব। বলে রাখা ভালো, শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫ (ক) ধারা অনুযায়ী—বাংলাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করিলে তিনি পূর্ণ সদস্য পদের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। কার্যকরী পরিষদে তার আবেদন গৃহীত হইলে তিনি পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করিবেন এবং তিনি ভোটাধিকার সহ কার্যকরী পরিষদের যে কোন পদের জন্য যোগ্যবলিয়া বিবেচিত হইবেন। পূর্ণ সদস্য পদের জন্য আবেদনকারীকে পেশাগতভাবে অবশ্যই চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী হইতে হইবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার ব্যতয় ঘটেছে। ‘ভাইয়ারে’ নামের একটি বিতর্কিত সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। আর এক সিনেমায় অভিনয় করেই তিনি শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েছেন। সদস্য হয়েই অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। এরপর থেকে সমালোচনায় তিনি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

সাউথ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পীদের স্বীকৃতির উদ্যোগ
সাউথ আফ্রিকার সমাজ অনেক টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে৷ সেই সব সমস্যার শৈল্পিক অভিব্যক্তি তুলে ধরছেন কয়েকজন স্থানীয় শিল্পী৷ এক প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায় মানুষ ও প্রাণিজগতের নানা জরুরি বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন তারা৷ আফ্রিকার উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ এবং জুলু উপজাতীয় লোকশিল্পের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে অগ্রণী শিল্পী হিসেবে ফে হ্যালস্টেড ৩০ বছর আগে নিজের লাক্সারি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ তার সিরামিক শিল্পকর্ম সত্যি অনবদ্য৷ তার দুই মেয়ে মেগান ও ক্যাথরিনও মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন৷ তাদের প্রতিটি সৃষ্টির গুরুত্ব শিল্পের চেয়েও বেশি৷ মেগান বার্নিং বলেন, অনেক বছর আগে, ১৯৮৫ সালে আমার মা ফে হ্যালস্টেডের থেকে প্রেরণা পেয়ে আর্ডমোর সৃষ্টি করা হয়েছে৷ আর্ডমোর কোনো ব্যবসার কারণে পথ চলা শুরু করেনি৷ আমার মায়ের শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া, শিল্প ও সমাজে কিছু ফিরেয়ে দেওয়ার আবেগ থেকেই সেই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল৷ ড্রাকেন্সবার্গ উপত্যকায় আর্ডমোর নামের এক জায়গায় সবকিছু শুরু হয়েছিল বলে সেই নাম রাখা হয়েছে৷ তিনি বনি এনচেলেনচেলি নামের একজন মাত্র শিল্পীকে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন৷ আজ সত্তর জনেরও বেশি শিল্পী কাজ করছেন৷ অ্যালেক্স সিবান্দা তাদেরই একজন৷ নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ফে আমাকে আর্ডমোরে যা খুশি করতে বলেছিলেন৷ আমার প্রথম প্রাণী ছিল গণ্ডার৷ তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, কেন গণ্ডার ব্যবহার করছেন? আমি বললাম, সেটাই আমার প্রতীক৷ আমি ট্যাক্সি নিয়ে জিম্বাবুয়ে থেকে এসেছি৷ আর এখন জিম্বাবুয়ে ফিরতে আমি গণ্ডার ব্যবহার করবো৷ গণ্ডার প্রজাতি আজ বিপন্ন৷ খড়গের কারণে মানুষ তাদের মারে৷ তাই আমি গণ্ডারের জন্য করুণা অনুভব করলাম৷ আমি সব সময় গণ্ডার সৃষ্টি করি, কারণ এই প্রাণী খড়গের জন্য প্রাণ হারায়৷ বাকিদের জন্যই আমাদের অস্তিত্ব, এ এক মৌলিক বিশ্বাস৷  অন্যদের শিক্ষাদান সম্পর্কে তাদের আন্তরিকতা বিভিন্ন শাখার সৃজনশীল মানুষের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে৷ বনি এনচেলেনচেলিকে নিয়ে আর্টিস্ট মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছিল৷ বর্ণবৈষম্যের যুগে কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে বড় হয়ে ওঠার সময়ে তিনি শস্যের খেতে কাজ করবেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু কম বয়সে পোলিও রোগের কারণে তিনি শিল্পের প্রতিভার প্রতি মনোযোগ দিয়েছিলেন৷ ক্যাথরিন বার্নিং বলেন, এ যেন রূপকথার গল্প৷ ডারবান টেক থেকে আমার মাকে ছাঁটাই করা হয়েছিল৷ তিনি আমার বাবার প্রেমে পড়ে ড্রাকেন্সবার্গে চলে আসেন৷ সে সময়ে আমাদের বাসার কাজের লোক জ্যানেট এনচেলেনচেলির এক মেয়ের সৃজনশীলতা নজর কাড়ার মতো ছিল৷ বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি পেতেন না৷ নিজে অত্যন্ত সৃজনশীল মানুষ হিসেবে আমার মা প্রতিভা শনাক্ত করে বনিকে নিজের ছত্রছায়ায় নিয়ে আসেন৷ ১৯৯০ সালে তারা যৌথভাবে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ইয়ুথ আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন৷ উঠতি শিল্পীদের ক্ষমতায়ন ও লুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এই কোম্পানি এইডস রোগীদের সহায়তায় এক সামাজিক উদ্যোগও শুরু করেছে৷ সে সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছে৷ ক্যাথরিন বার্নিং বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বনি মারা গেছেন৷ তার এইচআইভি এইডস হয়েছিল৷ সেটা আমাদের ব্র্যান্ডের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও নেতিবাচক সময় ছিল৷ আমরা সেরা পাঁচ শিল্পীকে হারিয়েছি৷ তারা আমাদের বোনের মতো ছিল৷ আমরা কিছু বাছাই করা শিল্পকর্ম গোটা বিশ্বে পাঠিয়ে শিল্পীদের ও জগতকে এইচআইভি, এইডসের জগত সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছি৷ কীভাবে আমরা সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে পারি, তা জানিয়েছি৷ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আর্ডমোর কমিউনিটি ফান্ড পুরোপুরি শিক্ষার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে৷ আর্ডমোর হোউইক এলাকার তেম্বেলিলে স্কুলের সঙ্গে সহযোগিতার পথ বেছে নিয়েছে৷ সেই স্কুল স্থানীয় সমাজে প্রান্তিক শিশুদের জন্য উচ্চ মানের শিক্ষার ব্যবস্থা করে৷ এঞ্জেলস কেয়ার সেই স্কুলেরই একটি বিভাগ, যেটি নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুদের দেখাশোনা করে৷ সেখানে শিশুরা শিল্পকলার মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব তুলে ধরার সুযোগ পায়৷ সৃজনশীল স্বাধীনতার ভিত্তি ও আফ্রিকার সংস্কৃতির প্রাণবন্ত অন্তরাত্মা থেকে এই শিল্পকর্মগুলি সৃষ্টি হয়েছে৷
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়