• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নোয়াখালীতে গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ১৮ শিক্ষার্থী  
নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড গরমে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।   রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া দশটা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।  হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, আজ সকাল দশটার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। এক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন অষ্টম শ্রেণির দুইজন নবম শ্রেণির দুজন ও দশম শ্রেণির দুইজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত আরও জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারও পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমি করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক শ্রেণিশিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান। তিনি স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। তারা গরমের কারণে সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। অপরদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আফিফা ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি।  জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাইস্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ছাড়া তিনি আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি।
১ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ / যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন। তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।  মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৭

চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক শাহ আমানত বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷  তার নাম তাজুল ইসলাম (৪৮)। চালক গ্রেপ্তারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হলে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।  তবে বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, ঘাতক বাস চালককে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তাকে এবং বাসের হেল্পারকে বিবাদী করে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় চালককে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। এ দিকে এই ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ৯ দফা দাবির কথা বলা হলেও তার সঙ্গে আরও এক দফা দাবি যোগ করেছেন তারা। আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে এমন দাবিতে সুমন দে নামে চুয়েটের এক শিক্ষকেরও অপসারণ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দেওয়া এই দশ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

নিহত চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা 
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে চুয়েট কর্তৃপক্ষ, ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক বৈঠকে এ কথা জানানো হয় হয়।  এর আগে সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।  তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। তিনি নরসিংদীর কাজল সাহার ছেলে। অপরজন তৌফিক হোসেন একই বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের ছেলে।  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি খুব শিগগিরই এ সড়ক সম্প্রসারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। আহত শিক্ষার্থী তিন লাখ টাকা পাবেন। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দেব। দু-একদিনের মধ্যে আমরা সে টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারব বলে আশা করছি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

নোবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭ হাজার ৭৬৩ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ৭ হাজার ৭৬৩ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।  মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র আরটিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, নোবিপ্রবি কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ৪৫০৮ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৮১ জন এবং সি ইউনিটে ১ হাজার ৪৭৪ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। বিজ্ঞান শাখাভুক্ত ‘এ' ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ২৭ এপ্রিল, মানবিক শাখাভুক্ত ‘বি' ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভুক্ত ‘সি' ইউনিটের পরীক্ষা ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের স্বতন্ত্র পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বছর গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৫

বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত
মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের চার নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে। আর তৌফিক নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। এ দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর নাম জাকারিয়া হিমু। তিনি ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই মোটরসাইকেলে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে শাহ আমানত নামের দ্রুতগামী একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী শিক্ষার্থীরা ছিটকে পড়েন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটিকে আটক করেছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজনকে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে ও আরেকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৮

জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ আদায়ের প্রতিবাদে ও ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তারা শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি আদায়কে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করে অবিলম্বে এ ফি বাতিলের দাবি জানান। মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন লাইটিং করে অর্থ অপচয় করতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য তাদের পকেট থেকে টাকা নিতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষদের আশ্রয়স্থল। খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এখন এ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দিনের পর দিন খরচ বাড়াতে চায় তাহলে তারা কোথায় যাবে। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’- এ নীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে না আসলে শিক্ষার্থীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায়ভাবে ছয় হাজার টাকার দায় চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ‘অ্যামাউন্ট’ হয়তো খুব বেশি না। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর খুব কম অ্যাফোর্ডেবল ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করা হলেও ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাদ দেওয়া হয়। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে তা চাপানো হয়েছে। আমরা একে অন্যায্য বলে দাবি করছি। অনতিবিলম্বে এ ফি না কমালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ফি আদায়ের প্রবণতা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন বিভাগে উইকেন্ড কোর্স চালু আছে। বিভাগগুলো বলছে, এ টাকা যথেষ্ট নয়। তাদের অর্থসংকটের অতিরিক্ত টাকা কি শিক্ষার্থীরা বহন করবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। পাবলিক ফান্ড ট্যাক্স বা ইউজিসি থেকে অন্য কোনোভাবে এ টাকা সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া যাবেনা। ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিলে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বার্থকতা হারাবে। কালকে থেকে ভর্তি শুরু হবে, অসংখ্য ছাত্রদের ওপর অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপ আসবে। এটা কোনোভাবেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কাম্য নয়। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এ যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

বুয়েট শিক্ষার্থী দীপের হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা!
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তির সুযোগ নিয়ে আবারও বিভিন্ন গ্রুপে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বুয়েটে নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ার পাশাপাশি বুয়েটে মৌলবাদী শক্তির হামলায় নিহত আরিফ রায়হান দ্বীপকে কেন্দ্র করে গুজব ও ঘৃণামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে তার হত্যার ন্যায্যতা প্রমাণ করে বেশ কিছু পোস্ট করা হয়েছে ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ নামের ফেসবুক গ্রুপে। ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে দীপের মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওই বছরের ২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আর এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন মেজবাহ নামের উগ্রবাদী বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। যিনি হেফাজতে ইসলামের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে।    দীপের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনীতির সক্রিয় কর্মী ছিলেন দীপ। তাকে হত্যার আগে বিভিন্নভাবে তার নামে ও প্রগতিশীল রাজনীতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুৎসা রটানো হয়। আর এরপরই তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একইরকম ঘটনা ঘটেছিল বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও তৎকালীন ছাত্রলীগের তন্ময় আহমেদের সঙ্গেও। ২০১৩ সালে তিনিও শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তন্ময় আহমেদ জানান, হামলার আগে তার বিরুদ্ধেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন গুজব ও উসকানিমূলক লেখালেখি শুরু হয়েছিল। সাম্প্রতিককালে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বিরোধী তৎপরতা শুরু হলে আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে বুয়েটে গোপনে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করা ছাত্র শিবির, হিযবুতসহ মৌলবাদী গোষ্ঠী। তারা অবস্থান নেয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। তবে বিচারবিভাগের আদেশের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা সরব হলে মৌলবাদী গোষ্ঠীর নিশানায় উঠে আসে তারা। এর মধ্যে আরিফ রায়হান দ্বীপকে হত্যা নিয়ে সকল পক্ষের শিক্ষার্থীরা যখন সরব এবং এ ধরণের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সকল শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলনে একাতাবদ্ধ হয়ে মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তখনই মৌলবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময় আবারও দ্বীপকে নিয়ে নানা ঘৃণামূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফেসবুক পোস্ট করতে থাকে তারা। (এই লিংকে একাধিক পোস্ট রয়েছে: https://drive.google.com/drive/folders/159x4fHVZHSlniOU5zUjdb3klUJJM_T-h?usp=sharing ) বুয়েটের আড়িপেতে শোনা গ্রুপের একটি পোস্টে দেখা যায়, আরিফ রায়হান দ্বীপকে নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত করে, তার মৃত্যুতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা রক্ষা পেয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়। এই পোস্টটি ছিল অ্যানোনিমাস। ঠিক তেমনি অ্যাননিমাস অপর এক পোস্টে বলা হয়, হেফাজতের জন্য খাবার তৈরি করা ইমামকে বহিষ্কারের পেছনে দ্বীপের যেই ভূমিকা ছিল, তার জন্য তাকে যে হত্যা করা হয়েছে সেটা হওয়ারই ছিল। শাহবাগ আন্দোলনকালে মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ছাত্রদের যেই জোট কাজ করেছে, সেখানে বুয়েট থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল আরিফ রায়হান দ্বীপের। তাকে হত্যার এমন ন্যায্যতা প্রদান বিষয়ক পোস্ট বুয়েটিয়ানদের গ্রুপে কিভাবে অনুমতি পায় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এই প্রগতিশীল জোটের সাবেক ছাত্রনেতারা। বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফ্রন্টের তৎকালীন সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, কোনো হত্যাকেই জাস্টিফাই করার কখনই সুযোগ নেই। বুয়েটে দ্বীপকে যেভাবে হত্যা করা হলো, সেটি আলোচনায়ও এলো না খুবভাবে। এটা আরও বেশি আলোচনা হওয়া দরকার ছিল। ওই সময় সারাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি যেভাবে আক্রমণ করছিল, তার মধ্যে মৌলভীবাজারেও ছাত্রফ্রন্টের নেতার ওপর হামলা হয়েছিল। আরও অনেক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। একটা প্যানিক তৈরি করা হচ্ছিল, যাতে মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমন করা যায়, ভয় দেখানো যায়, শাহবাগ কেন্দ্রিক মানুষের যে ঢল, তরুণ, যুবকদের ঢল তারা যাতে ভয় পায় সে চেষ্টা চলছিল।  ‘যদি ধরেও নেই, হেফাজতের জন্য খিঁচুড়ি রান্নার ঘটনায় দ্বীপের প্রতিবাদের কারণে ইমামকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে, সেটি অনৈতিক কিছু না। ২০০১ সালে ইকসু নির্বাচনের পরে ইকসুতে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব ছিল। প্রত্যেক ক্রিয়াশীল সংগঠন সেখানে ছিল। ইকসু ও প্রত্যেক ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন বসে আমরা লিখিত একটা রেজ্যুলিউশন নিয়ে এসেছিলাম, বুয়েটে কোনো মৌলবাদী সংগঠন কাজ যাতে না করতে পারে। ইকসু দ্বারা লিখিত একটা স্টেটমেন্ট ছিল বুয়েটে মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আমরা এলাউ করব না। এরকম একটা জায়গায় যদি হেফাজতে ইসলাম, যারা একটা মৌলবাদী গোষ্ঠী তাদের জন্য বুয়েটকে ব্যবহার করে, তাদের জন্য কেউ যদি খিঁচুড়ি রান্না করতে চায় বা করেও সেটা কেন একজন সচেতন ছাত্র প্রতিবাদ করবে না। অবশ্যই করা উচিৎ। সে যদি এ কারণে প্রতিবাদ করে সেটির ন্যায্যতা দেওয়া উচিৎ। কারণ ওর প্রতিবাদ যৌক্তিক ছিল। এটাকে কেন্দ্র করে কেউ যদি তার হত্যাকে জাস্টিফাই করতে চায় তাহলে এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক অবস্থান হতে পারে না। যারা এ কথা বলছে, তারা কোন চিন্তার মানুষ কিভাবে এটা ভাবে তা আমি জানি না। একটা হত্যাকে জাস্টিফাই করছে।’ ছাত্র মৈত্রীর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দ্বীপের হত্যাকাণ্ডকে কোনোভাবেই জাস্টিফাই করা যায় না। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যদি বলে ওই হত্যা প্রয়োজন ছিল বা ন্যায়সঙ্গত ছিল তাহলে তার মস্তিষ্ক বিকৃত। কোনো হত্যাকাণ্ডই কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যদি ন্যায়সঙ্গত বলে সে সুস্থ মানুষ নয়। ওই সময় আমার বাসায়ও জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তারা একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। করেছিলও। শাহবাগ আন্দোলনে ‘স্লোগান কন্যা’ হিসেবে পরিচিত পাওয়া বামপন্থি ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, শাহবাগ আন্দোলনের সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই দ্বীপ হত্যাকাণ্ড। এটা প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ওপর একটি আঘাত। তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। মৌলবাদী সংগঠন কর্তৃক নৃশংস হত্যার ঘটনা দেখা গেছে অনেক জায়গায়। বুয়েটের ছাত্র রাজনীতির যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে, এটা তারই একটি চিত্র। এ জন্য আমরা বলেছি, মৌলবাদী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে শিবিরের রাজনীতিও আমরা নিষিদ্ধ চাই। এটা আমাদের পুরোনো দাবি। কোনো হত্যাকে জাস্টিফাই করার সুযোগই নেই। বরঞ্চ এ ঘটনা যখন ঘটেছে, এর মধ্য দিয়ে ওইখানকার মৌলবাদ বা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের যে বক্তব্য ছিল, তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা ছিল খুবই নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা। এটা মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। দ্বীপ হত্যাকাণ্ড বা তন্ময় আহমেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে নৃশংস হামলা হয়, তার আগে যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উস্কানিমূলক ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে। ঠিক একইভাবে বর্তমানে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির পক্ষে থাকাদের নিয়ে ঘৃণামূলক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বুয়েটের আড়িপেতে শোনা ও শিবিরের বাঁশের কেল্লা গ্রুপে। প্রকাশ করা হচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত পরিচয়। এসব পেজে এভাবে পরিচয় প্রকাশের কারণে জীবননাশের শঙ্কায় আছেন ওই সব শিক্ষার্থী ও সাবেক বুয়েটিয়ানরা। বুয়েটের আড়িপেতে শোনা গ্রুপে দেখা যায়, আন্দোলনে সাড়া না দিয়ে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ায় তার নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে শিবিরের বাঁশের কেল্লা গ্রুপে দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীর পরিচয়, ব্যক্তিগত ঠিকানা বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সাংবাদিক শিবিরকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘ইফতারের আড়ালে সক্রিয় হচ্ছে শিবির’।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৪

সুনসান নীরব বুয়েট ক্যাম্পাস, ক্লাসে নেই শিক্ষার্থী
ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসসহ ৬ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুয়েট ক্যাম্পাস একেবারেই সুনসান নীরব। কোনো শিক্ষার্থীর আনাগোনা নেই। দু-একজন শিক্ষার্থীকে দেখা গেলেও তারা ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, সকাল থেকে ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী আসেনি। গত তিন দিন ধরে এই অবস্থা চলছে। ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসসহ ৬ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। রোববার বুয়েটের ২০তম ব্যাচের এক হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৪ জনই টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে জানানো হয়েছে। গত ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ মার্চ) আন্দোলনে নামেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। পরে বুয়েটে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আংশিক দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হয়। অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার দাবিতে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। এরপর সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি রিটটি দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৫

টাঙ্গুয়ার হাওরে গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে গত বছরের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৩৪ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এই দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।  সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, বুয়েটে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে, সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মৌলবাদী গোষ্ঠী একের পর এক রাষ্ট্রবিরোধী দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আজকে বুয়েটে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির কণ্ঠ বন্ধ করে সেখানে তারা স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সেই ১৯৭১ সালের পরাজিত অপশক্তি জামায়াত-শিবির অন্ধকারে কার্যক্রম পরিচালিত করে জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বুয়েটের ৩৪ জন শিবির ক্যাডার রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করে ষড়যন্ত্রের অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। বুয়েট প্রশাসন এখনো সেই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করেনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বুয়েট প্রশাসনকে বলতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে কালো আইন বুয়েট প্রশাসন তৈরি করেছে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। বুয়েট প্রশাসন দাবি না মানলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।  কর্মসূচি থেকে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে যে ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছিল এদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজলে দেখা যাবে এরা জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে ষড়যন্ত্র করতেই সেখানে গিয়েছিল। তারা শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এবং শিবিরের ক্যাডার। সেই সময় আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে স্বাধীনতার পক্ষের এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য একত্রিত করা হয়েছিল। এই ৩৪ জনকে অবিলম্বে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা ভাস্কর রাশা, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক কবীর চৌধুরী তন্ময়সহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়