• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভোটের প্রচারে দেব, ভেঙে পড়ল মঞ্চ
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে জোর কদমে প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা দেব। প্রায় প্রতিদিনই ঘাটালে কেন্দ্রের নানা এলাকায় জনসংযোগে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের এই তারকা প্রার্থী। দেবকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ঘাটালবাসীও। আর উচ্ছ্বাসের চাপেই এবার বিপাকে পড়লেন দেব। সম্প্রতি ঘাটালের ঝাউতলায় পথসভা করেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দেব। সে জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি মঞ্চ। কিন্তু দেব মঞ্চে উঠতেই লোক বাড়তে থাকে। দেবকে কাছ থেকে দেখতে অনেক মানুষ মঞ্চে উঠে পড়েন। তখনই ভার সামলাতে না পেরে ভেঙে পড়ে অস্থায়ী মঞ্চটি। দেব বেসামাল হতেই তাকে ধরে নেন তারকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা।  প্রচারে নেমে নজর কাড়ছেন দেব। সাদামাটাভাবেই ঘাটালে প্রচার চালাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জির ‘গুড বয়’। তবে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও জুটেছে! অনেকের মতে, ‘ভোটের জন্যই এটা পাবলিক স্টান্ট দেবের।  এদিকে অনাকেই  মন্তব্য, এখন প্রচারের স্বার্থে অনেক কিছুই করতে দেখা যাবে তারকাদের।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৭

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটদানের রেকর্ড
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে রেকর্ডসংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রথম ধাপে ভোটার উপস্থিতি ছিল গড়ে ৬০ শতাংশ।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এই ধাপে ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল পশ্চিমবঙ্গে ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ছিল বিহারে ৪৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এসব খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রথম ধাপে মোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। উত্তর প্রদেশে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫৮ শতাংশ। রাজ্যের আটটি আসনে শুক্রবার ভোট হয়েছে। রাজ্যটির প্রধান নির্বাচনি কর্মকর্তা নবদ্বীপ রিনওয়া বলেছেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতির নির্দিষ্ট তথ্য শনিবার জানানো হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্যে ভোটার উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ।  পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটকে কেন্দ্র করে মোট ৫৫৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে কোচবিহারে ২৬৯টি, আলিপুরদুয়ারে ১৬২টি এবং জলপাইগুড়িতে ১২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি মসৃণ, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য কঠোরভাবে কাজ করছে কমিশন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে। জোটগতভাবে ৪০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। আর এককভাবে ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে জোটটির মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সাতটি ধাপে মোট ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন। ভোটারের এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগেরও বেশি। দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে যথাক্রমে, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে।    
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০১

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মোট সাত দফায় হবে এই ভোট। লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে সাত দফা ভোটপর্বের প্রথম দফায় আজ দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হবে ১০২টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন— জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।    আজ সকালে অবশ্য ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একই সঙ্গে আজ আরও নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভার ৬০টি এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভার আসনের ভোটগ্রহণ।  আজ প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩টিতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। পাশাপাশি বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। মণিপুরের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলেও ভোটের দিন নাশকতার আশঙ্কায় বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ। দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ শুরু 
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আজ শুক্রবার থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার সাত দফায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন কমিশনও এরই মধ্যে শেষ করেছে ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। প্রথম দফায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফা ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের বেশি। এই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের ওই তিন কেন্দ্রসহ মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়। আজ প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩টিতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। পাশাপাশি বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। মণিপুরের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলেও ভোটের দিন নাশকতার আশঙ্কায় বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ। দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫১

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে শুক্রবার থেকে ভোটগ্রহণ
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে শুক্রবার থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার সাত দফায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন কমিশনও এরই মধ্যে শেষ করেছে ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি।  প্রথম দফায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফা ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের বেশি।  এই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের ওই তিন কেন্দ্রসহ মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়। শুক্রবার প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার তাই আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩টিতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। পাশাপাশি বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। মণিপুরের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলেও ভোটের দিন নাশকতার আশঙ্কায় বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।  দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০১

ভারতের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, ৭ ধাপে হবে ভোটগ্রহণ
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে দেশটির ৫৪৩ আসনের নির্বাচন। সাত ধাপে ভোটগ্রহণ চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।  শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ তফসিল ঘোষণা করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিকিম, উড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ- এই চারটি রাজ্যে একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তালিকাতে রাখা হয়নি জম্মু-কাশ্মীরের নাম। ২০১৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপতির শাসনাধীন আছে প্রদেশটি।  এছাড়া বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে এ সময়ের মধ্যে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত জানিয়ে রাজিব কুমার বলেছেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩)(বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে। এছাড়া জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, প্রচার-প্রচারণা হতে হবে ইস্যুভিত্তিক। কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না, ধর্মীয় কোনও কিছু উদ্ধৃত করা যাবে না। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।  এছাড়া সংবাদমাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজিব কুমার। কোনটি বিজ্ঞাপন আর কোনটি খবর সেটি স্পষ্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব বিষয় নজরদারিতে রাখার জন্য ২১০০ সদস্যের একটি পরামর্শক দল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। যেসব ভোটারের বয়স ৮৫ বছরের উপরে এবং যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তারা চাইলে বাড়িতে থেকে ভোট দিতে পারবেন। বর্তমানে ভারতে ৮৫ বছরের উপরে ৮২ লাখ ভোটার রয়েছেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৭

লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষক বিক্ষোভের মুখে মোদি  
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। দেশ জুড়ে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে কৃষক বিক্ষোভ। নির্বাচনের প্রাক্কালে আন্দোলনের যে তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে পিছিয়ে যেতে পারে ভোটের আয়োজনও।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ শুরু করেছেন ভারতের কৃষকরা। ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) নিশ্চয়তা দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল ও শস্যবিমার দাবিতে হাজার হাজার কৃষক রাস্তায় নেমেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকার।  কৃষকদের এই রোডমার্চ ঠেকাতে ইতোমধ্যে রাজধানী দিল্লিকে নিরাপত্তা চাঁদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। এছাড়া কৃষকরা যাতে ট্রাক্টর, ট্রাক ও ট্রলি নিয়ে সড়কে নামতে না পারে সেজন্য জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেকোনো জমায়েত ও সমাবেশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দিল্লিজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে সিএপিএফ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ব্যাটালিয়নসহ দুই হাজারেরও বেশি সদস্য।   তবে, আন্দোলন ঠেকানোর জন্য মোদি সরকারের কোনও পায়তারাই তোয়াক্কা করছেন না কৃষকরা। দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই তারা রাজধানী দিল্লির দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন বলে খবর দেশটির গোয়েন্দা সূত্রের।  সূত্রের বরাতে ভারতের আনন্দবাজার বলছে, শুধু পঞ্জাব থেকেই ১৫০০টি ট্র্যাক্টর, ৫০০ গাড়ি নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছেন কৃষকেরা। ওইসব গাড়িতে প্রায় ৬ মাসের খাবার নিয়ে যাচ্ছেন তারা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা হলে কি ২০২০ সালের পর আরও একটি দীর্ঘ সময়ের কৃষক আন্দোলন দেখতে চলেছে দিল্লি-সহ গোটা ভারত? ওই সময় দিল্লির সীমানায় যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকেরা, সেই আন্দোলন ১৩ মাস ধরে চলেছিল। এবারও কৃষকেরা সেই পথেই হাঁটতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লির সীমানা। পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের কৃষক হরভজন সিংহ এনডিটিভিকে বলেন, 'সুচ থেকে হাতুড়ি, সবকিছু ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। ব্যারিকেড ভাঙার যন্ত্রও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা ৬ মাসের জন্য খাবার নিয়ে রওনা দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে প্রচুর জ্বালানিও আছে।' আরও এক কৃষক জানিয়েছেন, এর আগের আন্দোলন ১৩ মাস ধরে চলেছিল। এরপর কৃষকদের দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তারা রাখেনি। তার ভাষ্য, 'এবার যত দিন না পর্যন্ত আমাদের দাবিদাওয়া মেনে না নেওয়া হবে, ততদিন আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।' কৃষকদের এই ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ রুখে দেওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে বৈঠকও করেন। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। সোমবার রাত ১১টার পর বৈঠকে বসে ২০২০ সালের ইলেক্ট্রিসিটি আইন বাতিল করার বিষয়ে কৃষক নেতাদের আশ্বস্ত করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষকদের মূল তিনটি দাবি— ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য, কৃষিঋণ মওকুফ এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ নিয়ে দুপক্ষ কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। বৈঠকে যোগ দেওয়া কৃষকদের এক প্রতিনিধির অভিযোগ, দুই বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সে ব্যাপারে কিছুই করেনি কেন্দ্র। কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও মোদি সরকার সময় নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তার।    
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়