• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেন গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন
বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। মাসের অর্ধেক পার না-হতেই তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ তাপমাত্রা রেলপথেও বাধতে পারে বিপত্তি। ফলে দুর্ঘটনা রোধে সব ধরনের ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে বলেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিভিন্ন সেকশনের লোকোমাস্টার ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন রেলওয়ের এই নির্দেশনা মেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি সেকশনের ট্রেনকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সেকশনের লোকমাস্টারদের বরাত জানা গেছে, তাপমাত্রার কারণে লাইন বেঁকে যায়, তাই রেলওয়ের কন্ট্রোলরুম থেকে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। মূলত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকলেও এটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গরমে লাইন বেঁকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য একটি স্ট্যান্ডিং অর্ডার রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে নির্দেশনা কার্যকর হবে। অর্থাৎ, কর্মকর্তারা ট্র্যাকের টেম্পারেচার কেমন, পরিবেশ কেমন দেখার পর নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নতুন ট্র্যাকগুলো ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নিতে পারে। তবে পুরোনো ট্র্যাকগুলোতে এত বেশি তাপমাত্রা নিতে পারে না। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় স্টেশনের ভিআইপি গেটের সামনের ফাঁকা জায়গায় এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের ইমামের ইমামতিতে রেলওয়ের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরার পাশাপাশি আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই জামাতে অংশ নেন। ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সফিকুর রহমান, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ারসহ অনেকেই।  এদিকে, রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি অংশ নেন। ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬

অবহেলা-অব্যবস্থাপনা ও লাইনচ্যুতির রেলওয়ে
বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রেলওয়ের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে দুর্নীতি নিয়ে৷ সংসদীয় কমিটি দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুর্ঘটনার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন বন্ধের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুপারিশ করেছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, রেললাইন, সিগনাল লাইট ও রেলের ইঞ্জিন, কোচ ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ তারা রক্ষণাবেক্ষণের চেয়ে নতুন কেনাকাটায় বেশি আগ্রহী৷ কারণ, সেখানে অর্থ বরাদ্দ অনেক বেশি, লুটপাটের সুযোগও বেশি৷ বাংলাদেশের ৬৩ ভাগ রেললাইন এখন মেয়াদোত্তীর্ণ৷ ফলে বারবার ট্রেন লাইনচ্যুত হচ্ছে৷ গত রবিবার দুপুরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়৷ ট্রেনটিতে মোট ১৮টি বগি ছিল৷ বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ৩০ জন আহত হন৷ ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে জামালপুর যাচ্ছিল৷ ই দুর্ঘটনার ফলে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যের সাতটি ট্রেন আটকা পড়ে৷ তারপর সোমবার রাতে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস বঙ্গবন্ধুর সেতুর পূর্বপ্রান্তে লাইনচ্যুত হয়৷ এতে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে৷ আবার সিগনাল ত্রুটির কারণেও বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ আছে লেভেল ক্রসিংয়ে গেট না থাকা এবং ঠিক সময়ে না আটকানোর কারণে দুর্ঘটনা৷ গত বছরের অক্টোবরে ভৈরবে সিগনাল ত্রুটির কারণে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হন৷ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে ২০২৩ সালে ২৮৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত ও ২৯৬ জন আহত হয়৷ আর যাত্রীকল্যাণ সমিতির হিসাব বলছে, ২০২১ সালে ৪০২টি রেল দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩৯৬ জন নিহত হয়েছিল৷ ২০২২ সালে ৬০৬টি রেল দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন নিহত হয়েছেন৷ এসব হিসেবে রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাও রয়েছে৷ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, গত এক যুগে রেলে এক লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, তার শতকরা এক ভাগও যদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হতো, তাহলে রেলের এই করুণ পরিণতি হতো না৷ তার কথা, প্রায় ৬৩ ভাগ রেল লাইন এখন মেয়াদোত্তীর্ণ৷ এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ৷ তবে রক্ষণাবেক্ষণ করলে এর ঝুঁকি এড়ানো যায়৷ ফিসপ্লেট ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না৷ সিগনাল, লেভেল ক্রসিং কিছুই ঠিক নেই৷ আবার বগির সঙ্গে ইঞ্জিনের সংযোগও সঠিকভাবে হয় না৷ এর বাইরে রেললাইনের দুই পাশে অবৈধ হাটবাজার, অবৈধ লেভেল ক্রসিং, লেভেল ক্রসিংয়ে লোক না থাকা৷ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের কথা, রেল সবচেয়ে কম খরচের আর জনপ্রিয় বাহন৷ এটা সারা দেশে আরো বিস্তৃত হওয়া দরকার৷ কিন্তু যা আছে, তা রক্ষণাবেক্ষণ না করলে তো কোনো লাভ হবে না৷ সেদিকে নজর নেই ৷ বরাদ্দ নেই৷ নতুন প্রকল্প নেয়া হয় লুটপাটের জন্য৷ এখানে একটি চক্র আছে, যারা লুটপাট ছাড়া আর কিছু বোঝে না৷ রেল মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে; সারা দেশে ৩১৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে৷ এর মধ্যে ১৪৩টি ট্রেন বিগত ১৫ বছরে চালু করা হয়েছে৷ এ সময়ের মধ্যে নতুন করে ৮৪৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে৷ এক হাজার ৩৯১ কিলোমিটার রেললাইন মেরামত করা হয়েছে৷ রেলে বর্তমানে কোচ আছে এক হাজার ৭৮৮; যার ৪৭ শতাংশেরই অর্থনৈতিক মেয়াদকাল শেষ৷ আর সচল ইঞ্জিনের সংখ্যা মাত্র ২৯৫, যার ৬০ শতাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ৷ মালবাহী ওয়াগনের সংখ্যা তিন হাজার ২৪৭, যার ৬৭ শতাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ৷ রেলওয়েতে ৪৭ হাজার ৬০০ জনবলের বিপরীতে ২৪ হাজার জনবল রয়েছে৷ বাংলাদেশে দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথে লেভেল ক্রসিং আছে দুই হাজার ৫৪১টির মতো৷ প্রায় প্রতি কিলোমিটারে একটা করে লেভেল ক্রসিং৷ এসব ক্রসিংয়ের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশে কোনো গেট নেই বলে উল্লেখ পাওয়া যায়৷ রেল ট্র্যাকের ১০ ফুটের মধ্যে সব সময় অলিখিতভাবে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা৷ কিন্তু বাংলাদেশে রেললাইনের ওপরই ৬৬টি হাটবাজার গড়ে তোলা হয়েছে৷ আর রেললাইনের পাশে ছোটখাটো হাটবাজারের অভাব নেই৷ অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের রেল খুব ধীর গতির ৷ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার চলে৷ যদি নিয়মিত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো- এইসব হাটবাজার তুলে দেয়া হতো, তাহলে এই রেলই ৫০ কিলোমিটার বেশি গতিতে চলতো৷ রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বুধবার রেল নিয়ে বৈঠক করেছে৷ বৈঠকে একের পর এক ঘটে যাওয়া রেল দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থায়ী কমিটি৷ কমিটির বৈঠকে কেন এসব দুর্ঘটনা ঘটছে তার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য পেতে ট্রেনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন ও দুর্ঘটনার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন বন্ধের জন্য সেন্সর সিস্টেম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে৷  অ্যাক্সিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, এই রেল ট্র্যাকের সমস্যা, ফিস প্লেট, সিগনাল এগুলো ঠিক রাখার জন্য অনেক প্রযুক্তি আছে৷ তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তারও আগাম সিগনাল পাওয়া যায়৷ এগুলো অল্প খরচেই সম্ভব৷ আসল সমস্যা হলো রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি রেল কর্তৃপক্ষের আগ্রহ নেই৷ কারণ, এই খাতে কম বরাদ্দ৷ তাই এখানে লাভও কম৷ নতুন প্রকল্পে অনেক বরাদ্দ, লাভও বেশি৷ আর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব যাদের, তারা দায়িত্ব পালন করেন না৷ তাদের দক্ষতাও কম৷ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের এই ত্রুটির কথা স্বীকার করে বলেন, তবে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, সেটা না হলে তো প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটতো৷ তা তো হচ্ছে না৷ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে এই ছয়মাসে একটি দুর্ঘটনা ঘটলো৷ এটা তো আপনার জার্মানিতেও হয়৷ তিনি জানান, রেল ট্র্যাক পুরোনো, ইঞ্জিন, বগি পুরোনো৷ এর মধ্যে কিছু কিছু মেরামত করা হচ্ছে৷ আবার কিছু কিছু মেরামতের অযোগ্য৷ আবার যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলেও দাম বেশি, বরাদ্দ কম৷ তারপরও আমরা চেষ্টা করছি৷ আমাদের জনবলও কম৷ এই খাতে বরাদ্দ না বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে৷ আমরা আধুনিক প্রযুক্তির কথা চিন্তা করছি৷ সংসদীয় কমিটিও বলেছে৷ এখন সেটা আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছে কিনা দেখতে হবে৷ দুর্নীতি ও অবহেলার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ পাই৷ তবে এখন থেকে কোনো সতর্কীকরণ বা ছাড় নয়৷ কঠোর ব্যবস্থা নেবো৷
২২ মার্চ ২০২৪, ১২:২৩

ঈদের চাঁদ দেখে ৩ দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে। এবারের ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) ৩ দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।  সম্প্রতি ঢাকায় রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেন, এপ্রিলের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করা হবে ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। অগ্রিম ও ফেরত ঈদ যাত্রার টিকিট শতভাগ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। একজন যাত্রী অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ বার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন এবং প্রতি ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪টি টিকিট ক্রয় করতে পারবে। একজন যাত্রীর সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের নাম ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রার টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এ ছাড়া ঈদের আগের ৭ দিন ও ঈদের পরের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে।   তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ৩ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পর যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এ ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। এবারের ঈদে ১৬টি ট্রেন নতুন যুক্ত হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৬

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যেদিন থেকে বিক্রি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামী ২৪ মার্চ থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। বুধবার (১৩ মার্চ) ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান ।  সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এবার ঈদে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। ঈদে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে সকালে আর পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে দুপুর থেকে। তিনি জানান, আগামী ২৪ মার্চ দেওয়া হবে ৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট, ২৫ মার্চ দেওয়া হবে ৪ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ মার্চ দেওয়া হবে ৫ এপ্রিলের টিকিট, ২৭ মার্চ দেওয়া হবে ৬ এপ্রিলের টিকিট, ২৮ মার্চ দেওয়া হবে ৭ এপ্রিলের টিকিট, ২৯ এপ্রিল দেওয়া হবে ৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট, ৩০ মার্চ দেওয়া হবে ৯ এপ্রিলের টিকিট। তিনি আরও জানান, এবার প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। নন-এসি কামরায় মোট আসনের এক-চতুর্থাংশের সমান দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করা হবে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৫

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে নতুন ৩ জোড়া ট্রেন
রাজধানী থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজার পর্যন্ত আরও তিন জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেনগুলো চালুর তারিখ ঠিক করা না হলেও আগামী জুনের মধ্যেই এ রুটে ট্রেন সংখ্যা বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন। এ সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি নতুন ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বুড়িমারীর পথে নতুন আন্তনগর ট্রেন চালু হবে ১২ মার্চ। এ ছাড়া শিগগিরই নরসিংদী বা টঙ্গী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙার মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনাও আছে রেলের। বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু, চাহিদা অনেক বেশি থাকায় এসব ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় ভ্রমণকারীদের।  শনিবার (৯ মার্চ) রেল ভবনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় নতুন আরও একগুচ্ছ ট্রেন চালুর বিষয়টি জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক কামরুল আহসান। বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে ঢাকায় কর্মরত সড়ক, রেল ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিষয় নিয়ে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর)। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমরা রেলে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এবারের ঈদযাত্রা এবং টিকিট বিক্রির কার্যক্রম আরও ভালো হবে। কোনো ধরনের টিকিট কালোবাজারি হবে না। একই সঙ্গে রেলকে নিরাপদ বাহন করার জন্য যা যা করার, আমরা করছি।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে, এটা সত্য। তবে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের সবকিছুই খারাপ, এমনটা বলা কিন্তু ঠিক হবে না। রেলে অনিয়ম আছে, ভুল আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা বসে নেই।’  
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৬

আখাউড়ায় ইঞ্জিনে কাটা পড়ে রেলওয়ে কর্মচারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় লোকোমোটিভে ইঞ্জিনে কাটা পড়ে মো. রবিউল ইসলাম রবি (৪২) নামে রেলওয়ের এক কর্মচারী নিহত হয়েছেন।   রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিম খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার রাতে রেলওয়ে কলোনির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত রবিউল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারি প্রকৌশলির (কার্য্য) নিরাপত্তা প্রহরি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নড়াইল উপজেলার লোহাগড়া উপজেলায়। আখাউড়া রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মিঠুন দাস বলেন, নিহত রবিউল আমার অফিসে নিরাপত্তা চৌকিদার ছিল। রাতে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কিভাবে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে জানতে পারিনি। আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিম খন্দকার বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়