• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘স্বাধীনতার চাবি বন্ধক রেখে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবেশীর কাছে দেশের স্বাধীনতার চাবি বন্ধক রেখে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।  শুক্রবার (৩ মে) ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চাবি প্রতিবেশীর কাছে বন্ধক রেখে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। আজ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন, তাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি বলেছেন, পঁচাত্তরের পর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে। আপনি কি স্বীকার করে নিলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচন ঠিক ছিল না? তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো ডামি নির্বাচন। আমরা আর মামুরা নির্বাচন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মানুষ এ নির্বাচনকে ধিক্কার জানাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা মিথ্যা কথা বলে কোনো না কোনোভাবে কলঙ্কের ভাবমূর্তি লুকাতে চাচ্ছেন। কিন্তু প্রযুক্তির এ যুগে কোনো কিছুই লুকানো যায় না। তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে, এখন বসে থাকার কোনো উপায় নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সারাদেশে বিপুল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র ফেরাতে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নেতাকর্মীরা অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিপীড়ন-নির্যাতন করে, খুন করে, গুম করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না।
০৩ মে ২০২৪, ১৭:৩৯

শ্রাবণের বৃষ্টিধারার মতো অনর্গল মিথ্যা বলছেন আ.লীগ নেতারা: রিজভী
ওবায়দুল কাদের ও অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  বৃহস্পতিবার (২ মে) পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তরের বাড্ডা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।   বিএনপি নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়। আসলে বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, বিএনপি নেতারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা ও তাদের স্বজনরা। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হতাশা থেকে শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন। শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে সে টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয় স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কোনো জুলুম নির্যাতনের কাছে মাথানত করবো না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের কল্যাণে কিছুই করেনি। বরং শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবিতে, বেতনের দাবিতে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে চারজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিক নেতা আমিনুল হককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। রানা প্লাজায় হাজারো শ্রমিক হতাহত হলো, তাজরিন গার্মেন্টসে ১০০ শ্রমিক প্রাণ হারালো সেগুলো মানুষ ভুলে যায়নি। দেশে যে তাপদাহ চলছে তার জন্যও আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেন রিজভী। তিনি বলেন, আজ এক একমাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি। এগুলো হলো চেইন রিঅ্যাকশন। জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপন, সেচ ব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।  
০২ মে ২০২৪, ১৪:৫৬

শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১ মে) চলমান তাপপ্রবাহ ঘিরে পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অতি বাম আর অতি ডানরা আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় না। এ দেশের মানুষই আপনাকে আর সিংহাসনে দেখতে চায় না। কারণ আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন, জনগণ আপনাকে ভোট দেয়নি। অতিরিক্ত ভারত প্রীতি ও জুলুম নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ আগের রাতে ভোট কেটে নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল। বিএনপির মতো এত বড় রাজনৈতিক দলকে ৫টি সিট ধরিয়ে দিয়েছিল। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম, নির্যাতন করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কবরবাসীদের নামে, হজ্ব পালনরতদের নামে, মৃত্যু শয্যায় থাকা নেতাকর্মীদের নামেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে। গুম খুন করে ভোট ডাকাতি করেছিল তারা। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, বর্তমানে যে ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে তা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এটি ক্ষমতাসীনদের অপরিকল্পিত উন্নয়নের সৃষ্ট দুর্যোগ। তথাকথিত উন্নয়নের নামে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল নির্মাণ, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে শুধু লুটপাট করা হয়েছে। আর সে টাকা বিদেশে পাচার করে অট্রেলিয়া, দুবাই, কানাডায় সেকেন্ডহোম তৈরি করা হয়েছে।  তিনি বলেন, এভাবে জুলুম করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। জনগণ এই সরকারের পতন চায়।  খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাবেক মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।  
০১ মে ২০২৪, ১৫:১৮

গাছ কেটে বিষাক্ত নগরে পরিণত করেছে সরকার: রিজভী
দেশের বন-বাগান উজাড় করে তথাকথিত উন্নয়নের নামে গাছপালা কেটে এক বিষাক্ত নগরে পরিণত করেছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী দল আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে এটি তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। আর বাদবাকি মানুষ বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। ওরা যেভাবে বলবে, সেভাবেই চলবে।  তিনি বলেন, মানুষের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই। বিচারপতিরা আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার ভাষায় কথা বলে। পুলিশ যুবলীগ-ছাত্রলীগের ভাষায় কথা বলে। তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? তিনি আরও বলেন, দেশটা তাবদাহে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার। এটি সরকারের ভুল নীতির জন্য। সরকার তথাকথিত উন্নয়ন দেখানোর জন্য প্রকৃতির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে দিয়েছে কৃত্রিমভাবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি ইমতিয়াজ বকুল, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

‘দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায় সরকার’
সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তথাকথিত উন্নয়নের নামে সরকার গোটা দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে। সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। তীব্র গরমে ইতোমধ্যে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন মারা গেছে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের এই দুঃসময়ে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এদেশে নাকি অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ কী করেছে?’ তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর পুলিশের সহায়তায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকার ঘটিয়েছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ যা করছে পুলিশও তাই করছে। সেভাবেই পুলিশকে গড়ে তুলেছে শেখ হাসিনা সরকার। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা সত্যের পক্ষে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ান। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে বেনজীর আহমেদ, আসাদুজ্জামানদের ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৯

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ (উপজেলা চেয়ারম্যান), রাঙামাটি জেলা কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী (উপজেলা চেয়ারম্যান) এবং শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নম্বর পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা সোনাহার (ভাইস চেয়ারম্যান)। এর আগে, শুক্রবার একই কারণে ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। তাদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রার্থী হয়েছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৬

‌উন্নয়নের ভেলকিবাজীতে দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী
সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজীতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) শান্তিনগর এলাকায় পথচারী ও রিকশা শ্রমিকদের মধ্যে বোতলজাত পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য গাছপালা কেটে, নদী-নালা, খাল ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে সরকার। সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের জন্য দায়ী সরকার।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সামান্য লোভ বা চাপে সরকারের পক্ষ হয়ে নির্বাচনে যাবেন না। দেশের মানুষ এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যায়নি, যাবেও না। তাই দেশের স্বার্থে ও মানুষের অধিকার আদায়ে নির্বাচন বর্জন করুন।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনও সুযোগ আছে যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’ এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রহিম, যুবদলের এজমল হোসেন পাইলট, মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কায়সারসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮

ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত। অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গাছপালা বন-জঙ্গল উজাড় করে, নদী নালা ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশকে এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সারাদেশে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে মিরপুরে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন ‘তার বাবা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে’। তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তো বাকশাল, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। সেদিনতো ৪টি পত্রিকা বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে বায়তুল মোকাররমে ফল বিক্রি করতেন। বর্তমানে বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে আবারও ভয়ংকর বাকশাল কায়েম করেছেন। বিপদজনক বাকশাল কায়েম করেছেন। আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে ও মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারে না। সংসদকে পরিণত করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট হাউজে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে আমার ভাইদের জীবন দিতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর লুটপাটরে মাধ্যমে দেশটাকে উজার করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশকে বানানো হয়েছে লীগময়। সত্য বললেই জেলে পুড়ে দেওয়া হয়।  এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় সদস্য তাবিথ আউয়াল, মহানগর উত্তর বিএনপির আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তফা জামান, আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান), মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬

উপজেলা পরিষদেও হচ্ছে ডামি নির্বাচন : রিজভী
দেশে উপজেলা পরিষদেও জাতীয় নির্বাচনের মতো ডামি নির্বাচনের আয়োজন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজ সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারাও সুযোগ পাচ্ছেন না। মন্ত্রী-এমপিদের ভাই, শালা, ভাগনে, ভায়রাদের কারণে জিম্মি স্থানীয়রা। এমপি রাজত্বের কারণে জিম্মি গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তীব্র তাপদাহে বোতলজাত পানি, স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রফিকুল আলম মজনু সঞ্চালনা করেন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।  রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বারবার বলেছেন, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন না। কিন্তু গণবিরোধী সরকার বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে গলাচিপা, বাউফলে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেছেন। আওয়ামী গোষ্ঠী রেশনিং কার্ডও দলীয়করণ করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে জিয়াউর রহমান রেশনিং ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিলেন। আজ দেশের অর্থনীতিকে লুট করে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। মুখে স্বয়ংসম্পূর্ণের কথা বলে আবার রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। তা-ও সাধারণ মানুষের আওতায় নয়। তিনি বলেন, আজ মানুষ পেটভরে ভাত খেতে পারছে না। সন্তান বিক্রি করে পেট চালাতে হচ্ছে। কারণ, প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ডলারের দামে আমদানি করতে হচ্ছে। মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে গেছে। রিজভী বলেন, ফরিদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে ২ হাজার কোটি টাকা..., সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই নাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এই আলাদীনের চেরাগ কই থেকে আসলো। কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়ায় এত বাড়িঘরের মালিক কীভাবে হলেন? একসময় আজিমপুর কবরস্থানে যেতে হবে, সেটা তারা ভুলে গেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন বিএনপির কর্মসূচির দিন কেন আপনারা পাল্টা কর্মসূচি দেন? তিনি বললেন, বিএনপিকে মানসিকভাবে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা পাল্টা কর্মসূচি দিই। এতেই প্রমাণ হয়, ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেন। উনি (ওবায়দুল কাদের) চাঁদাবাজ ও গুন্ডাদের গডফাদার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোহন প্রমুখ।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৩

যে কারণে ৬৪ নেতাকে বিএনপির শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন। নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দলটির সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ইতোমধ্যে ৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের শোকজের চিঠির উত্তর পাওয়ার পর দলীয় ফোরামের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া দলীয় পদে আছেন এমন সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। ৬৪ নেতাদের মধ্যে বহিষ্কার ৫ জন হলেন, নীলফামারী জেলাধীন জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (কমেট চৌধুরী), দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাদেক আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, সদস্য জহুরুল আলম এবং কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঈদগাঁ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়