• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘পহেলা মে রক্ত ঝরেছিল শিকাগোর রাজপথে’
পহেলা মে আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। বুধবার (১ মে) এক যুক্ত বিবৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান তারা। বিবৃতিতে তারা বলেন, আজকের এই দিনে আমরা পৃথিবীর সব মেহনতি মানুষদের অভিনন্দন ও তাদের সাথে সংহতি জানাই। আগে শ্রমজীবী মানুষকে যেখানে প্রতিদিনই কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হতো, কাজের অনুপাতে পারিশ্রমিক ছিল যেখানে অত্যন্ত নগণ্য, সে অবস্থায় সন্তানদেরসহ মানবেতর জীবন-যাপন ছাড়া তাদের আর কোনো গত্যন্তর ছিল না। ১৮৮৪ সালে শ্রমজীবী মানুষেরা যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে বিরাট সমাবেশ করে মালিক পক্ষকে কাজের সময় কমিয়ে দৈনিক ৮ ঘণ্টা করা ও সাপ্তাহিক ১ দিন ছুটি দেয়ার দাবি করে। কিন্তু মালিক বা সরকার কেউ এ দাবি মেনে নেয়নি। শ্রমজীবীরাও মরণপণ আন্দোলন শুরু করে। ১৮৮৬ সালের মে মাসে শিকাগোর হে মার্কেট এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরাট সমাবেশে পুলিশ গুলি করে। পরপর কয়েকদিন ধরে শ্রমিকদের মিছিলে পুলিশ বারবার গুলিবর্ষণ করে। আন্দোলন করার ‘অপরাধে’ ৬ জন শ্রমিক নেতাকে ফাঁসি দেয়া হয়। কয়েকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। দুঃখে-অপমানে-অত্যাচারে একজন নেতা জেলের ভেতর আত্মহত্যা করে। এভাবে অত্যন্ত নৃশংসভাবে শ্রমজীবীদের এই আন্দোলনকে দমন করা হয়।  কিন্তু এই যৌক্তিক মানবিক আন্দোলন কালক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং এই দাবি সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের দাবিতে কমন দাবিতে পরিণত হয়। ১৮৮৯ সালে প্যারিসে ফরাসী বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তি উৎসবে শ্রমজীবী মানুষেরা শিকাগোর শ্রমিকদের আত্মত্যাগের স্মৃতিতে বিশ্ববাসীর কাছে ১৮৯০ সালের ১লা মে থেকে এই দিনটিকে ‘মে ডে’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করার প্রস্তাব করে। ১৮৯১ সালে এই প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক রূপ পায় এবং এর পর থেকে দিনটি সারা বিশ্বের মেহনতি মানুষের কাছে সংগ্রামের, কৃতজ্ঞতার ও শ্রদ্ধার একটি পবিত্র দিন হিসেবে পালিত হতে থাকে। শিকাগো ও পরবর্তীকালের সেই আন্দোলনের কারণেই আজ আমরা অশিক্ষিত ও শিক্ষিত শ্রমিক (যাদেরকে বলে ‘ব্লু কলার’ ও ‘হোয়াইট কলার’ ওয়ার্কার) নির্বিশেষে সবাই দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করার ও একদিন সাপ্তাহিক ছুটির অধিকার পেয়েছি, মেহনতি মানুষকে ‘মানুষ’ বলে গণ্য করার ‘নিয়ম’ পেয়েছি। ১৯২৩ সাল থেকে ভারতবর্ষে এই দিনটি পালিত হয়। বাংলাদেশেও এই দিনটি দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই রাষ্ট্রীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পৃথিবীর সব শোষিত মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালেই জাতিসঙ্ঘের অঙ্গসংগঠন ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আই এল ও’- এর সদস্যপদ লাভ করে। বঙ্গবন্ধু সরকার শ্রমজীবীদের স্বার্থরক্ষায় এই সংস্থার ৬টি ভিত্তি নীতিমালার এবং ২৯টি সনদের সবগুলোতে স্বাক্ষর করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশ শ্রমজীবীদের অধিকার বিষয়ক এই সনদগুলোতে স্বাক্ষর করেছে।
০১ মে ২০২৪, ২৩:৩২

দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিট রক্ত সরবরাহ করেছে কোয়ান্টাম
দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করে মুমূর্ষু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী রক্তদানের সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ২০০০ সালে ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ২৪ বছরে সংগঠনটি মোট সরবরাহ করেছে ১৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬৩ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী। একজন মানুষের মধ্যে মানবিক গুণ জাগ্রত হলেই রক্তদানের মতো এমন মহত কাজ করতে পারেন।  আলোচকরা জানান, নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা রক্তদাতার সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিট রক্ত দিয়ে সেবা করতে পারার জন্যে কোয়ান্টাম ল্যাবের পক্ষ থেকে সকল স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা। একই সাথে কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন- এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধান অতিথি এসময় তাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।  কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে তরুণ স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক এ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আলোচকরা।  প্রসঙ্গত, নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্তমানে গড়ে প্রতি মাসে ২ হাজারেরও বেশি নতুন রক্তদাতাকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে মানবিক সংগঠন কোয়ান্টাম। আর সারা বছর মুমূর্ষু মানুষের সেবায় কোয়ান্টামের সরবরাহ গড়ে ১ লক্ষেরও বেশি ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২১

রোজা রেখে রক্ত দেওয়া যাবে কি না, জেনে নিন
রক্তদান নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কারণ, আপনার দেওয়া রক্তে বেঁচে যেতে পারে কারও প্রাণ। রোজা রেখে রক্তদান করার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিষেধ নেই। অনেকেই এ সময়ে রক্ত দেওয়া নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তবে রোজা থাকা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত দিলে রোজা ভাঙে না। কারণ, এখানে রক্ত বের করে নেওয়া হচ্ছে, দেওয়া নয়।  রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। তবে কেউ যদি শারীরিকভাবে এমন দুর্বল হয় যে, রক্ত দিলে সে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলবে, তাহলে তার জন্য রক্ত দেওয়া মাকরুহ। আহসানুল ফাতাওয়া: ৪/৪৩৫ হজরত আকরামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) হজের জন্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন এবং রোজা অবস্থায়ও শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন। তাছাড়া রক্তদান একজন রোগীর সেবার অন্তর্ভুক্ত। কারণ পবিত্র কোরানে আছে, যে ব্যক্তি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল। তবে রোজা রেখে রক্তদান করলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে রক্ত দেওয়ার পর রক্তদাতা শারীরিক সমস্যায় না পরেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতামত অনুযায়ী একজন সু-সবল ব্যক্তির শরীরে প্রায় ১ থেকে দেড় লিটার বাড়তি রক্ত থাকে, তাই যেকোনো জরুরি অবস্থায় রক্তদান করলেও শরীরে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়ে না। অবশ্য এই পরিমাণের চেয়ে বেশি রক্তক্ষরণ হলে অন্য কথা। রক্তদান-পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তিন-চার লিটার পানি বেশি খেলে, রক্তদানজনিত ভলিউম–স্বল্পতা কেটে যায়। তবে কেউ যদি শারীরিকভাবে দুর্বল থাকে, মনে করেন যে তিনি রক্ত দিলে রোজা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেলবেন, তাহলে তাঁর জন্য ইফতারের পর রক্ত দেওয়া বাঞ্ছনীয়।  আমরা জানি, স্বাভাবিক প্রবেশপথ দিয়ে পেটে বা মস্তিষ্কে কোনো কিছু গেলে রোজা ভেঙে যায়। কিন্তু শরীর থেকে কোনো কিছু বের হলে রোজা ভাঙে না। তাই দুর্ঘটনায় পড়ে, হাত-পা ভেঙে বা কেটে রক্ত বের হলে রোজা ভাঙবে না। রক্ত গড়িয়ে পড়লে অজু ভঙ্গ হয়, রোজা নয়। রক্তদানের পর রক্তদান কেন্দ্রে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে রক্তের ভলিউম ঠিক হয়ে যায়। এই বিশ্রামে শরীর ঝিমঝিম করা, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। রোজার দিনগুলোয় রক্তদানের পর ২-৪ ঘণ্টা ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যেমন শারীরিক পরিশ্রম, সাইকেল চালানো, অধিক উচ্চতায় কাজ করা ইত্যাদি। রক্তদান পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা তরলজাতীয় উপাদান যেমন ডাবের পানি, ফলের রস, খাওয়ার স্যালাইন, নরমাল পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ লিটার বেশি খেতে হবে। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ একজন ব্যক্তি রক্তদানের জন্য উপযুক্ত। রক্তদানের আগের রাতে ৬-৮ ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারপরও কোনো রকম অসুবিধা হলে রক্তদান কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অতএব রক্তদানে রোজা ভেঙে যাওয়ার কোনো প্রকার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে মানবসেবার তরে রমজান মাসে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। এতে করে রোজার সওয়াবের পাশাপাশি মানবসেবার সওয়াবও পাওয়া যাবে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:১০

‘মা-বোনের সম্মানের জন্য আমি রক্ত দিয়েছি’
মা-বোনের সম্মানের জন্য আমি রক্ত দিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লী‌গের সভাপ‌তি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। শুক্রবার (৮ মার্চ) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বই উৎসবে এ কথা ব‌লেন বঙ্গবীর।  কাদের সিদ্দিকী বলেন, মা-বোনের সম্মানের জন্য আমি রক্ত দিয়েছি। আজকে আমার বোন বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী। মেয়েরা লাঞ্ছিত হয় কিন্তু তার বিচার হয় না। নারীর ওড়না বা শাড়ির আঁচলে স্পর্শ করা আমার কাছে হত্যার চেয়ে বড় অপরাধ। এটা আমার কথা, আবেগের কথা। অন্যেরা কীভাবে নেয় সেটি আমি জানি না। সখীপু‌রে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহবধূ নির্যাতনের বিষয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ব‌লেন, নারী নির্যাতনে জড়িত মুক্তা চেয়ারম্যানের পক্ষে এবং বিষয়টি মিটমাট করতে যত আওয়ামী লীগের লোক আমার কাছে এসেছেন। গত ১৫-২০ বছরেও এত লোক আমার কাছে আসেননি। চেয়ারম্যান হলেই কারো বুকে লাথি মারতে পারবে, মেয়ের গায়ে হাত দিতে পারবে তা মেনে নেওয়া যায় না।  বই উৎসব অনুষ্ঠানে আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাজাহন আনছারী, জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ. কে. এম শামিমুল আকতার শামিম, ছায়ানীড়ের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।  বই উৎসবে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কবিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪০

ঢামেকে রোগীদের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে মাদকাসক্তদের রক্ত : র‍্যাব
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেকে) হাসপাতালে রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হলে টাকার বিনিময়ে জোগাড় করে দেয় সক্রিয় দালাল চক্র। তবে বেশির ভাগ রক্ত তারা জোগাড় করে হাসপাতালের আশপাশে থাকা ভবঘুরে ও মাদকাসক্তদের থেকে। ফলে জীবন বাঁচাতে গিয়ে রোগীদের সরিরে মিশে যাচ্ছে মাদকাসক্তদের রক্ত।  এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৪ মার্চ) ঢামেক হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৫৮ জন দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। অভিযান শেষে ঢামেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা মেডিকেলে রোগীদের জিম্মি করে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সেই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে র‍্যাব অধিনায়ক জানান, সোমবার ৬৫ জন দালাল আটক করেছেন তারা। এদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১৫ থেকে এক মাস করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই দালালরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে, জরুরি বিভাগে, বহির্বিভাগে, ব্লাড ব্যাংকে রোগীদের জিম্মি করে। আবার মেডিকেলের ভেতরে অসহায় রোগীদের জিম্মি করে ছিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য লেনদেন করে। কর্নেল আরিফ আরও বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছিলাম। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতেই উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এসব দালাল চিহ্নিত করেছি। আজকে আমরা অল্পসংখ্যক দালাল ধরেছি। এ সংখ্যাটা আরও বেশি হবে। এদের বড় একটি চক্র আছে। শুধু ঢাকা মেডিকেলেই ১৫০ থেকে ২০০ দালাল আছে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৬

রক্ত দেখে টাকা না নিয়েই পালিয়ে যায় তরিকুল
অনলাইনে জুয়া খেলে টাকা দেনা হয়ে যায় তরিকুল। তখন টাকা জোগাড় করতে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট শরীফ খানকে হত্যা করে টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী টাকা লোড দেয়ার কথা বলে ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যা করে শরীফকে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ীর কালুখালি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় জেলা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে সহকারি পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মোবাইল ব্যাংকের এজেন্ট ব্যবসায়ী শরীফ খানের মরদেহ পাওয়া যায় কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের রূপসা স্লুইসগেট বাজারে৷  শরীফ খানের বাড়ী একই ইউনিয়নের পশ্চিম ধানবাড়িয়া গ্রামে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ তরিকুল ইসলামকে (২০) গ্রেপ্তার করে।  পুলিশের কাছে তরিকুল স্বীকার করে অনলাইনে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল সে। জুয়ায় অনেক টাকা হেরে যায় তরিকুল। তখন জুয়ার টাকা জোগাড় করতে ব্যবসায়ী শরীফ খানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকাণ্ডের পরে রক্ত দেখে তরিকুল শরীফের পকেট থেকে টাকা না নিয়েই চলে যায়। পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়। শরীফের বড় ভাই লতিফ খান বলেন, আমার ভাই সিলেট এলাকায় ফার্নিচারের কাজ করতেন। বছরখানেক ধরে এলাকায় এসেছেন। একটি দোকান ভাড়া নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং ও লোডের ব্যবসা করতেন। কারও সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না। টাকার লোভে আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভাইয়ের খুনির ফাঁসি চাই। সংবাদ সম্মেলনে সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, কালুখালি থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপসা স্লুইস গেট বাজার এলাকায় থেকে ব্যবসায়ী শরীফ খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়