• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।  বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলcjg কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটের কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডদের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে।  এর আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যান্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮

মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক বুধবার (২৪ এপ্রিল) নৌপথে বাংলাদেশে ফিরেছেন। বুধবার বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে তারা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাটে এসে পৌঁছেছেন।  এছাড়া, মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্য মিয়ানমারে ফিরবেন আগামীকাল (২৫ এপ্রিল)।  কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যাগমনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন বাংলাদেশে এসেছে এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে।  বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিকট প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় উক্ত নাগরিকগণের বাংলাদেশে যাচাই কার্যক্রম অতিদ্রুত শেষ করা হয়। প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন, এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাইকৃত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি প্রদান করে। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের্র প্রতিনিধি মিয়ানমার  কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে সমন্বয় সাধণ করেন। কক্সবাজার সদরের  স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে । প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।  জাহাজযোগে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা আজ বুধবার বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করবে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আগত বিজিপি সদস্যদের নিকট আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যান্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে  এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।   
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

পালিয়ে আসা ২৮৫ সীমান্তরক্ষীকে ফেরত নিচ্ছে মিয়ানমার
সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হামলা থেকে বাঁচতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ২৮৫ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে কয়েকটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র অহমিয়া ভাষায় রূপান্তরিত সংস্করণ, আসামের কবি ও গবেষক ড. রীতা চৌধুরী রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জিরো আওয়ার’ এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবন জোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দিনে মিয়ানমার থেকে ২৮৫ বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ২২ এপ্রিল নৌপথে ফেরত দেওয়া হবে। একই দিনে মিয়ানমারে আটকা পড়া ১৫০ বাংলাদেশি ফেরত আসবে ।’ শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি এখন বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন, তার মতো নেতৃত্ব সারাবিশ্বে বিরল। বিদেশি নেতারা তার প্রসংশা করে চলেছেন।’   হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন, আপনি শুধু আমারই নন, আমার পরিবারেরও অনুপ্রেরণা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, ‘আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’   পাকিস্তানের নেওয়াজ শরিফও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।   শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সব বাধাকে প্রতিহত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাকে বারবার জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া হত্যার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছেন।  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৫

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, নাফ নদী সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এসময় তারা কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড বিজিপি সদস্যদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১৩ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে মোট ২৭৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে আছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২

ফের মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে বিজিপির ৯ সদস্য
রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিএসএফ) আরও অন্তত ৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফে বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আজ সকালে ২ দফায় টেকনাফের খারংখালী সীমান্ত দিয়ে নয়জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র-গুলি ও গ্রেনেডসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বিজিবি তাদের অস্ত্র ও গুলি জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজিপির ২ সদস্য আহত অবস্থায় বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত ১১ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তারা এখনো নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির হেফাজতে আছেন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬

‘মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না’
মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’ এর তৃতীয় দিনের কার্য অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে আমাদের ওপর আগ্রাসনের কোনো আশঙ্কা দেখি না। তারপরও আমরা প্রস্তুত। আমরা বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করবো। আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না। তিনি বলেন, মিয়ানমারে বিভিন্ন বহিঃশক্তি সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। কোথাও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে সবাই এখন নাক গলাতে চায়। আমরা ওই ব্যাপারে (মিয়ানমার পরিস্থিতি) মোটেও নাক গলাতে চাই না। আমাদের জনগণ যাতে শান্তিতে থাকে এবং রোহিঙ্গা যারা আছে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সজাগ থাকি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে, আমরা বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করবো, আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না। এজন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি অনেক উদ্বেগজনক। ওখানে সিভিল প্রশাসন যেমন সম্পৃক্ত, তেমনি বিজিবিও সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী ততটা সম্পৃক্ত নয়। কারণ, এখনও যুদ্ধ লাগেনি যে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমরা কোনো সময় আগ্রাসী ভূমিকা নেবো না। কিন্তু আমরা প্রস্তুত, আমাদের ওপর যদি কোনো রকম আক্রমণ আসে, আমরা ব্যবস্থা নেবো। এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এটা তো পরিকল্পিত কিছু না। এখানে দুই পক্ষেরই দোষ থাকে। আমাদেরও দোষ, বর্ডারের ওপারে যারা থাকে তাদেরও দোষ। এটাকে কিলিং না বলে ইনসিডেন্ট বলা যায়। চোরাচালানকারিরা এতটাই ফেরসাস হয় যে, মাঝে মধ্যে তারা বিএসএফকে আক্রমণ করে বসে। তখন তারা গুলি করতে বাধ্য হয়। আমাদের পক্ষ থেকেও গুলি হয় মাঝে মধ্যে। ডিসিদের হেলিকপ্টার ব্যবহারের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা হেলিকপ্টার ব্যবহার অনেক কমিয়ে দিয়েছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তেলের ওপর প্রভাব পড়েছে। যার কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসিরা বলছিলেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী পান না। এটা হয়তো সাময়িক। তবে যেকোনো সময় যে কারও অসুবিধা হলেই হেলিকপ্টার সাপোর্ট দেওয়া হবে। সিভিল মিলিটারি রিলেশনশিপের (সিএমআর) বিষয়ে তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, সিএমআর যেন আরও উন্নত হয় সেজন্য আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে। এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবো। ওনারাও (ডিসি-বিভাগীয় কমিশনার) চাচ্ছে আমাদের কাছাকাছি আসতে, আমরাও চাচ্ছি ওনাদের কাছাকাছি যেতে। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্য অনেক বেশি। ওনারা আমাদের এখানে ট্রেনিং করতে আসেন, আমরাও যাই। এতে আমাদের বন্ধুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনে বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে।   
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে মিয়ানমার সরকার
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের কথা বলে সেনাবাহিনীতে নিচ্ছে জান্তা সরকার। এ জন্য অনেক গ্রাম এবং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা পুরুষদের ধরে আনা হচ্ছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যেসব রোহিঙ্গা পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের এক বস্তা চাল, নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেওয়া হবে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির কাছে হারানো শহরগুলো পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে রোহিঙ্গা পুরুষদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। জান্তার পক্ষে যুদ্ধে যোগদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প এবং গ্রাম থেকে ৪০০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জান্তা বাহিনী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকলের তালিকা তৈরির জন্য বুচিডং, মংডু এবং সিত্তের গ্রাম প্রশাসক ও নেতাদের চাপ দিয়েছে।এরমধ্যে ছোট গ্রাম থেকে অন্তত ৫০ জন, বড় গ্রাম ও প্রতিটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অন্তত ১০০ জনের তালিকা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান বলেছেন, প্রশিক্ষণের সময় মাত্র দুই সপ্তাহ। যাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের জান্তা বাহিনী শুধুমাত্র মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি বুধবার পর্যন্ত সিত্তের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৩০০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর আগে বুচিডং থেকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শতাধিক মুসলিম রোহিঙ্গা পুরুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব নারী-পুরুষের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৭

এবার বুড়ো ঘোড়াদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছে মিয়ানমার জান্তা!
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও জাতিগত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত প্রকট আকার ধারণ করেছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের আক্রমণে একের পর এক ঘাঁটি হারিয়ে কোণঠাসা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা; পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে বহু জান্তা সৈনিক। এ অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের আবারও যুদ্ধের ময়দানে ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় এবার রিজার্ভ ফোর্সেস আইন সক্রিয় করেছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। আর এর মাধ্যমে অবসরে চলে যাওয়া প্রবীণ সেনা সদস্যদের আবারও যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা পেয়েছেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং। জান্তা প্রধান গত মঙ্গলবার বলেছেন, প্রবীণ সেনাদের ইচ্ছাতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওইদিন বৈঠকে তিনি আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যরা জাতীয় প্রতিরক্ষার স্বার্থে আবারও দায়িত্বে ফিরতে চান। জেনারেল মিন অং হ্লাইং মিয়ানমার ওয়ার ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনেরও সভাপতি। মঙ্গলবারের সেই বৈঠকের পর একইদিন রাতে তিনি আইনটিতে স্বাক্ষর করেন। মূলত ‘রিজার্ভ ফোর্সেস ল’ আইনটি ২০১০ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক থান শোয়ের নেতৃত্বাধীন জান্তা সরকার জারি করেছিল, কিন্তু কখনও ব্যবহার করা হয়নি। এবারই প্রথম আইনটি সক্রিয় করা হলো। মিয়ানমার ওয়ার ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মিয়ানমারের এই সংগঠনটির দেশব্যাপী ৯১ হাজার ৬৭৭ সদস্য এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭২ জন সহায়ক সদস্য ছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ৩৩০টি শহরের মধ্যে ৩০৮টিতে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে। জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেন, অবসরে যাওয়া সমস্ত প্রবীণ সৈনিককে সক্রিয় দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। যারা যোগ্য এবং উপযুক্ত তাদেরই যুদ্ধের ময়দানে ফেরত পাঠানো হবে। এর ব্যাখ্যায় জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুনকে উদ্ধৃত করে জান্তা মিডিয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা গত পাঁচ বছরে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণের অনুমতি পেয়েছে তারা রিজার্ভ ফোর্সে কাজ করার জন্য বাধ্য। তবে, তাদের সবাইকে সক্রিয় দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। যাদের সত্যিকার অর্থে দেশের জন্য প্রয়োজন তাদেরকেই ‘সেবা করার’ অনুমতি দেওয়া হবে।’ এই আইনের অধীনে সাবেক সব সামরিক কর্মীকে পাঁচ বছরের জন্য রিজার্ভ বাহিনীতে কাজ করতে হবে। তবে সামরিক বাহিনীর প্রধান ‘রাষ্ট্রের স্বার্থে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তাদের চাকরিতে বাধ্য করতে পারবেন। আইনে অবশ্য তাদের সেবার মেয়াদ কতদিন বাড়ানো যাবে তা বলা হয়নি। শুধু তাই নয়, রিজার্ভ ফোর্সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তিন বছরের জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন সাবেক সেনা সদস্যরা। ইরাবতী বলছে, যাদের ফ্রন্টলাইনে ফেরত পাঠানো হবে তারা তাদের পেনশনের পাশাপাশি সামরিক প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য সুবিধা পাবেন। অবসর গ্রহণ বা পদত্যাগ করার সময় যারা যে পদে ছিলেন তাদের একই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও আইনে বলা হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে একের পর এক যুদ্ধে তাদেরকে পরাজিত হতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে মিয়ানমারে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে দেশটির জান্তা সরকার। নতুন সেই ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। আর নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছরেরে মধ্যে, তাদেরকেও একই মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতে হবে। এ বিষয়ে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি জান্তা সরকার। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে জাতগত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর কাছে একের পর এক শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল জান্তা সরকার। সম্প্রতি সেই জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা বাহিনীর ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে যুদ্ধ ও সহিংসতা চলে আসছে। এসব সহিংসতায় এ পর্যন্ত দেশটির হাজার হাজার নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মূলত স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘাত চলমান থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ের মতো এতোটা চ্যালেঞ্জের মুখে আর কখনও পড়েনি দেশটির জান্তা বা সামরিক শাসকরা।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬

ভেঙে পড়েছে মিয়ানমার সেনা ঐক্য, বাড়ছে আত্মসমর্পণ
মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির প্রবল আক্রামণে টিকতে না পেরে দেশটির সেনাবাহিনীতে ঐক্য ভেঙে পড়েছে। অনেকের মনোবল ভেঙে গেছে। এর ফলে বাড়ছে আত্মসমর্পণের ঘটনা। অন্তত ৩০ জনের বেশি সেনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্ট। গত বছরের ২৭ অক্টোবর ‌‘১০২৭’ নামে অপারেশন শুরুর পর থেকে গত তিন মাস ধরে আত্মসমর্পণ কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা জানান, বিদ্রোহী আক্রমণের ফলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে গেছে। একই সঙ্গে তারা অস্ত্র সংকটেও ভুগছেন। যা তাদের ব্যাপকভাবে আত্মসমর্পণে বাধ্য করছে। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক যুদ্ধক্ষেত্রের সাফল্য কেবল অঞ্চল দখলেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামরিক জান্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সংহতিকেও ক্ষুণ্ন করছে। এদিকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী হারানো সেনা ঘাঁটতি পূরণ করতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে জান্তা সরকার। আগামী এপ্রিল থেকে যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে গত পাঁচ বছরের মধ্যে যারা অবসরে গেছেন, তাদেরও সেনাবাহিনীতে আবার যোগ দিতে হবে।  গত শনিবার জান্তা সরকার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের অন্তত দুই বছর বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে– এ-সংক্রান্ত একটি আইন ঘোষণা করে। যা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, যোগদানের ক্ষেত্রে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। প্রতি ধাপে লোক নিয়োগ হবে ৫ হাজার।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮

পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের দু-এক দিনের মধ্যে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সৈন্যদের জাহাজযোগে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছেন। এখন রোহিঙ্গা বা যেই আসুক না কেন, মিয়ানমার থেকে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমানায় আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারণা করছি দু-একজন সেনা সদস্য আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন, কেউ অস্ত্র ছাড়া ঢুকেছেন। তবে তারা এসেছেন জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য না। ‘এরপর আমাদের বিজিবি সদস্যরা তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছেন। এদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে জানিয়েছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার অতি শিগগিরই জাহাজযোগে তাদের নিয়ে যাবে বলে বার্তা পাঠিয়েছে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যেই তাদের সদস্যদের ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনো রকম যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা অন্য যে কেউ আসুক, মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর এখানে সেটেল হতে দেবো না।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়