• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সরকার ব্যস্ত বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় : ভিপি নুর
কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পায় না।অন্যদিকে সরকার বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টাউন ক্লাব মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নাগরিক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। ভিপি নুর বলেন, কয়েকজন শিল্পপতি দেশের ৮৫ ভাগ সম্পদের মালিক। কৃষি পণ্যের দাম না পেয়ে কৃষক পণ্য রাস্তায় ফেলে দেয়। কৃষকরা যদি উৎপাদন না করে তখন সাধারণ মানুষের কি হবে। সেদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই, সরকারের খেয়াল শুধু শিল্পপতিদের স্বার্থ রক্ষায়। এ সময় ভিপি নুর আরও বলেন, বিনাযুদ্ধে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দেওয়া, নির্বাচন বর্জন করতে করতে বিরোধী দল রাজনীতির মাঠ থেকে আউট হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। এ সময় গণঅধিকার পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি আল-আমিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এম রহমান শামীম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওবায়েদ পাঠানসহ আরও অনেকে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৮

চাল-মোবাইল ব্যবসায়ীদের নিয়ে কমিটি, ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যদের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা করেন। কমিটিতে সভাপতি পদে হৃদয় আহমেদ, সহসভাপতি পদে সাদ্দাম হোসেন, শেখ এমরানুল ইসলাম, সুহেল রানা, জাকারিয়া ভূইয়া, মো. আব্দুল্লাহ ও শিপন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী (রাব্বী), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হাবিব শাহিন, এইচ এম সুমন, আশরাফ চৌধুরী চাঁদ ও শাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদ ভূইয়া, গোলাম আবু নিশাদ ও মো. সজীব ভূইয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।  বিকেলে কমিটি ঘোষণার আধা ঘণ্টার ভেতরেই নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি শেখ এমরানুল ইসলাম অব্যাহতি নেন। তিনি সদ্য বিলুপ্ত হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নবগঠিত কমিটি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা জানান। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, চাল ব্যবসায়ী সভাপতি, মোবাইল বিক্রেতা সাধারণ সম্পাদক, স্ক্যান্ডালার ও বিবাহিত ভাইদের বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে আসার জন্য অভিনন্দন! ছাত্রলীগের আদর্শ বজায় না রেখে ব্যবসায়ী ও বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি দেওয়ার কারণে- বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগ থেকে আমি শেখ এমরানুল ইসলাম অব্যাহতি নিলাম! শেখ এমরানুল ইসলাম অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি আর ছাত্রলীগে ফিরে যাব না। যারা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির সভাপতি চাল ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি পদে আছেন, আর সাধারণ সম্পাদক রাব্বি মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। এ ছাড়া রাব্বি সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ছিলেন। পাশাপাশি যুগ্মসম্পাদক পদে রাখা হাবিব শাহীন নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ভাইরাল হয়েছিলেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, তার অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ সত্য নয়। সভাপতি হৃদয়ের বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার বাবার ব্যবসায়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। রাব্বি ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা পদে আর নেই। তবে তাদের দুজনের ছাত্রত্ব আছে। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৩

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্যাংককের স্থানীয় একটি হোটেলে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহবান জানান। বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব  মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ। সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি আগের দিন দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করতে লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার গুরুত্বের উপর জোর দেন।  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট ২০২৪ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধার আশ্বাস দেন। বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন। বিডা প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৪

গ্লোব শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থিত গ্লোব শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের মালিকানা হস্তান্তর, রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে গ্লোব শপিং সেন্টারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা জমির মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানি গ্লোব কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের চলমান বিরোধ অবিলম্বে নিরসনের দাবি জানান। মানববন্ধনে গ্লোব শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী ও মার্কেট কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। গ্লোব কনস্ট্রাকশন আমাদের দোকানের মালিকানা রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না। ভবনটিকে তারা নির্মাণাধীন দেখিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে দোকানের রেজিস্ট্রেশন ঝুলিয়ে রেখেছে। রেজিস্ট্রি করার দাবি জানালে আমাদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছি। এমনকি আমাদের ওপর একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলাও হয়েছে। এ সময় মার্কেটের অন্যতম ব্যবসায়ী সাইদুল আলম বলেন, গ্লোব শপিং সেন্টারের জমির মালিক খ্যাতিমান ফটোসাংবাদিক প্রয়াত জহিরুল হক। তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানেরা জমির মালিকানা পেয়েছে। ১৯৯৯ সালে গ্লোব কনস্ট্রাকশন লিমিটেডে সঙ্গে মার্কেট নির্মাণের চুক্তি হলেও অদ্যাবধি তারা ভূমি মালিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। জমির মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানির বিরোধে ভুক্তভোগী হচ্ছে নিরীহ ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে আমরা এই বিরোধের অবসান চাই।    
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫

সুনামগঞ্জে চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রিতে অপরাগতা জানিয়ে সুনামগঞ্জে দ্বিতীয়বারের মতো চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি।  রোববার (৩১ মার্চ) অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর ব্যবসায়ীরা। টানা দুই দিন ধরে মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় রমজানে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যয়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ে মুনাফা পাচ্ছেন না তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে মাংস বিক্রি বন্ধ রাখতে অনড় বাজারের ব্যবসায়ীরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি রাশেদ আলী বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের লস হচ্ছে। লস দিয়ে মাংস বিক্রি সম্ভব না। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে ৫০ টাকা বৃদ্ধির দাবি করেছি আমরা কিন্তু তিনি মানেননি। তাই মানুষের কষ্ট হলেও আমাদের করার কিছু নাই। এদিকে বাজারের আকস্মিকভাবে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় পোল্ট্রি মুরগি সহ সবধরনের মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা সিরাজুল ইসলাম পলাশ নামের এক ভোক্তা বলেন, মাংস ব্যবসায়িরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো দাম বাড়াতে চান। তারা সরকারের মূল্য মানেননা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একযুগে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ সমস্যা রয়েছে। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়িরা মাছ মাংসের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। মানুষ কোথায় যাবে? এই সমস্যার একটি সমাধান প্রয়োজন। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবি অযৌক্তিক জানিয়ে নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা রমজানে মাসে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত সানীর উদ্যোগে দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শুধু জেলা ও পৌর এলাকায় নয়, তারা ইউনিয়ন পর্যায়েও নিজেদের সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজের সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের লক্ষ্যে। আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমাদের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান, কোনো গোষ্ঠী কিংবা গুটি কয়েকজনের অপরাধের জন্য একটি সংগঠনের ঐতিহ্য একসাথে ধুলোয় মিশে যেতে পারে না। কাজেই তাদের যেসব ভালো কাজ আছে সেটাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে, ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ এবং অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সস্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরাফাত সানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকাল মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে না পারায় সুনামগঞ্জের অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে মাংস বাজার সমবায় সমিতি। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর সকল কসাইখানায় গরু মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন মাংস ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যায়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ব মুনাফা পাচ্ছেননা তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান বলেন, সরকার প্রতিকেজি মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বাজারে গরুর দাম বেশি। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের মুনাফা থাকে না গরু প্রতি ৫-১০ হাজার ঘাটতি পড়ে। এভাবে ব্যবসা করা যায় না। কেজি প্রতি ৫০ টাকা বাড়ানো না হলে আমারা কেউই মাংস বিক্রি করবো না।  এদিকে মাংস ব্যবসায়িদের এমন কর্মবিরতি পালনে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে মাংসবাজারে এসে মাংস না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। ব্যবসায়িদের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। শহরের আরফিন নগরের বেনু মিয়া বলেন, আমি বাজারে মাংস কেনার জন্যে আসছিলাম। এসে দেখি হঠাৎ মাংস বিক্রি বন্ধ। বাসায় মেহমান আসবে। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। পোল্ট্রি মোরগ কেনা ছাড়া উপায় নাই। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবির বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি করে বাজার স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী   
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

‌‘রমজানে রাজধানীর সড়কে ব্যবসায়ীদের বসতে দেওয়া হবে না’
রমজানে রাজধানীর সড়কে কোনো ব্যবসায়ী যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মুনিবুর রহমান বলেন, রমজান মাসে কোনো ব্যবসায়ী সড়কে যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রমজানে বিকেল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হয়। কিন্তু দেখা যায়, ইফতারের আগপর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টারসেকশনে অযাচিত যানজট তৈরি হয়। তাই অফিস ছুটির সময়, অর্থাৎ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় বাসার উদ্দেশে রওনার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়, যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয়। যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকে ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট-বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পাশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে যানবাহন অযাচিতভাবে ডিএমপি এলাকায় প্রবেশ করে যানজট তৈরি করে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের এ বিষয়ে কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি এলাকায় ভারী যানবাহন প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। অনেক সময় এই সময়সীমা না মেনে চালকেরা চলার চেষ্টা করেন, যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার বিষয়টি মেনে চলতে হবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৩

মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কীভাবে থামাবেন?
গরুর মাংস, দেশি পেয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মনিটরিংয়ে গেলে সেই দামে বিক্রির দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, সেই মূল্যের পণ্য কিনতে পারছেন না তারা। এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, অভিযান চালিয়ে চলে আসার পরে যদি ব্যবসায়ীরা আবারও দাম চড়িয়ে দেন সেক্ষেত্রে করণীয় ঠিক করতে পারছে না তারা। ফলে মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের নেওয়া নানাবিধ উদ্যোগের পরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই বাজার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারা এর ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৪৬ টাকা। তারা উৎপাদনকারী, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুনাফা যোগ করে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৭৫ টাকা। যদিও ঢাকার চারটি বাজার এবং বিভাগীয় শহরের বাজার ঘুরে গতকাল কোথাও নির্ধারিত দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায়নি।  বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামের কথা বলা হলে তারা বলেন, সেই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। লাভ থাকে না নাকি বেশি লাভ থাকে না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুরগি কেবল মুরগি না, সেটার সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত করে দাম নির্ধারণ করি আমরা। সরকারি সংস্থা বাজারে অভিযানে আসলে তারা কোন দামে বিক্রির কথা বলবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই তাদের ঠিক করে দেওয়া দামই উল্লেখ করা হবে। কিন্তু আমাদেরও পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে হয়। ওই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। তিন থেকে চার বছর ধরে তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ঢাকা শহরে। যিনি তরমুজ ফলাচ্ছেন, সেই কৃষক তো কেজিতে বিক্রি করছেন না। তিনি বিক্রি করছেন শ হিসাবে (১০০ পিস হিসাবে)। সে কৃষক থেকে পিস হিসেবে ক্রয় করে কেন সেটা কেজিতে বিক্রি করতে হবে ভোক্তাদের কাছে? কারওয়ানবাজারের থেকে একটু এগিয়ে এসে বাজারগুলোতে বেল এর দাম হাঁকেন বিক্রেতারা ৩শ টাকা। সম্ভব হলে পাশের দোকানের চেয়ে দুই টাকা হলেও বেশি দামে কোন সবজি বিক্রি করতে পারলে দোকানী খুশি হন।  কেনো একটি পণ্যের দাম একই থাকবে না এবং সেই বাজার ব্যবস্থাপনায় করণীয় কী তা নিয়ে কথা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান এর সঙ্গে। ব্যবসায়ীদের এই দ্বিচারিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করি। আমরা এটাও বুঝতে পারি, কোন কোন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসার পরে আবারও একই অবস্থা হয়তো ফেরত আসে। মানুষ যদি এটুকু সততা না দেখাতে পারে তাহলে ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যায়।’ এই মুনাফালোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বেশি অভিযোগ করুন ভোক্তা অধিকারের জন্য। সার্বিক বাজার মনিটরিংয়ে যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে লোভী আরও বেশি লোভী হবে এবং ভুক্তভোগী হবে জনগণ।’
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:০২

রমজানে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা
আসন্ন রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৯ মার্চ) এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করেছে সংস্থাটি। জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়- খোলা ও নোংরা পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরি ও পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন। বাসি বা পচা খাদ্য উপকরণ দিয়ে ইফতার সামগ্রী তৈরি করবেন না। সকল প্রকার খাদ্য ও খাদ্য উপকরণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঢেকে রাখুন। ইফতার সামগ্রী যেমন পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, জিলাপি, বুন্দিয়া, ফিরনি ইত্যাদি তৈরিতে কেমিক্যাল রং বা কাপড়ের রং ব্যবহার করবেন না। সর্বদা ফুডগ্রেড রং ব্যবহার করুন। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুতে পোড়া তেল ব্যবহার করবেন না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার গ্রহণের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। খবরের কাগজ বা কালিযুক্ত কাগজের তৈরি মোড়ক ব্যবহার করবেন না। কালিতে ক্ষতিকর রং ও পিগমেন্ট থাকে, যা মানবদেহের ক্যান্সার ও কিডনি রোগসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত ও পরিবেশনে নিয়োজিত খাদ্যকর্মীরা আবশ্যিকভাবে গ্লাভস, মাস্ক ও হেড কাভার পরিধান করুন। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির শেষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও সংশ্লিষ্ট বিধি–বিধানসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়