• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বামীর নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা!
অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে দু’মাসের মেডিক্যাল ছুটি নিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান সিরাজীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন আফিয়া আফরোজা মিনা নামের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। সরকারি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ফাঁকি দিয়ে স্বামীর ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।  অভিযুক্ত শিক্ষিকা আফিয়া আফরোজা মিনা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গৌরী আরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিল সিরাজীর স্ত্রী। গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে কাজিপুর উপজেলার গোদাগাড়ি গাড়াবেড় এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজীর আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষিকা আফিয়া আফরোজা মিনা।  এ সময় সভায় উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আলী আসলামসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষিকার এমন নির্বাচনী প্রচারের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি নিয়ে স্থানীয় মহলে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি এবং ভিডিওতে এই শিক্ষিকাকে তার স্বামী খলিলুর রহমান সিরাজীর নির্বাচনী প্রতীক আনারস মার্কায় ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান। নির্বাচনী মতবিনিময় শেষে আনারস প্রতীকের পক্ষে বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক ও প্রচারপত্র বিলি করে চলেছেন শিক্ষিকা।  সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনের প্রচারে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছে।  ইসির পক্ষ থেকে জারি করা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার করতে পারবেন না এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজীর স্ত্রী আফিয়া আফরোজা মিনা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও ভোট চাইতে পারবেন না এমন পরিপত্র থাকলেও খলিলুর রহমান সিরাজী স্ত্রীর ব্যাপারে তা ব্যতিক্রম। তিনি মাসের পর মাস প্রতিদিনই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না শিক্ষা অধিদপ্তর বা প্রশাসন। এসব বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেন খলিল বাহিনীর সদস্যরা। এজন্য ভয়ে কেউ কিছুই বলতে পারেন না।  এ বিষয়ে গৌরী আরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আফিয়া আফরোজা মিনার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  তবে গৌরী আরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজ শারমিন সুরভী মুঠোফোনে বলেন, আমার বিদ্যালয়ে আফিয়া আফরোজা মিনা নামে একজন শিক্ষিকা রয়েছেন। তিনি ২ মাসের মেডিক্যালের ছুটিতে ছিলেন। গত সপ্তাহে এসে যোগদান করেছেন। আবারও তিনি ২৮ এপ্রিল পারিবারিক সমস্যাজনিত কারণ দেখিয়ে দুদিনের ছুটি নিয়েছেন। আপনার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী শিক্ষিকা মিন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই প্রধান শিক্ষিকা বলেন, তার স্বামী কাজিপুর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন, এটা শুনেছি। তবে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন কিনা জানি না। প্রচারণায় অংশ নেওয়ার প্রমাণ পেলে আমাদের প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করবো। তারা বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশ নিতে পারবেন কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে যদি ইসির নির্দেশনা থাকে, আর সেই নির্দেশনা কেউ যদি অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহরাব হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।   সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো নির্বাচনেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কোনো শিক্ষক এ বিষয়ে বিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৮

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা প্রকাশ
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিসংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর অক্টোবর মাসে অনলাইনে বদলি আবেদন করা যাবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালা না থাকায় এবং বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিপত্র ও অফিস আদেশ যুগোপযোগী করার উদ্দেশ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো। নীতিমালার আওতা বিষয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষার মাধ্যমিক স্তরের সরকারি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের  বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। সরকার জনস্বার্থে যেকোনো সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করতে পারবে। বদলির সময়কাল প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে আগ্রহী শিক্ষকদের বদলির আবেদন করতে পারবেন। এ সময়সীমা ছাড়া অন্যকোনো সময়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে শুধু সিনিয়র সচিব বা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বরাবর আবেদন করা যাবে। আবেদনের শর্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান কর্মস্থলে চাকরির সময়সীমা তিন বছর পূর্ণ হতে হবে এবং বদলির উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। শিক্ষকদের বদলি হবে শুধুমাত্র অনলাইনে। বছরের অক্টোবর মাসে এ বদলি আবেদন নেওয়া হবে। এ ছাড়া নতুন নীতিমালায় আর জানানো হয়, সমতলের কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে পার্বত্য অঞ্চল (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি)  এবং দুর্গম, চর ও হাওর অঞ্চলে বদলি করা হলে বদলিকৃত কর্মস্থলে এক বছর চাকরির পর তিনি পুনরায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তার আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।  এতে বলা হয়, মহানগরী ও জেলা সদরে কর্মরত কোনো শিক্ষকের কর্মকাল একই প্রতিষ্ঠানে একাধারে ৬ বছরের বেশি হলে তাকে নিজ জেলায় অথবা পাশের জেলায় বদলি করা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি বা অন্যকোন অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাকে বদলি করতে পারবে। বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নে গুরুত্ব দেওয়া, সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ে শিক্ষক বদলি বা সহ পদায়ন করা হবে না। এতে আরো বলা হয়েছে, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে অন্য বিষয়ের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন করা যাবে না। অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার একবছর আগে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী অবসর ভাতা গ্রহণের সুবিধার্থে কোন সুবিধাজনক কর্মস্থলে বদলির আবেদন করলে তার আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্ব  সহকারে বিবেচনা করতে হবে। সূত্র : বাসস 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৭

বিদ্যালয়ের নিচতলায় রেস্টুরেন্ট, দোতলায় কমিউনিটি সেন্টার
বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এটি একটি স্কুল ভবন। খাবারের দোকান বা মার্কেট বলাটাই ঠিক হবে। রেস্টুরেন্টের চকচকে এক সাইনবোর্ড লাগানো আছে ভবনের গায়ে। নাম ভোজন বিলাস। যেটি ভবনের পরিচয় তুলে ধরছে। আর ভবনের দোতলা বরাদ্দ কমিউনিটি সেন্টারের জন্যে। এটিও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের চার তলা একটি ভবনের নিচতলা ও দোতলার এই হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের চিত্র।  এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একটি চিঠি দিলেও সেটি আমলে নেয়নি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আশুগঞ্জ সোনারামপুর মৌজার ১৯০ দাগের ৯০ শতক খাস জমিতে ১৯৮৩ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের ওই জায়গাতে একটি পেট্রোল পাম্পও রয়েছে। বিদ্যালয়টির বর্তমান ছাত্রীসংখ্যা প্রায় ১৫শ’।  খোঁজখবরে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেন সম্প্রসারণ কাজের জন্যে বিদ্যালয়ের সামনের দিকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয় এবং সেখানে থাকা পুরনো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এজন্যে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও পেয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই নতুন করে ৪ ও ৫ তলা দুটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। নতুন নির্মিত ৪ তলা ভবনের অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বর্ধিত অংশের পাশেই।  সম্প্রতি ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার দৃশ্যমান হয়। ভবনের নিচতলায় দুই সাটার বিশিষ্ট ১১টি দোকান করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯টি দোকানের জায়গা নিয়ে রেস্টুরেন্ট ভোজন বিলাস করা হয়েছে। যার একদিকে রয়েছে চাইনিজ, অন্যদিকে বাংলা খাবারের ব্যবস্থা। মাসিক ১ লাখ ১৪ হাজার টাকায় এই রেস্টুরেন্টের জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন স্থানীয় আলমনগরের মোস্তাফিজুর রহমান।  আর অন্য দুটি দোকান থাইগ্লাস ও টাইলস ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভবনের দো’তলাও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ভাড়া দেয়ার উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও এটি মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহারের জন্যে রাখা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে এটি কমিউনিটি সেন্টারের জন্যে ভাড়া দেওয়া হবে। সেজন্যে সামনের দিক দিয়ে সিঁড়ি নামানো হবে। বিদ্যালয়ের ভেতর দিক থেকে ভবনে ওঠা এবং মিলনায়তনে যাওয়ার জন্যে একেবারে পশ্চিমপ্রান্তে আপাতত একটি সিঁড়ি রাখা হয়েছে। এরপাশে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার গেট করা হয়েছে। যা আগে সম্মুখভাগে ছিল।  নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর পিতা বলেন, দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সড়ক-মহাসড়কের পাশে। কিন্তু এভাবে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হতে দেখিনি। তাও আবার গালর্স স্কুলে। আমরা শুনেছি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে দোতলা ভাড়া দেওয়া হবে। তাহলে ছাত্রীদের প্রাইভেসির কী হবে।  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল আজাদ নিজস্ব অর্থায়নে দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ হয়েছে জানালেও বাকি বিষয়ে কথা বলেননি। একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।  বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. সেলিম রেজা এ বিষয়ে সাক্ষাতে কথা বলবেল বলে জানান।  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আকবর খান জানান, কোনো স্কুল ভবনে বাণিজ্যিক কোনো কিছু করা যাবে না বলে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। সেই আলোকে আমি তাদেরকে এ ব্যাপারে ৫-৬ মাস আগে চিঠি দিয়েছি। তারা চিঠির রেসপন্স করেনি।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৬

এক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে শোকজ
নীলফামারীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সৈয়দপুরে রথেরপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। শোকজ পাওয়া শিক্ষকেরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক আলমাছ সুলতান, সহকারী শিক্ষক মিস লিনা, মাহবুবার রহমান, রেজিয়া খাতুন ও সোনিয়া রিছা প্রামাণিক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন। নোটিশে দুপুর ১২টায় বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম কেন বন্ধ রাখা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে সব শিক্ষককে ৩ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে সড়কের নির্মাণসামগ্রী রাখার অজুহাতে দুপুরে পাঠদান বন্ধ করেন শিক্ষকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের পর শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত জবাবে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৭

বিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের মাটি ও গাছ কাটার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে
রাতের আঁধারে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের মাটি ও গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল হক জানান, গত ২৪ জানুয়ারি ভোর রাতে আমরাইদ গ্রামের হান্নান সরকারের ছেলে রিপন সরকার, আনোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মাসুদ সরকার, মাহবুব সরকারের ছেলে সুজা সরকার, আক্কাছের ছেলে মোস্তফা বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পুকুর পাড়ের ১০ ফুট গভীর ও ৪০ ফুট প্রস্থ’ করে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে দেয়। একই সঙ্গে ১৫০টি আকাশি গাছ ও ১৮০টি বাঁশ কেটে নেয়। এতে বিদ্যালয়ের ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাপাসিয়ার লালচে রঙের এঁটেল মাটি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফসলি কৃষি জমিতে খননযন্ত্র (ভেক্যু) বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে। অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা। এর ফলে কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে নালা জমিতে পরিণত হচ্ছে। নির্বিচারে যেভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফসলি জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাবে। এতে কমে ফসল উৎপাদন। অবৈধভাবে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে পড়ছে স্থানীয় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। উপজেলার লোহাদী গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশের জমির মালিক মাটি বিক্রি করেছেন। এই মাটি নেওয়ার জন্য আমাদের গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করেছে ভেক্যু ও ডাম্প ট্রাক। মাটি ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেন, মাটি নিলে রাস্তা হবে। এতে চলাচলে সুবিধা হবে। এসব বলে রাস্তার পাশে কিছু গাছ কেটেছে মাটি ব্যবসায়ীরা। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের পুকুর পাড় থেকে মাটি ও গাছ গাছালি কেটে নেওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তাছাড়া আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাটি কেটে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছি। প্রায় চল্লিশ বছর আগে থেকে ওই জায়গাটি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি এবং ১৯৮০ সালে পুকুর নির্মাণ করেছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কাপাসিয়া উপজেলার গিয়াসপুর গ্রামের সেলিম মেম্বার এসব মাটি খরিদ করে কেটে নিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে সেলিম মেম্বার নিজেই আমাকে বলেছে সে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মাটি ক্রয় করেছে বলেও তিনি জানান। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজিং) কমিটির সভাপতি ইকবাল সরকার জানান, আমি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। মাটি ক্রেতা হাজী তাজ উদ্দীন মাস্টারের ছেলে সেলিম মিয়া বলেন, আমি কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি ক্রয় করে অন্যত্র বিক্রি করি। মাটি বিক্রেতারা অন্যায়ভাবে সরকারি স্কুলের মাটি বিক্রি করেছে তা আমার জানা ছিলো না। তিনি বলেন, মাটি এখনও আমার জিম্মায় রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, যেকোনো জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে অনুমোদন লাগে। এ ছাড়া ছোট সড়ক দিয়ে ডাম্প ট্রাক চলাচল করার নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। কৃষিজমি থেকে যারাই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়