• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শেষ বিদায়ে ভালোবাসায় সিক্ত জাতীয় পতাকার নকশাকার
শেষ বিদায়ে কুমিল্লার মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় নিজ জন্মস্থান কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় তিনি বলেন, শিব নারায়ণ দাস মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো। শিবুদার মাঝে রাজনীতি নিয়ে ক্লান্তি ছিল না। উনি আমাদের হাতে পোস্টার বানিয়ে দিতেন। আমরা পুরো শহর সেই পোস্টার বিলিয়ে দিতাম। এমন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে কুমিল্লার মানুষ হারিয়েছে। যত দিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে, ততদিন এ জাতি উনাকে স্মরণ করবে। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিব নারায়ণ দাস একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পতাকা শিব নারায়ণ দাসের হাতেই হয়েছে। উনি কখনো নিজের জন্য ভাবেননি। উনিই প্রথম কুমিল্লার টাউনহল মাঠে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়েছিলেন। আমরা সবার পক্ষ থেকে দাবি জানাই, শিব নারায়ণ দাসকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হোক। শিব নারায়ণ দাসের সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতশ্রী চৌধুরী বলেন, আমি ৫৫ বছর ধরে তার সঙ্গে ছিলাম। শেষ সময় পর্যন্ত কুমিল্লাবাসী শিব নারায়ণ দাসের পাশে ছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিব নারায়ণ দাস বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার মূল নকশাকার। তিনি একজন ছাত্রনেতা ও স্বভাব আঁকিয়ে ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৬ জুন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলন করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

রোনালদোর লাল কার্ড, সেমি থেকে বিদায় আল-নাসরের
উড়ন্ত ফর্মে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন হঠাৎ করেই মাটিতে আছড়ে পড়লেন। পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আল-নাসরকে জয় এনে দেওয়া পর্তুগিজ মহাতারকা সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল-হিলালের বিপক্ষে বনে গেলেন ভিলেন। হাইভোল্টেজ ম্যাচে লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়লেন জনপ্রিয় এই ফুটবল জাদুকর। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে সৌদি সুপার কাপের জমজমাট সেমিফাইনালে আল-হিলালের মুখোমুখি হয় আল-নাসর। এদিন মাঠ জুড়ে শুরু থেকেই উত্তেজনার পারদ ছড়াতে থাকে।  প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ওটাভিওর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় নাসর। তবে উল্লাসে মাতার পরক্ষণেই রেফারির অফসাইডের পতাকা উঠতে দেখে অবাক হন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। কারণ, নিশ্চিত ছিলেন  অফসাইডের ফাঁদে পড়েননি তিনি। ডি-বক্সে ভেসে আসা দারুণ ক্রস ওটাভিওর কাছে আসার আগেই তা পায়ের স্পর্শে গোলে পাঠাতে চেয়েছিলেন অফসাইড পজিশনে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর তাতেই কি না বাধে বিপত্তি। গোল বাতিল হওয়ার পর ওটাভিওর হতাশা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতে না পারার হতাশা ভোলার আগেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই  দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে নাসর। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ফরোয়ার্ড সালেম আল দাউসারী লিড এনে দেওয়ার পর ৭২তম মিনিটে ব্যবধান দিগুণ করেন হিলালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ম্যালকম। দুই গোল এগিয়ে যাওয়ার পর লিড ধরে রাখতে বাকি সময়ে রক্ষণাত্মক পজিশনে খেলা শুরু করে হিলাল। ফাইনালে যাওয়ার মিশনে গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে আল-নাসর। একের পর এক আক্রমণ করলেও ফিনিশিংয়ে তালগোল পাকিয়ে রোনালদো-ওটাভিও-মানেরা গোলের দেখা পাননি। একের পর এক সুযোগ মিস ও অফসাইডে গোল বাতিল হওয়ায় বেশ চাপেই ছিলেন রোনালদো। তার চোখে মুখে হতাশ আর বিরক্তিও দেখা গেছে। সেই চাপেই কিনা শেষমেশ মেজাজ হারালেন সি’আর সেভেন। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে সময় ক্ষেপণ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বসেন রোনালদো। ম্যাচে এর আগেই হলুদ কার্ড দেখা রোনালদোকে ফের কার্ড দেখান রেফারি। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হলেও এই পর্তুগীজ মহাতারকাকে লাল কার্ড নিয়ে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর ১০ জনের দল নিয়ে লড়াই চালিয়ে যায় নাসর। শেষদিকে সাদিও মানের গোল ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি লুইস কাস্ত্রোর দল। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আল-হিলালের কাছে প্রো লিগের শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে থাকা নাসর এবার সুপার কাপ থেকেও বিদায় নিলো।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩২

জুমাতুল বিদায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল 
পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আজ। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত। রমজান আর জুমা একত্রে মিলিত হয়ে এ দিনটিকে করে তুলেছে মহিমান্বিত। আর আজকের তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে মসজিদে মসজিদে ছিল মুসল্লিদের ঢল।  রমজান মাসের শেষ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পবিত্র জুমাতুল বিদার এই দিনে নামাজের আগেই মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ঢাকার অধিকাংশ মসজিদ।  আজানের পরপরই শুরু হয় খুতবা। আলোচনায় আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়, পবিত্র এ মাসের ফজিলতের কথা। রমজানের শেষ শুক্রবারে কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়েছেন মুসল্লিরা। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমাতুল বিদা উপলক্ষে নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ পূর্ব বয়ানে খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন পবিত্র মাহে রমজান, শবেকদর, জুমাতুল বিদার তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন। জাকাত ও ফিতরা আদায়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উপস্থিত মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। নামাজ শেষে খতিব দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং শান্তিকামনা করে মোনাজাত করেন।  এ সময় মুসল্লিদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো মসজিদ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসল্লি। রমজান মাসের শেষ জুমার এ দিনটিকে মুসলিম বিশ্ব ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ বিশেষ দিন পালিত হলো।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৬

সহকর্মীদের চোখের জলে ভাসিয়ে বিদায় নিলেন খালিদ
বাংলা সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’র মতো অনেক গান দর্শকদের উপহার দিয়েন তিনি। তবে হুট করেই যেনো সংগীত জগতে নেমে এলো অন্ধকার। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেখে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় এই  সংগীতশিল্পী।   জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতসহ শোবিজ অঙ্গনে। হুট করেই তার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সহকর্মীরা। নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খালিদের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি ও তার গানের লাইন শেয়ার করে জানাচ্ছেন বিদায়। চাইছেন আত্মার শান্তি। নগর বাউল জেমস খালিদের কালজয়ী গান ‘কোনো কারণে ফেরানো গেলো না তাকে’ এই গানের দুই লাইন শেয়ার করে লেখেন, সে যে হৃদয় পথের রোদে, একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই। সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী খালিদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। কান্না ভেজা কণ্ঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি আর খালিদ একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। ওর এমন অকাল মৃত্যু আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। তার আত্মার শান্তিকামনা করছি। সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর খালিদের মৃত্যুর সংবাদ কিছুতেই মানতে পারছেন না। এরপর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একযুগ আগের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, কোনো বাঁধনে বাঁধা তো গেল না তাকে, সে যে হৃদয় পথের রোদে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই। গানের দুটি লাইন শেয়ার করে তিনি আরও লেখেন, নিজের গাওয়া প্রিন্স মাহমুদের অমর গানের সঙ্গে হারিয়ে গেলেন চাইম ব্যান্ডের প্রিয় ভোকালিস্ট খালিদ ভাই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রেখে গেলেন একরাশ মায়া। খালিদ ভাইয়ের মায়াবী কণ্ঠ একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কৈশোর ও যৌবনের প্রিয় গায়ক খালেদ ভাইয়ের এই মৃত্যুতে আমি হারিয়ে ফেললাম খুব প্রিয় একটা কণ্ঠ! জাতি হারালো নিভৃতচারী এক কিংবদন্তিকে! আমি আমরা শোকাহত। খালিদ ভাইয়ের আত্মার শান্তিকামনা করি। মহান আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক বইবার শক্তি দিন। আমিন। ছবিটি আমার বিয়ের একযুগপূর্তিতে তোলা ১০/০৭/২০০৪, সেদিন মিতালী মুখার্জি দিদিও ছিলেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ খালিদের দুটি লাইন, কোনো বাঁধনেই বাঁধা তো গেল না কিছুতেই, লিখে তার আত্মার শান্তিকামনা করেন। এ ছাড়া শূন্য ব্যান্ড, আর্টসেল, ওয়ারফেজ, শিরোনামহীন, অর্থহীনসহ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো তার আত্মার শান্তিকামনা করে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ। তার জন্ম গোপালগঞ্জে। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়েছে। তার স্ত্রী ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা সংগীতশিল্পী খালিদের। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি। ছিলেন চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট হিসেবে। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রায় প্রতিটি গানই এখন ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে ফ্রিতেই শুনতে পারেন শ্রোতারা। তবে একসময় চাইমের খালিদের গলার সেই সুর শুনতে সিডি প্লেয়ার, ক্যাসেট ইত্যাদি কেনার ধুম লেগে যেত বাঙালি শ্রোতাদের।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০

‘বিয়ে যখন হচ্ছে স্কুলে গিয়ে বিদায় নিয়ে আসি’
স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের থেকে বিদায় নিয়ে আসার কথা বলে বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছেন এক কনে। ওই কনের বয়স ১৩ বছর। রাজশাহীর আলোর পাঠশালায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছেন তিনি। রোববার (১০ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।  মেয়েটি জানায়, গতকাল শনিবার রাতে তাকে বিয়ের ক্ষীর খাওয়ানো হয়। রোববার সকালে বরপক্ষ আসে বিয়ের জন্য। মেয়েটি কৌশল করে মাকে বলে, ‘বিয়ে যখন হচ্ছে স্কুলে গিয়ে বিদায় নিয়ে আসি।’ পরে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের তার বিয়ের বিষয়টি জানালে জানা যায়, মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার মা জোর করে তাকে বিয়ে দিচ্ছেন। শিক্ষকেরা সব শুনে তার বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে রাজশাহীর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন জানান, মেয়েটি তাদের বিদ্যালয়ের একজন ভালো ছাত্রী। পড়াশোনার প্রতি খুবই আগ্রহী একজন শিক্ষার্থী। মেয়েটির বাবা নেই। মা অন্যত্র আবার বিয়ে করেছেন। কয়েক দিন আগে মেয়েটি জানিয়েছিল, মা ও সৎবাবা তাকে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা যেকোনো সময় তার বিয়ে দিয়ে দেবেন। কিন্তু সে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে চায় না। যেভাবেই হোক বিয়ে ঠেকাতে হবে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটায় বিদ্যালয়ে এসে ওই কিশোরী শিক্ষকদের বিয়ের বিষয়টি জানায়। কৌশল করে সে বিদ্যালয়ে এসেছে। এদিকে মেয়ের ফিরতে দেরি হওয়া দেখে মা বাড়ির মালিককে বিদ্যালয়ে পাঠান। বাড়ির মালিক এসে বলেন, মেয়ে না যাওয়ায় মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবশ্য শিক্ষকদের জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেন, মেয়ের মা অসুস্থ হননি। অসুস্থতার কথা তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর সকাল ১০টায় আলোর পাঠশালার শিক্ষকরা মেয়েটির বাসায় যান। তারা মেয়েটির মাকে সব বুঝিয়ে বলার পর মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে ওয়াদা করেন মা। শিক্ষকেরা চলে আসার পর বরপক্ষের লোকজন ফোন করে প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুনকে জানান, বিয়ে করতে না দিলে তাদের যাতায়াতের খরচ দিতে হবে। এ অবস্থা দেখে প্রধান শিক্ষক মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে ফোন করেন। তিনি এসে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেন এবং অঙ্গীকার করান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তিনি মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। সবাই চলে যাওয়ার পর মেয়ের মা প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বলেন, সরকারের ঘরে যখন আমার নাম গেছে, আমার যখন এতই দোষ, এখন এই মেয়ের দায়দায়িত্ব আমি আর বহন করতে পারব না। তবে আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক জানান, এ ঘোষণা দেওয়ার পর রাতে কী হয়, তিনি বলতে পারছেন না। তারা সতর্ক আছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ০০:১৫

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে দেশের ক্রিকেটকে বিদায় ভারতীয় স্পিনারের
ভারতের হয়ে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই স্পিনার। জানা গেছে, জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার অনিশ্চয়তা আর বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার ইচ্ছে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সবশেষ তিন বছর আগে ম্যান ইন ব্লুদের জার্সিতে ২২ গজ মাতিয়েছিলেন নাদিম। সম্প্রতি জাতীয় দলে আর সুযোগ দেখছেন না তিনি। এমনকি আইপিএলেও নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন না। অবসর প্রসঙ্গে নাদিমের ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম এবং এখন আমি তিন সংস্করণ থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সবসময় অনুভব করি, যদি (ভারতের হয়ে খেলার জন্য) আপনার কোনো অনুপ্রেরণা থাকে, তাহলে সবসময় নিজেকে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য তাগাদা দিতে থাকবেন। তিনি যোগ করেন, তবে এখন আমি জানি, ভারতীয় দলে হয়তো আর সুযোগ পাব না, তাই তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়াটাই ভালো। আমিও বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার পরিকল্পনা করছি। এদিকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অসাধারণ এক পারফর্মার ছিলেন নাদিম। ১৪০ ম্যাচে নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ৫৪২ উইকেট। এর মধ্যে ২৮ বার পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। আর ১০ উইকেট নিয়েছেন ৭ বার।  ভারতের হয়ে ৩০ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তার। সেই যাত্রায় দুই টেস্ট তার শিকার ৮ উইকেট। তবে ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার পর আর স্কোয়াডে ডাক পাননি এই স্পিনার। অন্যদিকে আইপিএলেও দারুণ সময় কেটেছে নাদিমের। ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দিল্লির হয়ে খেলেছেন তিনি। এরপর ২০১৯ থেকে ২০২১ মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন। সব মিলিয়ে আইপিএলে তার শিকার ৪৮ উইকেট। আর ১৫০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২৫ উইকেট উইকেট নিয়েছেন তিনি।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৩

বরই দিয়ে ইফতারের পরামর্শ / শিল্পমন্ত্রীকে বিদায় করার আহ্বান ইনুর
আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দেওয়ায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে এখনই মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সোমবার (৪ মার্চ) রাজশাহীর গণকপাড়ায় জয় বাংলা চত্বরে জাতীয় যুবজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।  হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি একটু আগে মোবাইলে দেখলাম, এক মন্ত্রী বলেছেন, রোজার সময় খেজুর আর আঙুর দিয়ে ইফতার কইরেন না, বরই দিয়ে করেন। আল্লাহ, কী বলব বলেন! নিত্যপণ্যের মূল্যে মানুষ জর্জরিত। আর আপনি (মন্ত্রী) মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করেন। প্রধানমন্ত্রী, এই ধরনের মন্ত্রীকে এখনই বের করে দেন।’ এরপর দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের চিরশত্রু মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী-তালেবানি শক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতা দখলের রাজনীতিও মোকাবিলা করতে হবে। জাসদ সভাপতি বলেন, ‘মাত্র দুমাস হলো নির্বাচন শেষ হয়েছে। কিন্তু একটা গুমোট ভাব, কোনো উত্তেজনা নেই। বিরোধিতার মতো রাজনৈতিক যুদ্ধের ভেতরে নির্বাচন কখনো ভালো হয় না, তাই হয়েছে। কমতি আছে, ঘাটতি আছে। কিন্তু দিনের শেষে বাংলাদেশের এত বিরোধিতার মুখেও নির্বাচনের রাজনীতির অনিশ্চয়তা দূর করে নির্বাচনটা হয়েছে। একটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায়, নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনে কোনও স্বস্তি আসেনি। তারা পেটের জ্বালায় জর্জরিত। তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুন, মরিচ, যেটাতেই হাত দেয়, হাতে পুড়ে যাচ্ছে। সকালে একদাম, বিকেলে ডাবল দাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়ছেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীরা চিৎকার করছেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, কিন্তু দাম কমছে না। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তাহলে ব্যর্থ কে? শাসন ব্যর্থ! কেন তারা কথা শুনছে না? এটা কি সিস্টেমের দোষ, মুক্তবাজার অর্থনীতির দোষ, নাকি যারা দাম বাড়াচ্ছেন তারা সরকারের ছত্রছায়ায় বসবাস করেন? প্রধানমন্ত্রী বলার পরেও দাম কমে না, অস্বাভাবিক ব্যাপার! এত শক্তি, এত সাহস, এটা কীভাবে সম্ভব!’ জাতীয় যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি শরিফুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক বকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, ও জাসদ রাজশাহী মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী। এ সময় প্রধান বক্তা ছিলেন, জাতীয় যুবজোট এর সভাপতি মো. শরিফুল কবির স্বপন।   
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৫

অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়াগনার
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হলেও নেইল ওয়াগনারকে একাদশে রাখা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচকরা। নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ওয়াগনার। কোচ গ্যারি স্টিডের সঙ্গে শ্বাসরুদ্ধকর আলোচনার এমন বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে সংবাদ সম্মেলনে কোচের পাশে বসেই অবসরের ঘোষণা দেন ওয়াগনার। সেখানে তিনি বলেন, আমি জানতাম সময় ঘনিয়ে আসছে। তারা মাঝে মাঝে বলতেন, আমি কখন অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন। তখন আপনি একভাবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আমি জানতাম সময় চলে এসেছে এবং সেটি খুব কাছাকাছি। ওয়াগনার বলেন, গত সপ্তাহে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এবং আসন্ন টেস্ট ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি ভেবেছিলাম এটাই সঠিক সময় সরে দাঁড়ানোর। অন্যদের আসতে দেওয়া এবং আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে দল হিসেবে যা করে আসছি তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার। ‘ তবে অবসর নেওয়াটা কখনই সহজ নয়। এটি একটি আবেগময় রাস্তা। তবে আমি মনে করি যে সেই ব্যাটনটি পাস করার সময় এসেছে এবং সেই ব্ল্যাক ক্যাপটি বাকিদের জন্য একটি ভালো জায়গায় রেখে দেওয়া এবং আশা করি নতুনরা এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ ওয়াগনার প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বিবেচনায় ছিলেনই না। তবে নিউজিল্যান্ডের নির্বাচকরা পরে ফাস্ট বোলারকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যদিও তাকে একাদশে খেলাবেন না। ওয়াগনার বলেন, আমি এখানে থাকতাম না। আমি মনে করি এটা দলের জন্য খুব সুন্দর একটা উপায়। তারা আমাকে এখানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের জন্য তাদের প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছিল। এটি সত্যিই চমৎকার, সদয় অঙ্গভঙ্গি ছিল। ‘ আমি ভেবেছিলাম যে আমি সর্বদা যা করে আসছি, এখানে আসা, দলের সাথে এখানে থাকা, আমার মুখে হাসি নিয়ে সবকিছু করা এবং ছেলেদের সেবা করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপায় হবে। আমি তো ঠিক তাই। এটি একটি চমৎকার এবং আমি এখানে আসতে পেরে সত্যিই অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ওয়াগনার ক্রিকেট খেলার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। কিউইদের জার্সিতে খেলেছেন ৬৪টি টেস্ট ম্যাচ। সাদা পোশাকে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম ভয়ংকর পেস বোলার ছিলেন তিনি। মাত্র ৫২.৭ স্ট্রাইক রেটে ২৭.৫৭ গড়ে ২৬০ উইকেট পান। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে কেবল স্যার রিচার্ড হ্যাডলির টেস্ট স্ট্রাইক রেট ভালো যারা একশ‘র বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনার বিদায়
দুবাইয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠেছে ফিফা বিচ ফুটবল বিশ্বকাপের আসরের। ১৬ দলের এই আসরে গ্রুপ ‘বি থেকে অংশ নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ফুটবলের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বিচ ফুটবলে নিজেদের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। আসরের প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার। যে কারণে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল অনেকটা নিয়মরক্ষার। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্পেনকে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে গ্রুপ 'বি'তে তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করেছে আলবিসেলেস্তেরা। এর আগে আসরের প্রথম ম্যাচে তাহিতির বিপক্ষে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে৬ গোল হজম করেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এতে আসর থেকে ছিটকে যায় তারা।  নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে ১৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টির সুবাদে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। তবে এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় স্পেন। চার মিনিটের ব্যবধানে সমতায় ফেরে তারা। তবে ম্যাচের ২৯তম মিনিটে আবারও প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠায় আর্জেন্টিনকিন্তু এবারও বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখা যায়নি। এক মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে স্পেন। গোল পাল্টা গোলের ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিতেছে আর্জেন্টিনাই।  আর্জেন্টিনার হয়ে একটি করে গোল করেন, হোলমেদিলা, রটারশ্মেডিটে পনজেট্টি, পোমা ও মেদেরো। অন্যদিকে, স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করেন চিকি। এ ছাড়া একটি করে গোল আরিয়াস ও কুমানের।  বিচ ফুটবল সাধারণত সমুদ্র সৈকতে খেলা হয়ে থাকে। ২০০৫ সাল থেকে ফিফা এই ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে আসছে। ১৬ দল নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে পর্দা উঠেছে এবারের আসরের। বি গ্রুপ থেকে আর্জেন্টনা ছাড়াও কোনো ম্যাচ জয় না পাওয়া স্পেন বাদ পড়েছে। তাদের গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তাহিতি ও ইরান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৮

দেড় বছরে কোরআনের হাফেজ দুই ছাত্রকে রাজকীয় বিদায়
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দেড় বছরে কোরআনের হাফেজ দুই ছাত্রকে রাজকীয়ভাবে বিদায় দিয়েছেন মাদরাসা কমিটি। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিঘিরহাট নুরুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসায় বিদায় অনুষ্ঠান ঘিরে হাফেজ দুজন ছাত্রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মুসুল্লি ও এলাকাবাসী।  হাফেজ দুজন হলেন পাটগ্রমা উপজেলার কুচলিবাড়ী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মো. রমজান আলী ও সফিকার রহমানের ছেলে মো. আবদুর রহমান। মাদরাসা কমিটি ও শিক্ষক হাফেজ ছাত্র দুজনকে ফুলের মালা পরিয়ে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তুলে দেন। আয়োজকরা তাদেরকে সুসজ্জিত মাইক্রোবাসে বসিয়ে রাজকীয় সম্মানে পৌঁছে দেন বাড়িতে।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ বাচ্চু, সম্পাদক শামসুল হক বাবু, শিক্ষক হাফেজ ইমানুর রহমান।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়